*মানুষের নামকে সংক্ষিপ্ত করে ডাকার বিধান*
----------------------------------
প্রশ্ন: মানুষের নামকে বিকৃত করে বা সংক্ষিপ্ত করে ডাকার বিধান কি? যেমন, হেলাল উদ্দিনকে হেলু, সানাউল ইসলামকে শুধু সানু বা ইসলাম নামে ডাকা।
----------------------------------
প্রশ্ন: মানুষের নামকে বিকৃত করে বা সংক্ষিপ্ত করে ডাকার বিধান কি? যেমন, হেলাল উদ্দিনকে হেলু, সানাউল ইসলামকে শুধু সানু বা ইসলাম নামে ডাকা।
উত্তর:
ইসলামের দৃষ্টিতে কারো নামের কিছু শব্দ বা অক্ষর কমিয়ে সংক্ষেপে ডাকা জায়েজ আছে যদি অর্থের বিকৃতি না ঘটায়, যার নাম ডাকা হল সে যদি এতেও সন্তুষ্ট না হয় এবং তাকে হেয় প্রতিপন্ন করা উদ্দেশ্য না হয়।
ইসলামের দৃষ্টিতে কারো নামের কিছু শব্দ বা অক্ষর কমিয়ে সংক্ষেপে ডাকা জায়েজ আছে যদি অর্থের বিকৃতি না ঘটায়, যার নাম ডাকা হল সে যদি এতেও সন্তুষ্ট না হয় এবং তাকে হেয় প্রতিপন্ন করা উদ্দেশ্য না হয়।
✅ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা কে কখনো কখনো বলতেন, يا عائش হে আয়েশ (আয়েশাহ নয়)।
যেমন নিম্নোক্ত হাদীসটি:
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর স্ত্রী ‘আয়িশাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে ‘আয়িশ! এই যে জিবরীল ‘আ.) তোমাকে সালাম বলছেন। তিনি বললেনঃ তাঁর উপরও আল্লাহর শান্তি ও রহমত নাযিল হোক। এরপর তিনি বললেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেখেন, যা আমি দেখি না। [৩২১৭] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৬০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৫৫)
ইমাম নওবী রহ. বলেন, “এ হাদীস থেকে কারো নাম সংক্ষিপ্ত করে ডাকার বৈধতা প্রমাণিত হয় যদি এতে সে কষ্ট না পায়।”
ইমাম নওবী রহ. বলেন, “এ হাদীস থেকে কারো নাম সংক্ষিপ্ত করে ডাকার বৈধতা প্রমাণিত হয় যদি এতে সে কষ্ট না পায়।”
✅ এছাড়াও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবু হুরায়রা কে 'আবু হির' বলে সম্বোধন করেছেন। যেমন
ইমাম বুখারী রা, অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন এভাবে: “কারো সঙ্গীকে তার নামের কিছু অক্ষর কমিয়ে ডাকা।”
وَقَالَ أَبُو حَازِمٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ لِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَا أَبَا هِرٍّ
আবূ হাযিম (রহ.) বলেন, আবূ হুরাইরাহ বলেছেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ‘হে আবু হির’ বলে ডাক দেন। [সহীহ বুখারী (তাওহীদ) / অধ্যায়ঃ ৭৮/ আচার-ব্যবহার (كتاب الأدب)]
✅ ইমাম বুখারীর আল আদাবুল মুফরাদ কিতাবে বর্ণিত হয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উসমান বিন আফফান রা.কে শুধু ‘উসম’ বলে সম্বোধান করেছেন।
ইমাম বুখারী রা, অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন এভাবে: “কারো সঙ্গীকে তার নামের কিছু অক্ষর কমিয়ে ডাকা।”
وَقَالَ أَبُو حَازِمٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ لِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَا أَبَا هِرٍّ
আবূ হাযিম (রহ.) বলেন, আবূ হুরাইরাহ বলেছেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ‘হে আবু হির’ বলে ডাক দেন। [সহীহ বুখারী (তাওহীদ) / অধ্যায়ঃ ৭৮/ আচার-ব্যবহার (كتاب الأدب)]
✅ ইমাম বুখারীর আল আদাবুল মুফরাদ কিতাবে বর্ণিত হয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উসমান বিন আফফান রা.কে শুধু ‘উসম’ বলে সম্বোধান করেছেন।
সুতরাং সানাউল ইসলামকে সানাউল, হেলাল উদ্দিনকে হেলু, ওসমানকে ওসম..... এভাবে সংক্ষেপে ঢাকায় কোন দোষ নেই ইনশাআল্লাহ। এটাকে নাম বিকৃতি বলা যাবে না।
এভাবে বড় নামকে সংক্ষিপ্ত করে ডাকার প্রচলন আরবি সহ পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে।
আরবী পরিভাষায় এ পদ্ধতিকে 'তারখীম' বলা হয়।
আল্লাহু আলম।
--------------
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানী
জুবাইল, সৌদি আরব
এভাবে বড় নামকে সংক্ষিপ্ত করে ডাকার প্রচলন আরবি সহ পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে।
আরবী পরিভাষায় এ পদ্ধতিকে 'তারখীম' বলা হয়।
আল্লাহু আলম।
--------------
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানী
জুবাইল, সৌদি আরব
No comments:
Post a Comment