وَعَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:إِنْ مَنْ أَحَبِّكُمْ إِلَىَّ أَحْسَنَكُمْ أَخْلَاقًا. رَوَاهُ البُخَارِىُّ
১] ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি আমার কাছে খুব প্রিয়, যার চরিত্র ভালো।
[সহীহ : বুখারী ৩৭৫৯, সহীহুল জামি‘ ২২০০, শু‘আবুল ঈমান ৭৯৮৫, সহীহ আত্ তারগীব ২৬৪০, মুসনাদুল বাযযার ১৭২৩, আহমাদ ৭০৩৫, শু‘আবুল ঈমান ৭৯৮৫, ‘ত্ববারানী’র আল মু‘জামুল কাবীর ৯৬৪, আল মু‘জামুল আওসাত্ব ৭৬৯৭, তিরমিযী ২০১৮, গয়াতুল মারাম ৪৩৪, আল আদাবুল মুফরাদ ২৭১, আস্ সুনানুল কুবরা ২১৩০৪।]
হাদিসের ব্যাখ্যাঃ (أَحْسَنَكُمْ أَخْلَاقًا) অর্থাৎ যার মধ্যে যাবতীয় ভালো-মন্দ শামিল থাকে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর হক ও বান্দার হক যথাযথভাবে আদায় করে চলে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
হাদীসটির বাস্তবিক শিক্ষা : মুসলিম সমাজে অনেককে দেখা যায় যারা সত্য কথা বলে, দান-সাদাকা করে, বড়দের সম্মান ও ছোটদের স্নেহ করে। সকল মানুষ বিনয়ীর কারণে তাকে ভালোবাসে, ভালো বলে। কিন্তু সে সলাত আদায় করে না, গোপনে পাপ কাজে লিপ্ত হয়। এরূপ সকল ব্যক্তি সমাজের চোখে ভালো হলেও কিন্তু মহান আল্লাহর কাছে ভালো না, অপরাধী। কাজেই ভালো হতে হলে মানুষের হক ও আল্লাহর হক উভয়টিই আদায় করতে হবে। তাহলে উত্তম চরিত্রবান হওয়া যাবে। [সম্পাদক]
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:إِنَّ مِنْ خِيَارِكُمْ أَحْسَنُكُمْ أَخْلَاقًا. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
২ ] উক্ত [‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ঐ ব্যক্তি, যে চরিত্রের দিক দিয়ে উত্তম।
[সহীহ : বুখারী ৩৫৫৯, মুসলিম ৬৮-(২৩২১), সহীহ আত্ তারগীব ২৬৪০, মুসান্নাফ ইবনু আবূ শায়বাহ্ ২৫৩১৭, মুসনাদুল বাযযার ২৪১৭, শু‘আবুল ঈমান ৭৯৮৫।]
হাদিসের ব্যাখ্যাঃ إِنَّ مِنْ خِيَارِكُمْ أحسنَكم أَخْلَاقًا অত্র হাদীসটিতে সৎচরিত্রের প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে এবং সৎচরিত্রবানের ফাযীলাত বর্ণনা করা হয়েছে। এটা আল্লাহর নবীগণের ও বন্ধুগণের গুণাবলী। হাসান বাসরী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ উত্তম চরিত্রের স্বরূপ হলো ভালো কাজ করা, মন্দ প্রতিহত করা, হাসি মুখ রাখা। কাযী ‘ইয়ায (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ উত্তম চরিত্র হলো মানুষের সাথে সুন্দর ও হাসি-খুশি চেহারা নিয়ে মিলিত হওয়া, তাদের সাথে বন্ধুত্ব রাখা, তাদের প্রতি সদয় হওয়া, তাদের কষ্ট দূর করার চেষ্টা করা, তাদের প্রতি সহনশীল হওয়া, তাদের অপছন্দনীয় কাজের উপর ধৈর্য ধারণ করা, তাদের ওপর জোর-জবরদস্তি ও অহংকার পরিহার করা, তাদের ওপর ভুল ও রাগা-রাগি থেকে দূরে থাকা, তাদেরকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখা। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
No comments:
Post a Comment