প্রশ্ন : বাথরুমে অবস্থানকালে,মনে মনে যিকির,বা ইস্তেগফার করা যাবে কি?
==========
উত্তর : টয়লেটে অবস্থান কালীন সময় মুখে উচ্চারণ করে আল্লাহর যিকির, তাসবীহ-তাহলীল, ইস্তিগফার, কুরআন তিলাওয়াত ইত্যাদি করা সমীচীন নয়। তবে সেগুলো মনে মনে আওড়ানো হলে বা খেয়াল করা হলে তাতে কোন অসুবিধা নেই। প্রখ্যাত তাবেঈ ইকরিমা রহ. বলেন, “টয়লেটে থাকা অবস্থায় মুখে উচ্চারণ করে যিকির করবে না তবে মনে মনে করতে পারে।” (আল আওসাত. ১/৩৪১)
মুসলিম ব্যক্তি টয়লেটে প্রবেশের আগে দুয়া পড়বে আর টয়লেটে প্রবেশের পর চুপ থাকবে। কিন্তু মনে মনে কোন বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা, দীনী বিষয় স্মরণ করা অথবা ন দুয়া-তাসবীহ ইত্যাদি আওড়ালে তাতে কোন অসুবিধা নেই। তদ্রূপ টয়লেটে ওযু করার প্রয়োজন হলে মনে মনে বিসমিল্লাহ পড়ে নিলেই যথেষ্ট হবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহু আলাম।
উত্তর দিয়েছেন শাইখ Abdullahil Hadi
✔✔✔✔✔✔✔✔✔✔
✳✳✳✳✳✳✳✳✳
পায়খানায় প্রবেশের দো‘আ
بِسْمِ اللَّهِ
আল্লাহ্র নামে।
বিসমিল্লাহি
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْخُبْثِ وَالْخَبَائِثِ
হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট অপবিত্র নর জিন্ ও নারী জিন্ থেকে আশ্রয় চাই
আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু বিকা মিনাল খুব্সি ওয়াল খাবা-ইসি
বুখারী ১/৪৫, নং ১৪২; মুসলিম ১/২৮৩, নং ৩৭৫। শুরুতে অতিরিক্ত ‘বিসমিল্লাহ্’ উদ্ধৃত করেছেন সা‘ঈদ ইবন মানসূর। দেখুন, ফাতহুল বারী, ১/২৪৪।
💢💢💢💢💢💢💢💢💢
পায়খানা থেকে বের হওয়ার দো‘আ
غُفْرَانَكَ
আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
গুফরা-নাকা
হাদীসটি নাসাঈ ব্যতীত সকল সুনান গ্রন্থকারই উদ্ধৃত করেছেন; তবে নাসাঈ তার ‘আমালুল ইয়াওমি ওয়াললাইলাহ’ গ্রন্থে (নং ৭৯) তা উদ্ধৃত করেছেন। আবূ দাউদ, নং ৩০; তিরমিযী, নং ৭; ইবন মাজাহ্, নং ৩০০। আর শাইখ আলবানী সহীহ সুনান আবি দাউদে ১/১৯ একে সহীহ বলেছেন।
No comments:
Post a Comment