●|● কুরবানীর বিধি-বিধান ●|●
❖কুরবানীর বিধান: সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ বা গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত (অগ্রাধিকার যোগ্য মত)।
❖কুরবানীর পশু: উট, গরু, দুম্বা, ছাগল ও ভেড়া-নর ও মাদী।
❖কুরবানীর পশু: উট, গরু, দুম্বা, ছাগল ও ভেড়া-নর ও মাদী।
❖যে সকল পশু কুরবানী করা বৈধ নয়: স্পষ্ট কানা,স্পষ্ট অসুস্থ, ল্যাংড়া ও হাড্ডিসার পশু। (তিরমিযী, কিতাবুল হজ/ ৩৪)
❖কুরবানীর পশুর বয়স: উট ৫ বছর, গরু ২ বছর, ছাগল ও দুম্বা ১ বছর ও ভেড়া ৬ মাস।
❖কুরবানীর পশুর বয়স: উট ৫ বছর, গরু ২ বছর, ছাগল ও দুম্বা ১ বছর ও ভেড়া ৬ মাস।
❖কুরবানীর সময়: ঈদের সালাত আদায়ের পর থেকে শুরু করে ঈদের পরে আরও তিন দিন পর্যন্ত।
❖জবাই: সম্ভব হলে নিজ হাতে জবাই করা সুন্নত। তবে অন্যের মাধ্যমে জবাই করা জায়েজ।
❖জবাই: সম্ভব হলে নিজ হাতে জবাই করা সুন্নত। তবে অন্যের মাধ্যমে জবাই করা জায়েজ।
❖গোস্ত বণ্টন: কুরবানীর গোস্ত নিজে খাওয়া, আত্মীয়-প্রতিবেশীকে হাদিয়া দেয়া এবং গরীব মানুষদের দান করা সুন্নত। (তিন ভাগ করা উত্তম; আবশ্যক নয়)।
❖গোস্ত সংরক্ষণ: পরবর্তীতে খাওয়ার উদ্দেশ্যে কুরবানীর গোস্ত সংরক্ষণ করা বৈধ।
❖গোস্ত সংরক্ষণ: পরবর্তীতে খাওয়ার উদ্দেশ্যে কুরবানীর গোস্ত সংরক্ষণ করা বৈধ।
❖কুরবানীর চামড়া: নিজে ব্যবহার করা বৈধ নয়। বরং তা সদকা করে দিতে হবে।
❖ভাগে কুরবানী: একটি পশু একটি পরিবারের পক্ষ থেকে যথেষ্ট। তবে গরু বা উট সাত ভাগে কুরবানী দেয়া জায়েজ।
❖ভাগে কুরবানী: একটি পশু একটি পরিবারের পক্ষ থেকে যথেষ্ট। তবে গরু বা উট সাত ভাগে কুরবানী দেয়া জায়েজ।
❖মৃতের পক্ষ থেকে কুরবানী: মৃত ব্যক্তি ওসিয়ত করে গেলে অথবা নিজের কুরবানীতে পরিবারের জীবিত ও মৃত সকলকে শামিল করে নিয়ত করা বৈধ। তবে মৃতের পক্ষ থেকে আলাদাভাবে কুরবানী করা সুন্নত নয়।
❖কুরবানী দাতার জন্য করণীয়: জিল হজ্জ মাস শুরু হলে কুরবানী করা পর্যন্ত নখ-চুল ইত্যাদি কাটা বৈধ নয়। তবে অনিচ্ছা বা অজ্ঞতা বশত: কাটলে তার জন্য তওবা করতে হবে। এ জন্য আলাদা কোন কাফফারা নাই। পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য এ বিধান প্রযোজন্য নয়।
লেখক: আব্দুল্লাহিল হাদী
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সউদী আরব
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সউদী আরব
No comments:
Post a Comment