দু’আ কবূলের জন্য শর্তগুলি কি কি?
=================
দু’আ কবূলের জন্য কতিপয় শর্ত রয়েছে। তা সর্ববস্থায় দু’আর ক্ষেত্রে বর্তমান থাকতে হবে।
#প্রথম শর্তঃ একাগ্রচিত্তে আল্লাহর কাছে দু’আ করা। অন্তরকে আল্লাহর দিকে ফিরিয়ে, এই বিশ্বাসের সাথে আল্লাহর কাছে দু’আ করা যে, আল্লাহ কবূল করতে সক্ষম। দু’আ করার সময় এই আশা রাখবে যে, আল্লাহ তা কবূল করবেন।
#দ্বিতীয় শর্তঃ দু’আ করার সময় এই কথা অনুভব করবে যে, দু’আ কবূলের দিকে সে খুবই মুখাপেক্ষী। শুধু তাই নয় বরং এ কথাও অনুভব করবে যে, একমাত্র আল্লাহই বিপদগ্রস্ত ফরিয়াদকারীর ফরিয়াদ শ্রবণ করেন এবং তিনিই বিপদ থেকে উদ্ধার করেন। যদি এ কথা অনুভব করে যে, সে আল্লাহর দিকে মুখাপেক্ষী নয় এবং আল্লাহর কাছে তার কোন প্রয়োজনও নেই; বরং দু’আ করাটা যেন একটা অভ্যাসমাত্র তাহলে এ ধরণের দু’আ কবূল না হওয়ারই উপযোগী।
#তৃতীয় শর্তঃ হারাম খাওয়া থেকে দূরে থাকবে। কারণ বান্দা এবং তার দু’আ কবূল হওয়ার মধ্যে হারাম রুযী প্রতিবন্ধক হয়ে থাকে। ছহীহ হাদীছে প্রমাণিত আছে যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
“নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহ পবিত্র তিনি পবিত্র ব্যতীত অন্য কিছু গ্রহণ করেন না। আল্লাহ তাআ’লা রাসূলদের (আঃ) প্রতি যা নির্দেশ দিয়েছেন, মুমিনদের প্রতিও তাই নির্দেশ দিয়েছেন।” তিনি বলেনঃ
“হে রাসূলগণ! তোমরা পবিত্র বস্ত থেকে আহার্য গ্রহণ কর এবং সৎ কর্ম কর।” (সুরা মুমিনুনঃ ৫১)
আল্লাহ বলেনঃ
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা পবিত্র বস্ত সামগ্রী থেকে আহার গ্রহণ কর, যেগুলো আমি তোমাদেরকে রুযী হিসেবে দান করেছি।” (সূরা বাকারাঃ ১৭২)
অতঃপর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেই ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে দীর্ঘ সফর করে এলায়িত কেশ ও ধুলামিশ্রিত পোশাক নিয়ে অত্যন্ত ব্যাকুলভাবে আকাশের দিকে দু’হাত তুলে ডাকতে থাকে হে, প্রতিপালক! হে রব!! অথচ সে ব্যক্তির পানাহার সামগ্রী হারাম উপার্জনের, পোশাক-পরিচ্ছদ হারাম পয়সায় সংগৃহীত, এমতাবস্থায় কি করে তার দু’আ কবূল হতে পারে ?”
(ফতোওয়া আরকানুল ইসলাম থেকে)
মূল: শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল-উসাইমীন (রহ.)
No comments:
Post a Comment