Thursday, November 15, 2018

কোরআন ও বিজ্ঞানে আংগুলের ছাপ



No automatic alt text available.


১ মিনিটেই পড়ে ফেলুন 
জ্ঞানও বাড়বে,ঈমানও বাড়বে ইনশাআল্লাহ।
***************************************
মক্কার মুশরিকরা #পূর্ণজন্ম বা পুনরুত্থানের বিষয়ে সন্দেহ পোষন করে হাসাহাসি করে রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করতো?
17:49
وَقَالُوٓا أَءِذَا كُنَّا عِظٰمًا وَرُفٰتًا أَءِنَّا لَمَبْعُوثُونَ خَلْقًا جَدِيدًا
আর তারা বলে, ‘যখন আমরা হাড্ডি ও ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে যাব, তখন কি আমরা নতুন সৃষ্টিরূপে পুনরুজ্জীবিত হব’?
(সূরা বনী ইসরাইল আয়াত ৪৯,)
#জবাবে তখন আল্লাহ্‌ বলেন--
(75:3)
أَيَحْسَبُ الْإِنسٰنُ أَلَّن نَّجْمَعَ عِظَامَهُۥ
মানুষ কি মনে করে যে, আমি কখনই তার অস্থিসমূহ একত্র করব না?
(75:4)
بَلٰى قٰدِرِينَ عَلٰىٓ أَن نُّسَوِّىَ بَنَانَهُۥ
হ্যাঁ, আমি তার আংগুলের অগ্রভাগসমূহও পুনর্বিন্যস্ত করতে সক্ষম।
।(সুরা কিয়ামাহ: ৩,৪)
বন্ধুগন, এখানে আংগুলের ডগা বলতে কিন্ত ফিংগার প্রিন্টকেই বুঝানো হয়েছে।আর নিশ্চয় এটি একটি অতিব কঠিন গঠন শৈলী। তাই আল্লাহ এটিকে উদাহরণ হিসেবে কোরানে উল্লেখ করেছেন>>
তাই আসুন #বিজ্ঞানের_আলোকে হাত এবং আঙ্গুলের গঠনশৈলী ও শৈল্পিক এনাটমি একটু বিশ্লেষণ করা যাকঃ
 সমস্ত শরীরের হাড়ের সংখ্যা মোট ২০৬টি, জানেন কি তন্মধ্যে দুই হাতেই রয়েছে ৫৪টি এবং তা হাতের এসব সুক্ষ কর্মকাণ্ডের প্রয়োজনেইই।
 দুই হাতের দ্রুত পরিচালনার নিমিত্তে রযেছে ৬০টি মাংশপেশী।
মাংশপেশী সমূহের insertion বা নিস্পত্তি হয় tendon sheath এর মাধ্যমে যার শৈল্পিক গঠন এবং বিন্যাস খুবই সুন্দর এবং তাৎপর্যপূর্ণ।
 ধমনী এবং শিরার জালিকা বিন্যাস (capillaries & venules), synovial sheath distribution অবাক করার মত। অনামিকা এবং মধ্যমা আঙ্গুলে সাইনোভিয়াল শিথ না থাকার কারণেই এই দু আঙ্গুলে prick করে রক্ত নেয়া হয় যাতে কোন প্রকার সংক্রমণ না হয়।
আঙ্গুলের nerve endings বা স্নায়ুপ্রান্ত অত্যন্ত সংবেদনশীল। না দেখেও অনেককিছু স্পর্শ করে আন্দাজ করা সম্ভব যা অনেকটা ষষ্ঠেন্দ্রীয়ের মতই।
স্নায়ুবিহীন নখের উপস্থিতি কত গুরুত্বপূর্ণ একটু আন্দাজ করুন। তা কেবল সৌন্দর্যের জন্যেই নয়, একবার কোন আঘাতে এটা পড়ে গেলে দিনে কতবার এখানে ব্যথা পাবেন তার ইয়ত্তা নেই, যা অনেকটা ভাঙ্গা পা গর্তে পড়ার মতই।
নখের ধরণ, আকার এবং রং দেখে অনেক গুরুত্বপূর্ণ রোগ নির্ণয় করতে পারেন চিকিৎসকবৃন্দ।
বন্ধুগন,
১৫০০বছর আগে কোরআন এ বর্ণীত হয়েছে এই তথ্য!! কিন্ত>>
আধুনিক বিজ্ঞান কবে জেনেছে?
১৬৮৪ সালে সর্বপ্রথম ইংলিশ ফিজিসিয়ান, উদ্ভিদ বিজ্ঞানী এবং অনুবিক্ষন যন্ত্রবীদ “নিহোমিয়া গ্রিউ” (১৬৪৭-১৭১২) বৈজ্ঞানিক দৈনিকী প্রকাশ করে করতল ও আংগুলের ছাপের রহস্যের সংযোগ সূত্রের ধারণার উত্থাপন করেন।
এর পর ১৬৮৫ সালে ডার্চ ফিজিসিয়ান “গোভার্ড বিডলো” (১৬৪৯-১৭১৩) এবং ইটালিয়ান বিজ্ঞানী “মারসিলো বিডলো” (১৬২৮-১৬৯৪) এনাটমির ওপর বই প্রকাশ করে ফিঙ্গার প্রিন্টের ইউনিক গঠনের আলোচনা উত্থাপন করেন।
১৬৮৪ সালের পূর্বে ফিঙ্গার প্রিন্ট সম্পর্কে আর কোনো বিজ্ঞা্নীর আলোকপাতের কথা পাওয়া যায় না। এর পরবর্তী তে দীর্ঘ বিরতির পর ১৮০০ সালের পর ফিঙ্গার প্রিন্ট পুনরায় জোরভাবে বৈজ্ঞানিক দের দৃষ্টি আকর্ষন করে। এসব বিজ্ঞানীদের মধ্য উল্লেখ যোগ্য হলেন, ১৮৭৫ সালে জেন জিন্সেন, খুলনার সৈয়দ মুহাম্মাদ কাজী আজিজুল হক, ব্রিটিশ কর্মকর্তা এওয়ার্ড হেনরি
১৮৮০ সালে স্যার ফ্রান্সিস গোল্ট এর গবেষণার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে আঙ্গুলের ছাপকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।
#পৃথিবীতে_এমন_দুজন_ব্যক্তি_নেই_যাদের_আঙ্গুলের_ছাপ_এক_রকম।এমন কি দুই যমজ ভাইয়েরও না।একারণে বিশ্বব্যাপী পুলিশ বাহিনী অপরধীদেরকে চিহ্নিত করার জন্য আঙ্গুলের ছাপ পরীক্ষা করে।
তাইতো মহান আল্লাহ বলেছেন-----
﴿ فَبِاَىِّ اٰلَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبٰنِ﴾
হে জ্বীন ও মানবজাতি, তোমরা তোমাদের রবের কোন কোন্ কোন্ কুদরতকে অস্বীকার করবে?
সুবাহানাল্লাহ! ১৯শতকে এসে আধুনিক বিজ্ঞান যে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করল, কোরআন তা নিশ্চিত করে বলেদিল ১৫০০ বছর আগে!!
এবং এই গুরত্বপূর্ণ আংগুলের ছাপ বিচারের মাঠে আবার নির্মিত করবেন, বিচারের জন্য আমাদের শরিরকে আবার পুর্নজন্ম দেয়া হবে হুবুহ দুনিয়ার মত করে,,,,,,
আয়াতটি আবার পড়ুন >>-
بَلَى قَادِرِينَ عَلَى أَن نُّسَوِّيَ بَنَانَهُ
বরং আমি তার অংগুলিগুলোর ডগা পর্যন্ত সঠিকভাবে সন্নিবেশিত করতে সক্ষম।” (আল কিয়ামাহ, আয়াত ৩-৪)

No comments:

Post a Comment