Monday, June 8, 2015

রমযান মাসে ক্ষমা না পাওয়ার জন্য লা‘নত




রমযান মাসে ক্ষমা না পাওয়ার জন্য লা‘নত
=======================
হাদীসে এসেছে,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহন করলেন। তারপর যখন তিনি মিম্বারের প্রথম সিঁড়িতে পা রেখে বললেন, আমীন। তারপর দ্বিতীয় সিড়িতে পা রেখে বললেন ‘আমীন’। তৃতীয় সিঁড়িতে পা রেখে বললেন ‘আমিন’। তিনি মিম্বার থেকে নামার পর আমরা তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, (আমরা আপনার কাছে আজ এমন জিনিস শুনতে পেলাম যা আগে কখনও শুনতে পাইনি।) তখন তিনি বললেন, জিব্রাইল(আ.) এসেছিলেন। তিনি বললেন, সে ব্যক্তি আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হউক, যে রমযান পাওয়া সত্বেও তার গুনাহ মাফ হয়নি, আমি তখন বললাম ‘আমিন’ অর্থাৎ হে আল্লাহ, কবুল করুন। দ্বিতীয় সিঁড়িতে পা রাখার পর বললেন, সেই ব্যক্তি আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হউক, যার কাছে আপনার নাম উচ্চারিত হয়েছে কিন্তু সে আপনার উপর দরুদ পাঠ করেনি। তখন আমি বলেছি ‘আমিন’। তৃতীয় সিঁড়িতে পা রাখার পর জিব্রাইল (আ.) বললেন, সেই ব্যক্তিও আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হউক, যে ব্যক্তি তার বৃদ্ধ মা-বাবা দুইজনকে কিংবা একজনকে পাওয়া সত্ত্বেও তাদের সেবা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাতে পারেনি। আমি তখন বললাম, আমীন। (সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং৪০৯।)
এই হাদীস রমযানের গুরুত্ব পরিস্কারভারে ফুটে উঠেছে। অর্থাৎ রমযান থেকে যে সকল পুরস্কার পাওয়ার কথা, তা না হলে আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত থাকা ছাড়া আর কি গতি হতে পারে? রমযানে রহমত, মাগফেরাত ও নাযাত রয়েছে। রয়েছে আরো অনেক পুরস্কার আল্লাহর পক্ষ থেকে। সিয়াম ও কেয়াম ও অন্যান্য ইবাদতের মাধ্যমে তা লাভ করা যায়। যদি কেউ সিয়াম কেয়াম ও ইবাদত না করে, তাহলে তার ভাগ্যে জিবরীল (আ.) এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বদদো‘আ ছাড়া আর কি থাকতে পারে? আর এ কথা তো দিবালোকের মত স্পষ্ট যে, ঐ দুইজনের বদদো‘আ আল্লাহর কাছে অবশ্যই কবুল হবে এবং হতভাগ্য ব্যক্তির দুর্ভাগ্য সুনিশ্চিত হবে।

No comments:

Post a Comment