Sunday, April 12, 2015

শিয়াদের আকিদা জানা দরকার তারা কেন বাতিল?




আসসালামু আলাইকুম
শাইখুল ইসলাম আহমদ ইবন তাইমিয়্যা র. এর মিনহাজুস সুন্নাহ আন-নবুবিয়্যাহ (منهاج السنة النبوية) নামক গ্রন্থটি হল তাঁর গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থগুসমূহের অন্যতম একটি; আর তার বড় একটি অংশের ব্যাপারে আলেমগণ পাঠনে ও সারসংক্ষেপ করার গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় সাউদী ফতোয়া বিভাগের নেতৃত্বে তা মূদ্রণ এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে বণ্টনের ব্যবস্থা করা হয়েছে; আর অনুরূপভাবে ইমাম মুহাম্মদ ইবন সাউদ র. বিশ্ববিদ্যালয় তার প্রকাশনা ও মুদ্রণের করেছে; কারণ, সকল মুসিলমের নিকট এই গ্রন্থটির গুরুত্ব অনেক বেশি। সাউদী রাষ্ট্রের প্রাক্তন গ্রাণ্ড মুফতী শাইখ আবদুল্লাহ ইবন বায র. এর সভাপতিত্বে গঠিত রাষ্ট্রের স্থায়ী ফতোয়া বোর্ড এই গ্রন্থটি পাঠ করার এবং তা থেকে ফায়দা হাসিলের উপদেশ দিয়েছে।
ইবন তাইমিয়্যা র. কর্তৃক রচিত মিনহাজুস সুন্নাহ সহায়ক
শাইখুল ইসলাম ইমাম আহমদ ইবন তাইমিয়্যা র. বলেন: আল্লাহ আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে আমরা আমাদের সালাতের মধ্যে বলি:
﴿ ٱهۡدِنَا ٱلصِّرَٰطَ ٱلۡمُسۡتَقِيمَ ٦ صِرَٰطَ ٱلَّذِينَ أَنۡعَمۡتَ عَلَيۡهِمۡ غَيۡرِ ٱلۡمَغۡضُوبِ عَلَيۡهِمۡ وَلَا ٱلضَّآلِّينَ ٧ ﴾
[الفاتحة: ٦، ٧]
“আমাদেরকে সরল পথের হিদায়াত দিন; তাদের পথ, যাদেরকে আপনি নিয়ামত দিয়েছেন, যাদের উপর আপনার ক্রোধ আপতিত হয়ন এবং যারা পথভ্রষ্টও নয়।” ( সূরা আল-ফাতিহা: ৬–৭ )। বস্তুত পথভ্রষ্ট হচ্ছে ঐ ব্যক্তি, যে হক তথা সত্যকে চিনতে পারে নি, যেমন খ্রিষ্টানগণ; আর অভিশপ্ত হল ঐ বিপথগামী ব্যক্তি, যে সত্যকে জানে এবং তার বিপরীত কাজ করে, যেমন ইয়াহূদীগণ ...; আর ‘সরল পথ’ সত্যকে জানা ও তার উপর আমল করাকে অন্তর্ভুক্ত করে, যেমনটি সুন্নাহ-ভিত্তিক দো‘আর মধ্যে রয়েছে:
« اللهم، أرني الحق حَقّا ووفّقني لاتباعه، وأرني الباطل باطلا ووفّقني لاجتنابه، ولا تَجْعَلْه مشتبهًا علي فاتبع الهوى » .
“হে আল্লাহ! আপনি আমাকে সত্যকে সত্যরূপে দেখিয়ে দিন এবং আমাকে তার অনুসরণ করার তাওফীক দিন; আর বাতিলকে বাতিলরূপেই আমাকে দেখিয়ে দিন এবং আমাকে তা বর্জন করার তাওফীক দিন; আর আপনি তাকে আমার জন্য সন্দেহ-সংশয়পূর্ণ করবেন না, তাহলে যে আমি প্রবৃত্তির অনুসরণ করে বসব।” [পৃ. ১৯, ১ম খণ্ড ]।
সেই বইয়ের কিছু উত্তর যা জানা আমাদের খুব বেশি প্রয়োজন // শিয়াদের আকিদা জানা দরকার তারা কেন বাতিল তা জানা দরকার
১. প্রশ্ন: শিয়া-রাফেযী সম্প্রদায়ের ব্যাপারে শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যা র. এর বক্তব্য কী?
১. উত্তর: তারা অজ্ঞতা ও যুলুমের দিক বিবেচনায় ভীষণভাবে প্রবৃত্তির পূজারী; নবীগণের পরে প্রথম সারির মুহাজির ও আনসার এবং যাঁরা তাঁদেরকে উত্তমভাবে অনুসরণ করেছে (আল্লাহ তাঁদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তাঁরাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট), তাঁদের মধ্যকার আল্লাহ তা‘আলার উত্তম বন্ধুদের সাথে তারা (রাফেযীরা) শত্রুতা করে; পক্ষান্তরে তারা ইয়াহূদী, খ্রিষ্টান, মুশরিক এবং নুসাইরি (তথাকথিত সিরিয়ার আলাভী সম্প্রদায়), ইসমাঈলিয়্যা (আগাখানী সম্প্রদায়) ও অন্যান্য পথভ্রষ্ট নাস্তিকদের বিভিন্ন কাফির ও মুনাফিকদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে। [পৃ. ২০, ১ম খণ্ড]।
* * *
২. প্রশ্ন: তারা কি ইয়াহূদীদের সহযোগিতাকারী ?
২. উত্তর: রাফেযীরা কর্তৃক ইয়াহূদীদেরকে সহযোগিতা করার বিষয়টি একটি প্রসিদ্ধ বিষয়। [পৃ. ২১, ১ম খণ্ড]।
* * *
৩. প্রশ্ন: তাদের কিছু সংখ্যক দাবি করে যে, তাদের অন্তর পবিত্র, আপনাদের বক্তব্য কী ?
৩. উত্তর: সবচেয়ে নিকৃষ্ট অন্তর হলো, কোনো বান্দার অন্তরে উত্তম মুমিনগণ এবং নবীগণের পরে আল্লাহর ওলী তথা বন্ধুদের নেতৃত্বের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা। [ পৃ. ২২, ১ম খণ্ড ]।
* * *
৪. প্রশ্ন: কখন তাদেরকে ‘রাফেযী’ উপাধিতে ভূষিত করা হয় এবং কেন ? আর কে এই উপাধি দেন ?
৪. উত্তর: যায়েদ (ইবন আলী ইবন হুসাইন) এর আবির্ভাবের সময় থেকে শিয়া সম্প্রদায় রাফেযী ও যায়েদিয়া উপদলে বিভক্ত হয়ে যায়; কারণ, যখন যায়েদকে আবূ বকর ও ওমর রা. সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো, তখন তিনি তাঁদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন; তখন একটি দল তাকে প্রত্যাখ্যান করে; ফলে তিনি তাদেরকে লক্ষ্য করে বলেন: " رفضتموني " অর্থাৎ তোমরা আমাকে প্রত্যাখ্যান বা অস্বীকার করেছ। অতএব তারা তাকে প্রত্যাখ্যান বা অস্বীকার করেছে বিধায় তাদেরকে ‘রাফেযী’ নামে নামকরণ করা হয়েছে। আর শিয়া সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে যে বা যারা তাকে প্রত্যাখ্যান বা অস্বীকার করেনি তার সাথে তাদের সম্পর্কযুক্ত করার কারণে তাদেরকে ‘যায়েদিয়া’ নামে নামকরণ করা হয়েছে। [ পৃ. ৩৫, ১ম খণ্ড ]।
* * *
৫. প্রশ্ন: রাফেযীরা সাহাবীগণের মধ্য থেকে কাদেরকে নির্দোষ বলে মনে করে ?
৫. উত্তর: তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সকল সাহাবীর মধ্য থেকে অল্প সংখ্যক সাহাবীকে নির্দোষ বলে মনে করে, যাদের সংখ্যা দশজনের কিছু বেশি। [পৃ.৩৯,১ম খণ্ড]।

No comments:

Post a Comment