Tuesday, May 5, 2015

তাওহীদ ও তাওহীদের ফজিলতঃ



আস সালামুয়ালাইকুম,আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়াসাল্লিম আলা নাবিয়িনা মুহাম্মাদ।
--------------
তাওহীদ ও তাওহীদের ফজিলতঃ
=============================
তাওহীদ হচ্ছে বান্দাকে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যে আল্লাহ তাআলা এক ও অদ্বিতীয়। রুবুবিয়্যাত (প্রভুত্বে এক), উলুহিয়্যাত ( ইবাদতে এক) এবং আসমা ও সিফাত (নির্ধারিত সত্ত্বাবাচক ও গুনবাচক নাম)-এর ক্ষেত্রে তাঁর কোন শরীক ও সমকক্ষ নেই। 
তাওহীদ কে জানা, অন্তরে তা দৃঢ় বিশ্বাস করা ও সর্বপ্রকার কথা, কাজে, ইবাদতে ও অবস্থায় তা বাস্তবায়ন করা ফরজ। তাওহীদ প্রতিষ্ঠা অর্থ শিরক বর্জন আর শিরক বর্জন মানে তাওহীদ প্রতিষ্ঠা করা।
তাওহীদের ফজিলতঃ
#১- নিরাপত্তা ও হেদায়েত লাভ----
আল্লাহ তা'আলা বলেন:
'যারা ঈমান এনেছে এবং স্বীয় ঈমান ও বিশ্বাসকে যুলুমের (শিরক) সাথে মিশ্রিত করেনি তাদের জন্যেই রয়েছে শান্তি ও নিরাপত্তা এবং তাঁরই হিদায়াত প্রাপ্ত।' [সূরা আন আম আয়াত ৮২]
#২-জান্নাত লাভঃ
'সাহাবী উবাদা বিন সামেত রাদিয়াল্লহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি সাক্ষ্য দেবে যে আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোন ইলাহ নেই তিনি এক তাঁর কোন শরীক নেই। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা এবং রাসূল। ঈসা আলাইহিস সালাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল, তাঁর কালেমা যা তিনি মারইয়াম কে প্রদান করেছেন এবং প্রদান করেছেন তাঁর পক্ষ থেকে রূহ। এবং আরো সাক্ষ্য দেবে জান্নাত সত্য এবং জাহান্নাম সত্য, আল্লাহ তা'আলা তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন তাঁর আমল যা-ই থাকুক। [বুখারি ও মুসলিম]
'সাহাবী জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জনৈক ব্যক্তি এসে জানতে চাইলো ইয়া রাসূলাল্লাহ! অবধারিতকারী বিষয় দুটো কি? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তরে বললেন: যে ব্যক্তি এমতাবস্থায় মারা যাবে যে, আল্লাহর সাথে কোন (কিছুকে) শরীক করেনি, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে আল্লাহর সাথে শিরক করে মারা যাবে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।'
#৩-জাহান্নাম হারামঃ
ইতবান ইবনে মালেক আনসারী { রাঃ } হইতে বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ ( সাঃ ) এরশাদ করিয়াছেন , যে ব্যক্তি কেয়ামতের দিন এমনভাবে আসিবে যে, সে একমাত্র আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলিয়াছে, আল্লাহ তা'আলা তাহার উপর দোযখের আগুন অবশ্যই হারাম করিয়া দিবেন।
( বুখারী ও মুসলিম )
#৪- আল্লাহ তালার পক্ষ থেকে সাধারন ক্ষমা
আবু যার গিফারী রাঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লিম কে বলতে শুনেছি যে আল্লাহ্‌ তাআলা বলেনঃ “যে ব্যক্তি পৃথিবী পূর্ণ পাপের বোঝা নিয়ে আমার দরবারে উপস্থিত হবে, এ অবস্থায় যে সে আমার সাথে কোন কিছুকে শরীক করেনি, তাহলে পৃথিবীপূর্ণ ক্ষমা নিয়ে আমি তার সামনে উপস্থিত হব” (সহিহ মুসলিম হা/৪৮৫২)

No comments:

Post a Comment