সাদাকাতুল ফিতরা এক সা’ আদায় করা ফরজঃ
=================================
রাসুল ﷺ এর সুন্নাত অনুযায়ী ফিতরা আমাদেরকে এক সা' আদায় করতে হবে। নিচে দুটি হাদীস দেখুনঃ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ السَّكَنِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَهْضَمٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ نَافِعٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ فَرَضَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم زَكَاةَ الْفِطْرِ صَاعًا مِنْ تَمْرٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ عَلَى الْعَبْدِ وَالْحُرِّ، وَالذَّكَرِ وَالأُنْثَى، وَالصَّغِيرِ وَالْكَبِيرِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، وَأَمَرَ بِهَا أَنْ تُؤَدَّى قَبْلَ خُرُوجِ النَّاسِ إِلَى الصَّلاَةِ.
ইবনে ওমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,
-প্রত্যেক গুলাম, স্বাধীন, পুরুষ, নারী, প্রাপ্ত বয়স্ক অপ্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিমের উপর আল্লাহর রসূল ﷺ সাদাকাতুল ফিতর হিসেবে খেজুর হোক অথবা যব হোক "এক সা" পরিমাণ আদায় করা ফরয করেছেন এবং লোকজনদের ঈদের নামাযে বের হওয়ার পূর্বেই তা আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন'।[বুখারী হাদীস ১৫০৩,১৫০৪]
=================================
রাসুল ﷺ এর সুন্নাত অনুযায়ী ফিতরা আমাদেরকে এক সা' আদায় করতে হবে। নিচে দুটি হাদীস দেখুনঃ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ السَّكَنِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَهْضَمٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ نَافِعٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ فَرَضَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم زَكَاةَ الْفِطْرِ صَاعًا مِنْ تَمْرٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ عَلَى الْعَبْدِ وَالْحُرِّ، وَالذَّكَرِ وَالأُنْثَى، وَالصَّغِيرِ وَالْكَبِيرِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، وَأَمَرَ بِهَا أَنْ تُؤَدَّى قَبْلَ خُرُوجِ النَّاسِ إِلَى الصَّلاَةِ.
ইবনে ওমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,
-প্রত্যেক গুলাম, স্বাধীন, পুরুষ, নারী, প্রাপ্ত বয়স্ক অপ্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিমের উপর আল্লাহর রসূল ﷺ সাদাকাতুল ফিতর হিসেবে খেজুর হোক অথবা যব হোক "এক সা" পরিমাণ আদায় করা ফরয করেছেন এবং লোকজনদের ঈদের নামাযে বের হওয়ার পূর্বেই তা আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন'।[বুখারী হাদীস ১৫০৩,১৫০৪]
অপর আর একটি হাদীস হলো-
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عِيَاضِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ الْعَامِرِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ ـ رضى الله عنه ـ يَقُولُ كُنَّا نُخْرِجُ زَكَاةَ الْفِطْرِ صَاعًا مِنْ طَعَامٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ تَمْرٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ أَقِطٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ زَبِيبٍ.
-আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা এক সা’ পরিমাণ খাদ্য অথবা এক সা’ পারিমান যব অথবা এক সা’ পরিমাণ খেজুর অথবা এক সা’ পরিমাণ পরিমাণ পনির অথবা এক সা’ পারিমাণ কিসমিস দিয়ে সদাকাতুল ফিতর আদায় করতাম।
[বুখারী হা/১৫০৬]
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عِيَاضِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ الْعَامِرِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ ـ رضى الله عنه ـ يَقُولُ كُنَّا نُخْرِجُ زَكَاةَ الْفِطْرِ صَاعًا مِنْ طَعَامٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ تَمْرٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ أَقِطٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ زَبِيبٍ.
-আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা এক সা’ পরিমাণ খাদ্য অথবা এক সা’ পারিমান যব অথবা এক সা’ পরিমাণ খেজুর অথবা এক সা’ পরিমাণ পরিমাণ পনির অথবা এক সা’ পারিমাণ কিসমিস দিয়ে সদাকাতুল ফিতর আদায় করতাম।
[বুখারী হা/১৫০৬]
উল্লেখ্য যে আবু দাউদ-এ ১৬১৭ নং এ একটা হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে গমের 'অর্থ সা' এর কথা, কিন্তু এই হাদীসটি উল্লেখ করার পর ইমাম আবু দাউদ (রহ:) বলেছেন,
-এই অংশটুকু ('অর্ধ সা' ) মুওয়াব ইবনে হিসাব এর ভুল অথবা যে বর্ণনা করেছেন তার ভুল।
এর পর ১৬২০ নং হাদীসে তিনি 'এক সা' ফিতরা দিতে হবে এই মর্মে একটি সহীহ হাদীস উল্লেখ করেছেন।
আর্থাৎ 'আর্ধ সা' এর হাদীসটি জঈফ, পক্ষান্তেরে 'এক সা' এর হাদীসটি সহীহ।
-
'এক সা' হলো আমাদের দেশের কেজির ওজনে ২.৫ কেজি।
-এই অংশটুকু ('অর্ধ সা' ) মুওয়াব ইবনে হিসাব এর ভুল অথবা যে বর্ণনা করেছেন তার ভুল।
এর পর ১৬২০ নং হাদীসে তিনি 'এক সা' ফিতরা দিতে হবে এই মর্মে একটি সহীহ হাদীস উল্লেখ করেছেন।
আর্থাৎ 'আর্ধ সা' এর হাদীসটি জঈফ, পক্ষান্তেরে 'এক সা' এর হাদীসটি সহীহ।
-
'এক সা' হলো আমাদের দেশের কেজির ওজনে ২.৫ কেজি।
হিদায়ার ২০৮ পৃষ্টায় বলা হয়েছে,
→ শুধু স্বাধীন ব্যক্তি ফিতরা দিবে।
→ যদি নিসাব পরিমান সম্পদের মালিক হয় তবে ফিতরা দিতে হবে।
→ 'অর্ধ সা' ফিতরা দিতে হবে।
→ শুধু স্বাধীন ব্যক্তি ফিতরা দিবে।
→ যদি নিসাব পরিমান সম্পদের মালিক হয় তবে ফিতরা দিতে হবে।
→ 'অর্ধ সা' ফিতরা দিতে হবে।
অথচ সহীহ হাদীস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়।
► ফিতরা দেওয়া ফরজ।
► প্রত্যেক মানুষকে ফিতরা আদায় করতে হবে।
► প্রত্যেক ব্যক্তিই ফিতরা দিবেন, নিসাব পরিমান সম্পদের মালিক হওয়ার শর্ত রাসুল ﷺ বলেন নাই।
► 'এক সা' ফিতরা দিতে হবে।
► ফিতরা দেওয়া ফরজ।
► প্রত্যেক মানুষকে ফিতরা আদায় করতে হবে।
► প্রত্যেক ব্যক্তিই ফিতরা দিবেন, নিসাব পরিমান সম্পদের মালিক হওয়ার শর্ত রাসুল ﷺ বলেন নাই।
► 'এক সা' ফিতরা দিতে হবে।
সুতরাং আমরা ফিতরা দেওয়াকে ফরজ মনে করবো।
এক সা' করে ফেতরা দিবো এবং খাদ্য হিসাবেই ফেতরা দিবো, যে ব্যক্তির ফিতরা দেবার সামর্থ আছে তাকেই ফিতরা দিতে হবে।
এক সা' করে ফেতরা দিবো এবং খাদ্য হিসাবেই ফেতরা দিবো, যে ব্যক্তির ফিতরা দেবার সামর্থ আছে তাকেই ফিতরা দিতে হবে।
-
রাসুল ﷺ ফিতরা হিসাবে খাদ্যের কথা বলেছেন, কোন যায়গায় টাকার কথা বলেন নাই। টাকা নির্ধারন করে দিলে গরীব মানুষকে ঠকানো হবে আবার ধনী ব্যক্তিকে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হবে।
!
সুতরাং ফিতরাতে খাদ্যের মূল্য দেওয়া যাবে না বরং ‘এক সা’ বা ‘আড়াই কেজি’ খাদ্যই দিতে হবে। আমরা মুল খাদ্য হিসাবে যা খাই সেই অনুযায়ী ফিতরা দিবো এবং আমাদের এই 'এক সা' হবে মদীনার 'সা' অনুযায়ী, ইরাকের 'এক সা' নয়।
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ 'ইরাকী সা' অনুযায়ী 'অর্ধ সা' ফিতরা দিয়ে থাকে, যা ঠিক নয়!
রাসুল ﷺ ফিতরা হিসাবে খাদ্যের কথা বলেছেন, কোন যায়গায় টাকার কথা বলেন নাই। টাকা নির্ধারন করে দিলে গরীব মানুষকে ঠকানো হবে আবার ধনী ব্যক্তিকে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হবে।
!
সুতরাং ফিতরাতে খাদ্যের মূল্য দেওয়া যাবে না বরং ‘এক সা’ বা ‘আড়াই কেজি’ খাদ্যই দিতে হবে। আমরা মুল খাদ্য হিসাবে যা খাই সেই অনুযায়ী ফিতরা দিবো এবং আমাদের এই 'এক সা' হবে মদীনার 'সা' অনুযায়ী, ইরাকের 'এক সা' নয়।
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ 'ইরাকী সা' অনুযায়ী 'অর্ধ সা' ফিতরা দিয়ে থাকে, যা ঠিক নয়!
No comments:
Post a Comment