♥আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
আপনি প্রিয়নবী (সা) এর সূন্নাহ অনুযায়ী পানাহার করছেন কি? ♥
আপনি প্রিয়নবী (সা) এর সূন্নাহ অনুযায়ী পানাহার করছেন কি? ♥
আসুন, পানাহারের সূন্নাহগুলো জেনে নিই!
(১) আহারের পূর্বে----
-"বিসমিল্লাহ" বলা;
- ডান হাতে খাওয়া;
- নিকটবর্তী স্থান থেকে খাওয়া:
হুযাইফা রা. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, "শয়তান ঐ খাবারকে নিজের জন্য হালাল মনে করে যার শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা হয়নি"। (মুসলিম : ৩৭৬১)
-"বিসমিল্লাহ" বলা;
- ডান হাতে খাওয়া;
- নিকটবর্তী স্থান থেকে খাওয়া:
হুযাইফা রা. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, "শয়তান ঐ খাবারকে নিজের জন্য হালাল মনে করে যার শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা হয়নি"। (মুসলিম : ৩৭৬১)
হযরত উমর বিন আবু সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, "হে বৎস! বিসমিল্লাহ বলো, ডান হাতে খাও। আর, খাবারের যে অংশ তোমার নিকটবর্তী- তা থেকে খাও।" [বোখারী- ৪৯৫৮]
(২) খাবারের লোকমা উঠিয়ে খাওয়া :
রাসুলুল্লাহ সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন- " যদি তোমাদের কারও খাবারের লোকমা পড়ে যাই, তবে তা পরিষ্কার করে খাবে, শয়তানের জন্য রেখে দিবে না। " [ মুসলিম- ৩৭৯৪]
রাসুলুল্লাহ সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন- " যদি তোমাদের কারও খাবারের লোকমা পড়ে যাই, তবে তা পরিষ্কার করে খাবে, শয়তানের জন্য রেখে দিবে না। " [ মুসলিম- ৩৭৯৪]
(৩) খাবারের পাত্র পরিষ্কার করে খাওয়া :
হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নির্দেশ দিয়েছেন- আমরা যেন খাবারের পাত্র পরিষ্কার করে খাই। তিনি বলেন, "তোমরা জানো না খাবারের কোন অংশে বরকত আছে।" বরকত দ্বারা উদ্দেশ্য হলো যার দ্বারা উপকার ও পুষ্টি লাভ হয়। [তিরমিজী- ১৭২৫]
হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নির্দেশ দিয়েছেন- আমরা যেন খাবারের পাত্র পরিষ্কার করে খাই। তিনি বলেন, "তোমরা জানো না খাবারের কোন অংশে বরকত আছে।" বরকত দ্বারা উদ্দেশ্য হলো যার দ্বারা উপকার ও পুষ্টি লাভ হয়। [তিরমিজী- ১৭২৫]
(৪) আঙুল ধোঁয়ার পূর্বে তা ভালো করে চেটে খাওয়া:
আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত,রাসুলুল্লাহ সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, " তোমরা যখন খাবে তখন সে যেন তার আঙুল চেটে খায়, কেননা সে জানে না কোন আঙ্গুলে বরকত আছে।" [ মুসলিম- ৩৭৯৩]
আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত,রাসুলুল্লাহ সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, " তোমরা যখন খাবে তখন সে যেন তার আঙুল চেটে খায়, কেননা সে জানে না কোন আঙ্গুলে বরকত আছে।" [ মুসলিম- ৩৭৯৩]
(৫) তিন শ্বাসে পানি পান করা:
হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পান করার সময় তিনবার শ্বাস নিতেন। এভাবে পানি পান করা অধিক পিপাসা নিবারণকারী, নিরাপদ এবং তৃপ্তিদায়ক।
[ বুখারী- ৫২০০, মুসলিম- ৩৭৮২ ]
হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পান করার সময় তিনবার শ্বাস নিতেন। এভাবে পানি পান করা অধিক পিপাসা নিবারণকারী, নিরাপদ এবং তৃপ্তিদায়ক।
[ বুখারী- ৫২০০, মুসলিম- ৩৭৮২ ]
(৬) খাবারের প্রশংসা করা ও দোষ খুঁজে বের না করা:
জাবের (রাঃ) বলেন, "রাসুলুল্লাহ সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় পরিবারে কাছে তরকারী চাইলেন। তারা বললেন- "আমাদের কাছে সিরকা ছাড়া আর কিছু নেই"। তিনি সিরকা আনতে বললেন আর তা দিয়ে খেতে লাগলেন। অতঃপর বলতে লাগলেন- "সিরকা কতই না উত্তম তরকারী, কতই না উত্তম তরকারী।" [ মুসলিম- ৩৮২৪]
জাবের (রাঃ) বলেন, "রাসুলুল্লাহ সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় পরিবারে কাছে তরকারী চাইলেন। তারা বললেন- "আমাদের কাছে সিরকা ছাড়া আর কিছু নেই"। তিনি সিরকা আনতে বললেন আর তা দিয়ে খেতে লাগলেন। অতঃপর বলতে লাগলেন- "সিরকা কতই না উত্তম তরকারী, কতই না উত্তম তরকারী।" [ মুসলিম- ৩৮২৪]
আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেন, "রাসুলুল্লাহ সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনোই কোন খাবারের দোষ বের করে তা নিয়ে কথা বলতেন না। পছন্দ হলে খেতেন, অপছন্দ হলে রেখে দিতেন। [ বুখারী - ৪৯৮]
(৭) খাবারে/পানিতে ফুঁ না দেয়া/ শ্বাস- প্রশ্বাস না ফেলা:
ইবনে আব্বাস (রাঃ) রাসুলুল্লাহ সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে , "রাসুলুল্লাহ খাবার পাত্রে ফুঁ দেওয়া বা শ্বাস ফেলা নিষেধ করেছেন"। [ তিরমিযী- ১৮১০]
ইবনে আব্বাস (রাঃ) রাসুলুল্লাহ সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে , "রাসুলুল্লাহ খাবার পাত্রে ফুঁ দেওয়া বা শ্বাস ফেলা নিষেধ করেছেন"। [ তিরমিযী- ১৮১০]
(৮) পানাহারের পর আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা:
রাসুলুল্লাহ সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন- "যে ব্যক্তি খাবার খাওয়ার পর আল্লাহর প্রশংসা করে, অনুরূপ পান করে প্রশংসা করে; আল্লাহ সে বান্দার উপর সন্তুষ্ট হন"। (সহীহ মুসলিমঃ২৭৩৪)
রাসুলুল্লাহ সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন- "যে ব্যক্তি খাবার খাওয়ার পর আল্লাহর প্রশংসা করে, অনুরূপ পান করে প্রশংসা করে; আল্লাহ সে বান্দার উপর সন্তুষ্ট হন"। (সহীহ মুসলিমঃ২৭৩৪)
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সূন্নাহ অনুযায়ী পানাহার করার তাওফীক দিন। আমিন।
No comments:
Post a Comment