.
চুরি করা একটি নিকৃষ্ট পেশা। যা সমাজ ও সভ্যতা বিবর্জিত কাজ। এ ঘৃণ্য ও নিকৃষ্ট কর্মের সাথে যদি কেউ সম্পৃক্ত হয় তাহলে ইসলাম তার ব্যাপারে সুন্দর ফায়ছালা প্রদান করেছে। যেমন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা বলেন,
ٌ‘পুরুষ চোর আর নারী চোর তাদের যে কেউ চুরি করলে তোমরা তাদের উভয়ের হাত কেটে দিবে। এটা তাদের কৃতকর্মের ফল।
যা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত আদর্শ দন্ড। আর তিনি পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়!
(সূরা মায়েদা, আয়াত ৩৮) ।
ধনী হোক আর গরীব হোক, উঁচু বংশ হোক আর নিচু বংশ হোক নারী-পুরুষ যে কেউ চুরি করলে অতঃপর তা যদি প্রকাশ পায় তাহলে অবশ্যই তার ডান হাত গিট থেকে কর্তন করতে হবে। নবুওয়াতের যুগে এক সম্ভ্রান্ত বংশের মহিলা চুরি করলে শাস্তি বাস্তবায়নে টালবাহনা করলে
রাসূল (ছাঃ) ধমকের স্বরে বলেন,
আমার মেয়ে ফাতেমাও যদি চুরি করত আমি মুহাম্মাদ (ছাঃ) তবুও তার হাত কেটে দিতাম’।
(ছহীহ বুখারী হা/৩৪৭৫ ও ৪৩০৪; মুসলিম হা/৪৫০৫; মিশকাত হা/৩৬১০) ।
এটি আল্লাহর বিধান। এখানে শিথিলতার কোন সুযোগ নেই।
চোরের শাস্তির এই শরিয়তী বিধান
যদি সরকার বাস্তবায়ন করে তাহলে
চোরেরা সাবধান হবে এবং চুরির
পরিমাণ কমে যাবে।
.
অন্যদিকে কেউ কেউ সামান্য কিছু জিনিস চুরি করাকে তেমন অপরাধ বলে মনে করেন না। অথচ এ প্রসঙ্গে
রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,
সেই চোরের উপর আল্লাহর লা‘নত বা অভিশাপ দিয়েছেন যে একটি ডিম চুরি করার ফলে তার হাত কাটা হয়। এমনি ভাবে এক গাছি রশি চুরি করার ফলে তার হাত কাটা যায়।
(ছহীহুল বুখারী হাদিস নং ৬৭৮৩,
‘দন্ডবিধি’ অধ্যায়-৯০, অনুচ্ছেদ-৮) ।
No comments:
Post a Comment