Wednesday, September 26, 2018

প্রশ্নঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন,জাহান্নামের অধিকাংশ অধিবাসী হবে নারী এই সম্পকে জানতে চাই?



Image may contain: fire


👉প্রশ্নঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন,জাহান্নামের অধিকাংশ অধিবাসী হবে নারী এই সম্পকে জানতে চাই?
____________________________________________
উওরঃ
তারা কি তাদের বাবা ও স্বামী কে খুবই ঘৃনা করে নইলে তারা এত অকৃতজ্ঞ কেন?
নিজেরা তো জাহান্নাম এ যাবেই সাথে বাবা ও স্বামীর জন্য জান্নাত হারাম করার প্রতিযোগিতা করছে কেন?

সাধারনত মেয়েদের জান্নাতে যাওয়া তুলনামূলক সহজ কারন ওদের প্রেসার কম, সংসারের দায়িত্ব, রোজগার করা কিংবা সামাজিক সকল ঝামেলা গুলা পেহাতে হয়না যা ছেলেদের করতে হয়, ওরা শুধুমাত্র সংসার দেখলে এবং সৎ থাকলে ও ধর্মিয় কাজ গুলা করলেই জান্নাত তবু তারাই বেশি জাহান্নাম এ যাবে এর কারন উধঘাটনের চেষ্টা করছি:
হাদীসে এসেছে-
عن أسامة بن زيد رضي الله عنهما عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: قمت على باب الجنة ، فكان عامة من دخلها المساكين ، وأصحاب الجد محبوسون ، غير أن أصحاب النار قد أمر بهم إلى النار ، وقمت على باب النار فإذا عامة من دخلها النساء.
উসামা ইবনে যায়েদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: আমি জান্নাতের গেটে দাড়ালাম, দেখলাম যারা তাতে প্রবেশ করেছে তারা অধিকাংশ ছিল দুনিয়াতে দরিদ্র অসহায়। আর ধনী ও প্রভাবশালীদের আটকে দেয়া হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে যাদের জাহান্নামে যাওয়ার ফয়সালা হয়ে গেছে তাদের কথা আলাদা। আর আমি জাহান্নামের প্রবেশ পথে দাড়ালাম। দেখলাম, যারা প্রবেশ করছে তাদের অধিকাংশ নারী।
(বর্ণনায় বুখারী:৩০১৪ ও মুসলিম)
আল্লাহতালা মেয়েদের বলেন,
তোমরা সগৃহে অবস্থান কর, প্রাচীন জাহেলি যুগের নারীদের মত নিজেদের প্রদরশন করোনা" ( আহযাব ৩৩)৷
তোমরা তাদের নিকট কিছু চাইলে পরদার আড়াল থেকে চাও ৷ এটা তোমাদের এবং তাদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারন "
( আহযাব ৫৩) ৷
"হে নবী ! তুমি ঈমানদার নারীদের বলে দাও , তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে ও তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে ৷
তারা যেন যা সাধারনতঃ প্রকাশমান থাকে তা ব্যতীত চাদের সৌন্দয প্রকাশ না করে ৷ তাদের গ্রীবা (স্তন) ও গলদেশে চাদর(ওড়না) দ্বারা ঢেকে রাখে "
(নূর ৩১)
সুরা আহযাব এ আল্লাহ মেয়েদের বলেন,
তোমরা পরপুরুষ এর সাথে কোমল ও আকর্ষনিয় ভাঙ্গিতে কথা বলনা করন এতে দুশ্চরিত্র লোকজন তোমাকে নিয়ে কু বাসনা করবে!
কিন্তু মেয়ে রা কি তা মানে? সারাক্ষণ ই তো ফোন ফেসবুক মেসেন্জার এ কত মধুর আলাপ করেন, কত পুরুষ এট সাথে কত রং ঢং এ কথা বলেন? তখন সে ছেলেরা তাকে খারাপ মেয়ে মনে করে চান্স নিতে যায় তখনি বিশ্রী ঘটনা ঘটে!
আর আল্লাহতালার আদেশ অমান্যকারী কি জান্নাতে যাবে?
রাসুল সা:বলেছেন,
যারা গরুর লেজ সদৃশ বেত দ্বারা মানুষকে প্রহার করে এবং যে সব নারী এত পাতলা পোশাক পরিধান করে যে তার ভেতর দিয়ে শরীরের অংশ দেখা যায় এবং উটের কুঁজের মতন কেশ বিন্যাস করবে। এ নারী জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না, যা বহুদূর থেকে পাওয়া যায়।''
[সহীহ মুসলিম হাদিস নং: ২১২৭,মুসনাদে আহমাদ, হাদীস:৮৬৬৫]
🔵রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
“কোনো পুরুষ কোনো নারীর সাথে নির্জনে মিলিত হলে নিঃসন্দেহে তাদের তৃতীয়জন হয় শয়তান।(অর্থাৎ তখন শয়তান তাদের মনে কুমন্ত্রণা দেয়)।”
(জামে তিরমিযী,হাদীস : ১১৭১)
অথচ আজকাল মেয়েরা প্রেমের নামে কি সব নির্লজ্জতা করছে সবাই জানেন?
🔵রাসুল(সঃ) বলেন, নারী হল গোপনীয় সত্ত্বা।যখন সে ঘর থেকে বের হয় তখন শয়তান তার দিকে দৃষ্টি উচু করে তাকাতে থাকে। (তিরমিযি১/২২২)
কিন্তু মেয়েরা রংঢং করে বেপর্দা হয়ে ঘুড়ে বেড়ায়, নিজেদের রুপ দেখিয়ে বেড়ায়, যখন কেউ তাদের নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করে তখন তারা খুশি হয়!! পার্লারে গিয়ে সাজুগুজু করে বের হলে যদি পরিচিত লোক জন তাকে অশ্লীল মন্তব্য না করে,যেমন তোমাকে খুব সেক্সি লাগছে! তোমাকে খুব হট লাগছে! ওহ ইউ আর লুকিং সো হট এন্ড সেক্সি! এমন বাজে মন্তব্য না করলেও ওরা রাগ করে!নাউজুবিল্লা!
একটা প্রশ্ন?
ধরুন আপনি যদি কারো টাকা আত্মসাৎ করেন সেটা পাপ বাট আপপনার লাভ হল!
কারো সাথে সেক্স করলেন লাভ হল যে মজা পেলেন!
কারো সম্পত্তি দখল করলে তাও লাভ হল!যদিও জাহান্নামের সাস্থি ভোগ করবেন কিন্তু এই যে রাস্তায়য় বেপর্দা হয়েয়ে নিজের সুঢৌল স্তন, সুউচ্চ হিপ ও সেক্সি নাভি, উরু মানুষকে দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ ছেলেদের মাথা নষ্ট করছ?
কখনো বা রেপ হচ্ছ আর সব ছেলেরা তোমাকে কল্পনা করে যখন গোপন পাপ করছে বা তোমাকে কামনা করছে এই সবব পাপ তোমার এবং তোমার বাবা ও স্বামীর নামেও লেখা হচ্ছে!
একবার ভাব তো তোমার কারনেরনে তুমি নিজে,বাবা,স্বামী ও সারাজীবন যে লক্ষ লক্ষ ছেলে তোমাকে দেখে বাজে কামনা করছে সব লোক জাহান্নামী!
আর ফেসবুকে যে বেপর্দা ফটো দিচ্ছ? সমগ্র বিশ্বে তা ভাইড়াল হচ্ছে, কত কোটি কোটি ছেলে দেখছে ও পাপ করছে? হিসেব করেছ? কি লাভ হচ্ছে তোমার?
শুধু শুধু জাহান্নামের পথ তৈরী করছ!
মেয়ে তুমি এত বোকা কেন?
🔵ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম [মহিলাদেরকে সম্বোধন করে] বললেন,
‘‘হে মহিলা সকল! তোমরা সাদকাহ-খয়রাত করতে থাক ও অধিকমাত্রায় ইস্তিগফার কর। কারণ আমি তোমাদেরকে জাহান্নামের অধিকাংশ অধিবাসীরূপে দেখলাম।’’ একজন মহিলা নিবেদন করল, ‘আমাদের অধিকাংশ জাহান্নামী হওয়ার কারণ কি? হে আল্লাহর রসূল!’ তিনি বললেন, ‘‘তোমরা অভিশাপ বেশি কর এবং নিজ স্বামীর অকৃতজ্ঞতা কর। বুদ্ধি ও ধর্মে অপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও বিচক্ষণ ব্যক্তির উপর তোমাদের চাইতে আর কাউকে বেশি প্রভাব খাটাতে দেখিনি।’’ মহিলাটি আবার নিবেদন করল, ‘বুদ্ধি ও ধর্মের ক্ষেত্রে অপূর্ণতা কি?’ তিনি বললেন, ‘‘দু’জন নারীর সাক্ষ্য একজন পুরুষের সাক্ষ্য সমতুল্য। আর [প্রসবোত্তর খুন ও মাসিক আসার] দিনগুলিতে মহিলা নামায পড়া বন্ধ রাখে।’’ (মুসলিম) [1]
[1] সহীহুল বুখারী ৩০৪, ১৪৬২, মুসলিম ৭৯, ৮০, নাসায়ী ১৫৭৬, ১৫৭৯, আবূ দাউদ ৪৬৭৯, ইবনু মাজাহ ১২৮৮, ৪০০৩, আহমাদ ৫৩২১, ১০৯২২, ১০৯৮৮, ১১১১৫ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
🔵ইবনু ‘আববাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমাকে জাহান্নাম দেখানো হয়। (আমি দেখি), তার অধিবাসীদের বেশির ভাগই নারীজাতি; (কারণ) তারা কুফরী করে। জিজ্ঞেস করা হল, ‘তারা কি আল্লাহর সঙ্গে কুফরী করে?’ তিনি বললেনঃ ‘তারা স্বামীর অবাধ্য হয় এবং অকৃতজ্ঞ হয়।’ তুমি যদি দীর্ঘদিন তাদের কারো প্রতি ইহসান করতে থাক, অতঃপর সে তোমার সামান্য অবহেলা দেখতে পেলেই বলে ফেলে, ‘আমি কক্ষণো তোমার নিকট হতে ভালো ব্যবহার পাইনি।’
(বুখারি-৪৩১,৭৪৮,১০৫২,৩২০২,৫১৯৭; মুসলিম ৮/১ হাঃ ৮৮৪, আহমাদ ৩০৬৪) ( প্রকাশনীঃ ২৮,ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৮)
♪♪♪স্ত্রী ও মেয়ে পর্দা না করলে পিতা/স্বামীর নিশ্চিত জাহান্নামী :
রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ বেহেশ এর দরজায় লিখা আছে,
আদ দাইয়ুসু লা ইয়াদখুলুল জান্নাহ।
‘দাইয়ূস কখনোই জান্নাতে প্রবেশ করবে না’।
(নাসাঈঃ ২৫৬২, আহমাদ, মিশকাতঃ ৩৬৫৫; সহীহুল জামেঃ ৩০৫২)
সাহাবায়ে কেরাম অত্যন্ত ভিত হয়ে বললেন,ইয়া রাসুলউল্লাহ,
★দাইয়ুস কে?
দাইয়ুস হল সেই ব্যক্তি যার স্ত্রী কন্য পর্দা করেনা, অশ্লীলতা করে বেড়ায়।
রাসূল (সাঃ) বলেছেন:
★★★"তিন(৩) প্রকার লোকদের জন্য আল্লাহপাক জান্নাতকে হারাম করে দিয়েছেন। অনবরত মদ পানকারী, পিতা-মাতার অবাধ্য ব্যক্তি এবং "দাইয়ুস" এমন ব্যক্তি যে তার পরিবারের অশ্লীলতাকে মেনে নেয়"।
***আহমাদ, সাহীউল জামে: ৩০৪৭।
আবু হুরায়ররা (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, "মহান আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি যে নারী ঈমান রাখে, তার মাহরামের সঙ্গ ছাড়া একাকিনী এক দিন এক রাতের দূরত্ব সফর করা বৈধ নয়।’’
.
[সহীহ বুখারীঃ হাদীস ১০৮৮, সহীহ মুসলিমঃ ১৩৩৯, জামে তিরমিযীঃ হাদীস ১০৭০, সুনানে আবু দাউদঃ হাদীস ১৭২৩, ইবনে মাজাহঃ হাদীস ২৮৯৯, মুসনাদে আহমদঃ হাদীস ৭১৮১, ৭৩৬৬, ৮২৮৪, ৮৩৫৯, ৯১৮৫, ৯৩৭৪, ৯৮৪৮, ১০০২৯, ১০১৯৭, মুওয়াত্তা মালিকঃ হাদীস ১৮৩৩]
দেখা যাচ্ছে মহিলারা তাদের নির্বুদ্ধিতা ও অপূর্নতা সত্তেও নিজেদের বেশি পন্ডিত ভাবে, স্বামীর সাথে দুর্ব্যবহার করে সামান্য কিছুর অভাব হলেই,বলে যে তোমার সংসারে এসে আমার জীবন শেষ,আমি বলেলেই তোমার সংসার করছি নয়তো তোমার মত বলদের সংসার কোন মেয়ে করত? যে বাবা ও স্বামী তাদের এত কষ্ট করে,মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উপার্জন করে,তাদের লালন পালন করে সে বাবা ও স্বামীর ই অবধ্যতা করে, বেহায়াপনা করে,বেপর্দা হয়ে চলে যে কারনে নিজেরা ও জাহান্নামী সাথে বাবা ও স্বামী কেও জাহান্নামে পাঠানোর ব্যবস্থা করে!! এজন্য কি পুরুষ রা এত কষ্ট করে তাদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য?
বাবা এবং স্বামী কে কি তারা এতটাই ঘৃনা করে যে তারা অন্যের দেখাদেখি অশ্লীলতার প্রতিযোগিতা করে তাদের জাহান্নামে পাঠানোর প্রতিযোগিতা করে?

No comments:

Post a Comment