রোগমুক্তির জন্য তাবিজ পরা বা বাঁধা জায়েজ আছে কি?
প্রশ্নটির উত্তর দিয়েছেন ড.মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ
প্রশ্ন : আমার প্রশ্নটি হচ্ছে, রোগমুক্তির জন্য যেকোনো প্রকার তাবিজ শরীরে পরা বা বাঁধা জায়েয আছে কি?
উত্তর : এ ক্ষেত্রে দুটি বিষয় উল্লেখ্য। তা হচ্ছে, যেকোনো ধরনের তাবিজ তো মোটেই নয়, বরং কোরআনের আয়াত লেখা তাবিজও ব্যবহার করা যাবে না। রাসুল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
مَنْ عَلَّقَ تَمِيمَةً فَقَدْ أَشْرَكَ
যে ব্যক্তি তাবিজ ঝোলাল, সে ব্যক্তি কুফরি করল এবং শিরক করল।(মুসনাদে আহামাদ,হাদিস নং ১৭৪২৪)
তাবিজ-কবচ যেগুলো লেখা হয়,যাতে কুফরি কালাম থাকে,সেগুলো তো কোনো মুমিন ব্যক্তি পরতে পারবে না।
তবে কুরআনুল কারিমের আয়াত লেখা কোনো তাবিজ কেউ পরতে পারবে কি না,এ ব্যাপারে আলেমদের দুই মত।
একটি হচ্ছে যে,এভাবে কোনো তাবিজ-কবচ ব্যবহার করা যাবে না। কারণ হিসেবে তাঁরা বলেছেন,এটা দ্বারা পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমার হাতে কুরআনের আয়াত লেখা তাবিজ থাকবে,আরেকজনের হাতে থাকবে কুফরি কালাম লেখা তাবিজ।
আরেকটি বিষয় হলো,কুরআনের আয়াত লেখা তাবিজ নিয়ে তো টয়লেটে যাওয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কুরআনের সম্মানহানি হবে। এ জন্য বলা হয়েছে যে, কুরআন লিখেও তাবিজ করে হাতে বাঁধা জায়েজ নেই।
বরং কুরআন পড়ে কোনো পানির মধ্যে বা তেলের মধ্যে ফু দিয়ে দম করে সেটা ব্যবহার করা যেতে পারে। সুতরাং আপনি যেটা বলেছেন, এভাবে তাবিজ-কবচ পরা, এগুলো জায়েজ নেই, এমনকি কুরআনের আয়াত হলেও জায়েয নেই। এটা থেকে যেন আমরা বিরত থাকতে পারি, আল্লাহ তা’আলা আমাদের সে তাওফিক দান করুন।
No comments:
Post a Comment