Thursday, October 15, 2015

আশুরার_ইবাদাতের_সাথে_কারবালার_সম্পর্ক‬।




আশুরা দিন সম্পর্কিত আমাদের সমাজে অনেক বিদআত রয়েছে। অধিকাংশ মুসলিমদের এই আশুরা সম্পর্কে সঠিক ধারনা নেই। আমাদের দেশে এই আশুরাকে কেন্দ্র করে এক শ্রেণীর জাহিল মানুষ নিজেদের পিঠে আঘাত করতে করতে মারাত্মক ভাবে জখম হয়। এটি সম্পূর্ণ হারাম একটি কাজ।
___________
আল্লাহ তা’লা বলেন: আর তোমরা নিজেদের হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।“ (সূরা নিসা-২৯)
___________
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে সব নারীর সাথে সম্পর্কচ্ছেদের কথা প্রকাশ করেছেন- যারা চিৎকার করে ক্রন্দন করে, যারা মস্তক মুন্ডন করে এবং যারা জামা কাপড় ছিন্ন করে। সহীহ বুখারী (তাওহীদ) অধ্যায়ঃ ২৩/ জানাযা, হাদিস নম্বরঃ [1296] 
___________
অধিকাংশ মুসলিমদের ধারনা যে, এই আশুরা পালন করা হয়- কারন এই দিনে রাসুল (সাঃ) এর নাতী হোসাইন (রাঃ) কারবালাতে শহীদ হয়েছেন। এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ধারনা। যদি তর্কের খাতিরে মেনেও নিই যে, আশুরার দিন রাসুল (সাঃ) এর নাতী হোসাইন (রাঃ) কারবালাতে শহীদ হয়েছেন, তো এই দিনকে পালন করার কি আছে?
___________
এই দিনটিতে খাছ করে কোন ইবাদাত, রোজা পালন, খিচুড়ি রান্না করে কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন করার ভিত্তি কি? ইসলামে কি জন্মদিন বা মৃত্যুদিন পালন করার কোন বিধান আছে?
___________
উম্মু হাবীবা (রাঃ) হতে বর্ণিত। আমি আল্লাহর রাসুল (সাঃ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী কোন মহিলার জন্য কারো মৃত্যুতে তিন দিনের বেশী শোক পালন করা বৈধ নয়। কিন্তু স্বামীর মৃত্যুতে চার মাস দশ দিন শোক পালন করবে।’ সহীহ বুখারীঃ ১২৮০; মুসলিমঃ ১৪৮৬।
___________
শারিয়াত তো মুহাম্মাদ (সাঃ) এর উপর আল্লাহ্ ওহী করে নাযিল করেছেন। কোথায় কখন কি করতে হবে, কোন ইবাদাত কিভাবে করতে হবে এই সমস্ত বিষয়াদি তো মহান আল্লাহ্ মুহাম্মাদ (সাঃ) এর উপর ওহী করে নাযিল করেছেন। তাই রাসুলুল্লাহ (সাঃ) মারা যাবার পর হোসাইন (রাঃ) কারবালাতে শহীদ হওয়ার কারনে কোন বিশেষ ইবাদাত নাযিল হতে পারে না।
___________
কোন ইবাদাতকে শারিয়াতে সংশ্লিষ্ট করতে হলে রাসুল (সাঃ) কে আবার জীবিত হয়ে পৃথিবীতে আসতে হবে। যেহেতু এটা কখনো সম্ভব নয় তাই আশুরার দিনে হোসাইন (রাঃ) কারবালাতে শহীদ হওয়ার কারনে কোন বিশেষ আমল শারিয়াতে সংযোজন করা একেবারে অযৌক্তিক।
___________
আমাদের দেশের কিছু অজ্ঞ, জাহেল মুসলিম ১০-ই মহররম হুসায়েন (রাঃ)-এর শহীদ হওয়ার জন্য অনেক মাতম করেন, অনেকে এই দিন খিচুড়ি বিতরণ করে কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন করে। অথচ এগুলো সব নব্য সৃষ্টি। বিভিন্ন মসজিদে মসজিদে ইমাম ও খতিব সাহেবগণ কারবালার হুসায়েন (রাঃ) শহীদ হওয়া নিয়ে বিভিন্ন বয়ান ও খুতবা দিয়ে থাকেন আর
আমরা তাদের এই অবান্তর কিচ্ছা-কাহীনী বিশ্বাস করে নিই। তাদের কাছে একবারও জিজ্ঞাস করি না যে- কিচ্ছা-কাহীনীর সত্যতার প্রমান কি?
___________
দোকানে গিয়ে সদাই করলে পচা মাল দিয়ে আমাদেরকে কেউ ঠকাতে পারে না, আমরা এত সচেতন কিন্তু ধর্মের ব্যাপারে আমরা কেন এত বোকা সেজে বসে থাকি। ধর্মের ব্যাপারে কোন হুজুর-ইমাম আমাদেরকে কিছু বানোয়াট কিচ্ছা-কাহীনী গছিয়ে দিলে সেটাই আমরা নিয়ে চলে আসি, একবারও
তাকে এই কিচ্ছা-কাহীনীর সত্যতার প্রমান তলব করি না।
___________
মাইকে মাইকে কাওয়ালী গাওয়া হয়!!
"ফাতেমা কান্দিয়া কয়...
আজ বুঝি হুসায়েন কারবালাতে শহীদ
হয়..."
___________
চিন্তা করুন কত বড় ডাহা মিথ্যা কথা। ফাতিমা (রাঃ) মৃত্যু বরন করেন ১১ হিজরিতে আর হুসায়েন (রাঃ) কারবালাতে শহীদ হন ৬১ হিজরিতে। দুইজনের মাঝে প্রায় ৫০ বছরের ব্যাবধান। তাহলে কিভাবে ফাতেমা (রাঃ)
কান্দিয়া ছেলের মৃত্যুর কথা বলবে???
___________
ইসলাম ও মুসলিমদের শত্রু দুই প্রকার। ‪#‎জাতীয়‬ ও ‪#‎বিজাতীয়‬ তথা ঘরের ও বাইরের। #বিজাতীয় শত্রুরা যখন দূর থেকে ইসলামের তেমন ক্ষতি করতে পারেনি, তখন #জাতীয় ও ঘরের শত্রু বানাতে সকল চেষ্টা-তদবীর করতে কোন ত্রুটি করেনি। বিজাতীয় শত্রুরা মুনাফিক সেজে বা সাজিয়ে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে।
___________
এ উদ্দেশ্যে তারা আহলে বাইত তথা নবী (সাঃ) এর পরিবারের প্রতি মুহাব্বত দেখিয়ে সর্বদা বেশি ক্ষতি করেছে। একটি দল আহলে বাইত-এর
ভালবাসা দেখিয়ে মিথ্যার যে পাহাড় গড়েছে এমন মিথ্যা কেউ করতে পারেনি। এই দলটি আশুরার মুল বিষয়কে কারবালার সঙ্গে মিলিয়ে দিয়ে নিজেদের কু-মতলব হাসিলের চেষ্টা করছে।
___________
এদের কালো ইতিহাস ইসলাম ও মুসলিমদের কি কি ধ্বংস ঘটিয়েছে তা বিজ্ঞজনদের অজানা নয়। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে- এদের খপ্পরে পড়েছে সাধারণ মানুষ এবং অনেক পন্ডিত এবং ইসলামী চিন্তাবিদরাও। তাদের পেছনের গোপন রহস্যজনক চেহারা না জেনে লোকেরা তাদের বাহ্যিক চেহারা দেখে প্রভাবান্বিত হয়েছে।
___________
বড় আফসোসের বিষয় হচ্ছে- দুশমনদের এই মিথ্যা ইতিহাস মুসলিমরা যাচাই না করেই পড়ছে এবং পড়াচ্ছে তাদের পাঠশালা গুলোতে। আর ভুল জিনিস শিখছে এবং ইসলাম সম্পর্কে ভুল ধারণা পোষণ করেছে। এমন একটি বই হচ্ছে- মীর মোশারফ হোসেনের লেখা "বিষাদ সিন্ধু"।
___________
এই বইটাও শতকরা ৮০ ভাগ লেখাই মিথ্যা কথা। যদিও ধরে নেয়া হয় হুসায়েন (রাঃ) আশুরার ১০-ই মহররম শহীদ হন কিন্তু আশুরার সাথে কারবালায় হুসায়েন (রাঃ) শহীদ হওয়ার কোন সম্পর্ক নেই।
___________
আশুরার আসল ইতিহাস হচ্ছে- ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মদীনায় হিজরত করলেন, তখন ইহুদী সম্প্রদায়কে আশুরার দিনে রোযা পালন করতে দেখলেন। তাই তিনি তাদের জিজ্ঞাসা করলেন:
___________
ﺍﻮﻟﺎَﻗ ؟ ُﻪَﻧﻮُﻣﻮُﺼَﺗ ﻱﺬﻟﺍ ُﻡﻮﻴﻟﺍ ﺍﺬﻫ ﺎَﻣ
ِﻪﻴﻓ ُﻪﻠﻟﺍ ﻰﺠْﻧﺃ ، ٌﻢْﻴِﻈَﻋ ٌﻡﻮَﻳ ﺍﺬﻫ
ﻭ َﻥﻮَﻋْﺮِﻓ َﻕَّﺮَﻏ َﻭ ، ُﻪَﻣﻮَﻗ ﻭ ﻰﺳﻮﻣ
ُﻦﺤﻨﻓ . ًﺍﺮﻜﺷ ﻰﺳﻮﻣ ُﻪَﻣﺎَﺼﻓ ، ُﻪَﻣﻮَﻗ
ﻪﻠﻟﺍ ﻰﻠﺻ ﻪﻠﻟﺍ ﻝﻮﺳﺭ ﻝﺎﻘﻓ ، ُﻪﻣﻮﺼﻧ
ﻰﻟﻭﺃ ﻭ ُّﻖَﺣﺃ ُﻦﺤﻨﻓ : ﻢﻠﺳ ﻭ ﻪﻴﻠﻋ ﻪﻠﻟﺍ ُﻝﻮُﺳﺭ ُﻪَﻣﺎﺼﻓ ، ْﻢُﻜْﻨِﻣ ﻰﺳﻮﻤﺑ
ِﻡَﺎﻴِﺼِﺑ َﺮَﻣﺃ ﻭ ، ﻢﻠﺳ ﻭ ﻪﻴﻠﻋ ﻪﻠﻟﺍ ﻰﻠﺻ ) ﻢﻠﺴﻣ ﻩﺍﻭﺭ )
___________
এটা এমন কোন্ দিন, যে দিনে তোমরা রোযায় আছো? তারা বললোঃ এটি একটি মহান দিন, আল্লাহ তায়ালা এই দিনে মুসা (আঃ) এবং তাঁর অনুসারীদের লোকজনকে নাজাত দিয়েছিলেন এবং ফেরাউন ও তার অনুসারী লোকজনকে ডুবিয়ে দিয়েছিলেন। তাই মুসা (আঃ) কৃতজ্ঞতা স্বরূপ রোযা রাখেন। অতএব আমরাও রোযা করি।
___________
তার পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: তাহলে তো মুসা (আঃ) এর ব্যাপারে তোমাদের তুলনায় আমরা বেশি হকদার। অতঃপর
তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রোযা রাখেন এবং রোযা রাখার আদেশ দেন। [মুসলিম, সিয়াম, নং ২৬৫৩ ]
___________
ইবনে আব্বাস (রা:) বলেন: যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আশুরার রোযা রাখেন এবং অন্যদের রাখার আদেশ করেন, তখন সাহাবাগণ
বললেন: এটি একটি এমন দিন যাকে ইহুদী ও খৃষ্টানেরা সম্মান করে থাকে। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: আগামী বছর আসলে ইনশাআল্লাহ নবম তারিখেও রোযা রাখবো।
___________
হাদীস বর্ণনাকারী বলেন: আগামী বছর আসার পূর্বে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মারা যান। [মুসলিম, সিয়াম, হাদীস নং ২৬৬১] ___________
তাহলে বুঝা গেল আশুরার দিনে রোজা রাখা হয়-মুসা (আঃ) কে আল্লাহ্ ফেরাউন থেকে পরিত্রাণ দিয়েছিলেন সেই কৃতজ্ঞতা সরূপ। তাই আশুরার জন্য দুটি রোজা রাখতে হবে। একটি রোজা রাখলে হবে না, কেননা একটি রোজা রাখলে ইহুদী ও খৃষ্টানদের সাথে সাদৃশ্য হয়ে যায়।
___________
অপর হাদিসে রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি যে জাতির অনুকরণ করবে, সে ব্যক্তি সেই জাতিরই একজন বলে গণ্য হবে’ ( আবূ দাঊদ হা/৪০৩১)। তাই আশুরার জন্য দুটি রোজাই রাখতে হবে। একটি ৯-ই মহররম আরেকটি ১০-ই মহররম।
_____________________________
*** ‪#‎আশুরার_সিয়াম_খুবই_গুরুত্বপূর্ণ‬।***
-----------------------------------------------
রমজানের সিয়াম ফরজ হওয়ার পূর্বে আশুরার সিয়াম ফরজ ছিল। ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণীত, নাবী (সাঃ) আশুরার দিন সিয়াম পালন করেছেন এবং সিয়ামের জন্য আদেশও করেছেন। পরে যখন রমজানের সিয়াম ফরজ হয় তখন তা ছেড়ে দেয়া হয়। [সহিহ বুখারী, ৩য় খণ্ড, সিয়াম অধ্যায়,
হাদিসঃ ১৭৭১]
___________
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্নিত রাসূলূল্লাহ(সাঃ) বলেছেন, রমজানের সিয়ামের পর সর্বোত্তম সিয়াম হচ্ছে মুহাররমের সিয়াম এবং ফরজ সলাতের পর সর্বোত্তম সলাত হচ্ছে রাতের সলাত। (সহীহ মুসলিম, কিতাবুস সিয়াম, অধ্যায়-২২)
___________
ইব্ন আব্বাস রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে এই আশুরার দিনের উপর অগ্রাধিকার দিয়ে এত গুরুত্বসহকারে অন্য কোন দিন রোযা পালন করতে দেখি নি। (অর্থাৎ রামাযান মাস ছাড়া)
[সহিহ বুখারী]
___________
তাহলে বুঝা যাচ্ছে এই মুহাররমের সিয়ামের গুরুত্ব কতখানি। নাবী (সাঃ) বলেছেন- মহান আল্লাহ্ ঘোষণা করেন- সিয়াম আমার জন্য আমি নিজেই এর প্রতিদান দিব। [বুখারী, ৩য় খন্ড, কিতাবুস সিয়াম]
___________
তাহলে বুঝা যাচ্ছে এই মুহাররমের সিয়ামের গুরুত্ব কতখানি। কিন্তু আফসোস আমাদের বর্তমান যুগের মুসলিমরা এই সিয়ামকে অবহেলা করে। আরে ভাই আপনি কি চান না যে, আল্লাহ্ আপনার উপর সন্তুষ্ট হোন?
___________
আমি বুঝিনা মুসলিমদের নেকির প্রতি এত অনীহা কেন? তারা কি পরকাল সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে গেছে? তাদের জন্য কি জান্নাত নিশ্চিত হয়ে গেছে? 
___________
‪#‎আশুরা‬ ও ‪#‎কারবালা_নিয়ে‬ ‪#‎আমাদের_সমাজে_প্রচলিত_জাল_হাদিস‬ ও‪#‎কুসংস্কার_সমুহঃ‬
___________
۞ ইমাম রেজা (রঃ) কে আশুরার রোজা সম্পর্কে জিজ্ঞাস করা হলে তিনি বলেন, এদিনে এজিদ পরিবার হুসাইন (রাঃ) ও তার পরিবারের শাহাদাতে আনন্দ-উল্লাস করে রোজা রেখেছিল। অতএব এদিনে যে রোজা রাখবে সে কিয়ামতের দিন বক্র অন্তর নিয়ে উপস্থিত হবে। [সিয়ামু আশুরাঃ ১৭৭-১১৮ পৃঃ, মান কাতালাল হুসাইনঃ ৯৫ পৃঃ।]
___________
۞ এদিনে যে রোজা রাখবে তার অবস্থা এজিদের পরিবারের ন্যায় অবস্থা হবে। অর্থাৎ সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। [সিয়ামু আশুরাঃ ১১৮ পৃঃ, মান কাতালাল হুসাইনঃ ৯৫ পৃঃ।]
___________
۞ যে ব্যক্তি আশুরার দিন তার পরিবারের জন্য পর্যাপ্ত খানাপিনার ব্যবস্থা করবে আল্লাহ্ তার সমস্ত বছরের রুজিতে সচ্ছলতা দান করবেন। [যইফুল জামিঃ ৫৮৭৩]
___________
۞ যে ব্যক্তি আশুরার দিন চোখে সুরমা লাগাবে, সে বছর তার চোখ উঠা রোগ হবে না। আর যে ব্যক্তি আশুরার দিনে গোসল করবে, সে বছর তার কোন অসুখ হবে না।
___________
۞ আশুরা উদযাপন করা হয় হুসাইন (রাঃ) এর শাহাদাতকে কেন্দ্র করে। 
___________
۞ রাসুল (সাঃ) এর সময়ে আশুরার রোজা রহিত হয়ে গেছে।
___________
۞ উপন্যাসিক মীর মোশারফ হোসেনের রচিত বানোয়াট কিচ্ছা- কাহিনী "বিষাদ সিন্ধু" গ্রন্থকে সত্য মনে করা।
___________
۞ হুসাইন (রাঃ) এর শাহাদাতকে কেন্দ্র করে মিলাদ, জিকির, কুরআন খতমের আয়োজন করা।
___________
۞ এমাসে বিবাহ করা হারাম অথবা বিবাহ করলে সংসার সুখি হবে না এবং সন্তান এজিদের ন্যায় হবে।
___________
۞ হুসাইন (রাঃ) এর নামে কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন
করা।
___________
۞ সন্ধ্যার আকাশের লালীমাকে হুসাইন (রাঃ) এর শাহাদাতের রক্ত ধারণা করা।
___________
۞ শোঁক উদযাপন করার নামে নারী-পুরুষ একত্রে ভীর-ভার করা, মিছিল করা, একত্রে কাওয়ালী গাওয়া।
___________
۞ এই দিন কান্নাকাটি করাকে অনেক নেকির কাজ মনে করা।
___________
۞ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যই হুসাইন (রাঃ) শহীদ হয়েছেন- এরূপ ধারণা করা।
___________
۞ এই ধরনের ধারণা পোষণ করা যে- এই দিনে আল্লাহ্ দুনিয়া সৃষ্টি করেছেন। এই দিনে সর্ব প্রথম আল্লাহ্ সর্বপ্রথম বৃষ্টি নাজিল করেন। এই দিনে আল্লাহ্ আরশ, কলম, লাওহে মাহফুজ সৃষ্টি করেছেন। এই দিনে আল্লাহ্ জিবরীল (আঃ) সৃষ্টি করেছেন। এই দিনে আল্লাহ্ আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করেছেন। এই দিনে নুহ (আঃ) এর নৌকা তীরে ভীরে।
___________
এই দিনে ইব্রাহীম (আঃ) কে নুমরুদের আগুন থেকে নিষ্কৃতি দেন। এই দিনে ইউসুফ (আঃ) কে আল্লাহ্ কারাগার থেকে মুক্ত করেন। এই দিনে ইউনুস (আঃ) কে মাছের পেট থেকে বের করেন। ইত্যাদি এগুলো সব-ই ভিত্তিহীন কথা। এছাড়াও আমাদের মধ্যে এই আশুরাকে কেন্দ্র করে আরো বহু জাল,
জয়ীফ হাদিস, ভিত্তিহীন কথা, ভিত্তিহীন ধারণা এবং কুসংস্কার রয়েছে।
___________
তাই সকল মুসলিমদের প্রতি আমার আহ্বান আশুরাকে কেন্দ্র কোন কথা বা হাদিস কোন হুজুর বা ইমাম বা অন্য কারো নিকট থেকে পেলে তার কাছে অবশ্যই দলিল খোঁজ করবেন। অন্যথায় এসব বিশ্বাস করবেন না। আল্লাহ্ আমাদের সকল মুসলিমদেরকে ইসলামের নামে সকল প্রকার কুসংস্কার থেকে নিজের ঈমানকে সুরক্ষিত করার তৌফিক দান করুন। আমীন।।
___________
মুসলিমদেরকে ইসলাম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করার
আহ্বান জানাচ্ছি।

No comments:

Post a Comment