যে সব কারণে রোযা নষ্ট বা বাতিল হয়না
***************************************
১. ভূলে কোন কিছু পানাহার করলে বা কেউ জোর – জবরদস্তি করে পানাহার করালে।
২. অনিচ্ছা বশতঃ বমি হলে, অর্থাৎ যে কোন কারণে হটাৎ নিজের অনিচ্ছাই বমি হলে।
৩. স্বপ্নদোষ হলে।
৪. রোগের কারণে উত্তেজনা ব্যতীত বীর্য নির্গত হলে।
৫. পরীক্ষা করার জন্য শরীর থেকে রক্ত বের করলে ।
৬. কিডনী অচল অবস্থায় শরীরের রক্ত শোধণ করলে।
৭. খাদ্যের চাহিদা পূরণ অথবা শক্তি বৃদ্ধির কারণ ব্যতীত অন্য যে কোন কারণে ইনজেকশন নিলে,যেমনঃ ব্যথা কমানোর জন্য অথবা হাঁপানীর জন্য ইত্যাদি ।
৮. দিনের বেলা যে কোন সময় মেসওয়াক করলে ।
৯. কানে অথবা চোখে ড্রপ দিলে, এমনকি গলায় এর তিক্ততা অনুভব হলেও রোযা নষ্ট হবে না ।
১০. দাঁত উঠালে ।
১১. নিজের মুখের থুথু বা লালা গিলে ফেললে।
১২. বার বার কুলি করলে বা মুখ ধৌত করলে ।
১৩. খাবারের স্বাদ চেখে দেখলে বা খাবারের গন্ধ মুখে প্রবেশ করলে ।
১৪. হাঁপানী বা এ জাতীয় রোগের গ্যাস বা স্প্রে নাকে বা মুখে ব্যবহার করলে ।
১৫. গুহ্যদ্বার দিয়ে ঔষধ প্রবেশ করালে, যেমন; (Suppository) ইত্যাদী।
১৬. পেটে (এন্ডোসকপি মেশিন) নল সঞ্চালন করলে।
১৭. আতর, সেন্ট, সুরমা, সাবান, তেল, ক্রীম, মেহেদী ইত্যাদি অথবা বাহ্যিক ঔষধ ব্যবহার করলে।
১৮. সুগন্ধির সুধ্রাণ নিলে।
১৯. গরমের কারণে বার বার গোসল করলে, পানিতে নামলে অথবা সাঁতার কাটলে, মাথায় পানি ঢাললে অথবা ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছলে।
২০. যে কোন কারণে শরীর হতে রক্ত বের হলে যেমন আঘাত লেগে, নাক থেকে, অথবা ফেটে গিয়ে।
২১. শরীরের যে কোন অঙ্গে ব্যান্ডিজ বাঁধলে, মলম বা মালিশ ব্যবহার করলে।
২২. সারাদিন ঘুমালে। (কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে নামায না পড়ে ঘুমিয়ে থাকলে রোযা হবে না)।
২৩. স্ত্রীকে চুমা দিলে অথবা আলিঙ্গন করলে।
২৪. মাথার চুল, গোঁফ, বগলের চুল, নাভীর নীচের চুল ইত্যাদি কাটলে অথবা হাত-পায়ের নখ কাটলে রোযা নষ্ট হবে না।
২৫. রাস্তার ধুলা – বালি নিঃশ্বাসের সাথে পেটে গেলে।
শাইখ Mohammad Saiful Islam থেকে সংগৃহীত।
No comments:
Post a Comment