আমাদের অহংকার রয়েছে কি না বুঝবো কিভাবে
◾◾◾◾◾ ◾◾◾◾◾ .
◾◾◾◾◾ ◾◾◾◾◾ .
অহংকার আছে কি না সেটা বোঝা খুব সহজ। নিজেকে একটু পর্যালোচনা করলেই আপনি সেটা বুঝতে পারবেন।
.
আপনি যদি দুটি কাজ করেন, তাহলে বুঝবেন আপনার অহংকার আছে।
🔘 প্রথমত হচ্ছে, আপনি যদি হককে কবুল না করেন। এটা খুব সহজেই আপনি পরীক্ষা করতে পারবেন। কাউকে যদি দেখেন যে, সে হককে কবুল করছে না, তাহলে বুঝতে হবে যে তাঁর মধ্যে অহংকার আছে। তবে হকটা হক হিসেবেই হতে হবে, হক কবুল করার বিষয়টি খায়েশ অনুযায়ী হলে চলবে না। আপনি বলছেন যে, এটা কবুল করল না, এ জন্য আপনি মনে করলেন এই লোক অহংকারী, ব্যাপারটি এমন নয়। প্রকৃত হক বা সত্যকে কেউ ইচ্ছা করে কবুল করতে না পারলে বুঝতে হবে অহংকার তাঁকে বাধা দিচ্ছে।
.
🔘 দ্বিতীয় হচ্ছে, মানুষদের প্রতি অবজ্ঞা, অবহেলা, তুচ্ছজ্ঞান। মানুষদের প্রতি দুর্ব্যবহার করা, ছোট করার চেষ্টা করা। যদি এটি কোনো লোকের বক্তব্য বা আচরণের মাধ্যমে অথবা কোনো ইঙ্গিতের মাধ্যমে, কোনো লেনদেনের মাধ্যমে বোঝা যায়, তাহলে বুঝতে হবে তাঁর মধ্যে অহংকার রয়েছে। সেটা আপনার মধ্যে থাকলে আপনিই সেটা বুঝতে পারবেন।
.
আর এই বিষয়টিকে সত্যিকার পরিচর্যা করার জন্য যে কাজটি আপনাকে করতে হবে সেটি হলো, আপনি সব সময় খেয়াল রাখবেন যে, ‘আমি একটু বড়’ এই ভাবটি আপনার মধ্যে জাগ্রত হচ্ছে কি না, এই অহমিকা ভাব, বড়ত্বের ভাব আসছে কি না। এই ভাবটি যদি আপনার অন্তরের মধ্যে আসে, তাহলে আপনি মনে করবেন যে, অহংকার এখনো রয়ে গিয়েছে। এর মাত্রা হয়তো কম-বেশি হতে পারে, কিন্তু অহংকার এখনো রয়ে গিয়েছে।
.
কিন্তু যদি দেখেন যে কোনো ব্যক্তির অবস্থান এবং আপনার অবস্থান অন্তরের মধ্যে সমান মনে হচ্ছে, তাহলে বুঝবেন যে আপনার অন্তর থেকে আসলেই অহংকার চলে গিয়েছে, আপনার অন্তর অহংকার থেকে মুক্তি লাভ করতে পেরেছে
.
🔘 অহংকার নিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একটি হাদীস— 🔘
.
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যার অন্তরে অণু পরিমাণ অহঙ্কার থাকবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।’’ একটি লোক বলল, ‘মানুষ তো ভালবাসে যে, তার পোশাক সুন্দর হোক ও তার জুতো সুন্দর হোক, (তাহলে)?’ তিনি বললেন, ‘‘আল্লাহ সুন্দর, তিনি সৌন্দর্যকে ভালবাসেন। (সুন্দর পোশাক ও সুন্দর জুতো ব্যবহার অহংকার নয়, বরং) অহংকার হল, সত্য প্রত্যাখ্যান করা এবং মানুষকে তুচ্ছজ্ঞান করা।’’ (মুসলিম) [1]
.
[1] মুসলিম ৯১, তিরমিযী ১৯৯৮, ১৯৯৯, আবূ দাউদ ৪০৯১, ইবনু মাজাহ ৫৯, ৪১৭৩, আহমাদ ৩৭৭৯, ৩৯০৩, ৩৯৩৭, ৪২৯৮ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বইঃ রিয়াযুস স্বা-লিহীন, অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ, হাদিস নম্বরঃ ৬১৭ ৷
_______________&&&
.
আপনি যদি দুটি কাজ করেন, তাহলে বুঝবেন আপনার অহংকার আছে।
🔘 প্রথমত হচ্ছে, আপনি যদি হককে কবুল না করেন। এটা খুব সহজেই আপনি পরীক্ষা করতে পারবেন। কাউকে যদি দেখেন যে, সে হককে কবুল করছে না, তাহলে বুঝতে হবে যে তাঁর মধ্যে অহংকার আছে। তবে হকটা হক হিসেবেই হতে হবে, হক কবুল করার বিষয়টি খায়েশ অনুযায়ী হলে চলবে না। আপনি বলছেন যে, এটা কবুল করল না, এ জন্য আপনি মনে করলেন এই লোক অহংকারী, ব্যাপারটি এমন নয়। প্রকৃত হক বা সত্যকে কেউ ইচ্ছা করে কবুল করতে না পারলে বুঝতে হবে অহংকার তাঁকে বাধা দিচ্ছে।
.
🔘 দ্বিতীয় হচ্ছে, মানুষদের প্রতি অবজ্ঞা, অবহেলা, তুচ্ছজ্ঞান। মানুষদের প্রতি দুর্ব্যবহার করা, ছোট করার চেষ্টা করা। যদি এটি কোনো লোকের বক্তব্য বা আচরণের মাধ্যমে অথবা কোনো ইঙ্গিতের মাধ্যমে, কোনো লেনদেনের মাধ্যমে বোঝা যায়, তাহলে বুঝতে হবে তাঁর মধ্যে অহংকার রয়েছে। সেটা আপনার মধ্যে থাকলে আপনিই সেটা বুঝতে পারবেন।
.
আর এই বিষয়টিকে সত্যিকার পরিচর্যা করার জন্য যে কাজটি আপনাকে করতে হবে সেটি হলো, আপনি সব সময় খেয়াল রাখবেন যে, ‘আমি একটু বড়’ এই ভাবটি আপনার মধ্যে জাগ্রত হচ্ছে কি না, এই অহমিকা ভাব, বড়ত্বের ভাব আসছে কি না। এই ভাবটি যদি আপনার অন্তরের মধ্যে আসে, তাহলে আপনি মনে করবেন যে, অহংকার এখনো রয়ে গিয়েছে। এর মাত্রা হয়তো কম-বেশি হতে পারে, কিন্তু অহংকার এখনো রয়ে গিয়েছে।
.
কিন্তু যদি দেখেন যে কোনো ব্যক্তির অবস্থান এবং আপনার অবস্থান অন্তরের মধ্যে সমান মনে হচ্ছে, তাহলে বুঝবেন যে আপনার অন্তর থেকে আসলেই অহংকার চলে গিয়েছে, আপনার অন্তর অহংকার থেকে মুক্তি লাভ করতে পেরেছে
.
🔘 অহংকার নিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একটি হাদীস— 🔘
.
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যার অন্তরে অণু পরিমাণ অহঙ্কার থাকবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।’’ একটি লোক বলল, ‘মানুষ তো ভালবাসে যে, তার পোশাক সুন্দর হোক ও তার জুতো সুন্দর হোক, (তাহলে)?’ তিনি বললেন, ‘‘আল্লাহ সুন্দর, তিনি সৌন্দর্যকে ভালবাসেন। (সুন্দর পোশাক ও সুন্দর জুতো ব্যবহার অহংকার নয়, বরং) অহংকার হল, সত্য প্রত্যাখ্যান করা এবং মানুষকে তুচ্ছজ্ঞান করা।’’ (মুসলিম) [1]
.
[1] মুসলিম ৯১, তিরমিযী ১৯৯৮, ১৯৯৯, আবূ দাউদ ৪০৯১, ইবনু মাজাহ ৫৯, ৪১৭৩, আহমাদ ৩৭৭৯, ৩৯০৩, ৩৯৩৭, ৪২৯৮ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বইঃ রিয়াযুস স্বা-লিহীন, অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ, হাদিস নম্বরঃ ৬১৭ ৷
_______________&&&
উত্তর : ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
No comments:
Post a Comment