রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যে নারী সুগন্ধি মেখে ঘর থেকে বের হয়, অতঃপর মানুষের সম্মুখ দিয়ে হেঁটে চলে, যাতে করে তারা তার সুবাশ অনুভব করে, তবে সেই নারী ব্যভিচারিণী। (সুত্রঃ তিরমিজি, আবু দাউদঃ ২৭০১)
❖ যেনাকারিনী বা ব্ব্যভিচারিণীর সংজ্ঞাঃ একমাত্র নিজের স্বামী ছাড়া অন্য কোন পুরুষের সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়াকে যৌনাঙ্গের যেনা বলে। এছাড়া আরও কয়েক প্রকার যেনা আছে, যেমনঃ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ “কোন বেগানা নারীর প্রতি দৃষ্টি দেওয়া চোখের যেনা, অশ্লীল কথাবার্তা বলা জিহ্বার যেনা, অবৈধভাবে কাউকে স্পর্শ করা হাতের যেনা, ব্যাভিচারের উদ্দেশ্যে হেঁটে যাওয়া পায়ের যেনা, খারাপ কথা শোনা কানের যেনা আর যেনার কল্পণা করা ও আকাংখা করা মনের যেনা । অতঃপর লজ্জাস্থান একে পূর্ণতা দেয় অথবা অসম্পূর্ণ রেখে দেয়”। (সুত্রঃ সহীহ বুখারীঃ হা/৬২৪৩ )
আর যে নারী যেনা করে সেই নারীকে যেনাকারিনী বা ব্যভিচারী বলা হয়।
❖ যেনাকারিনী বা ব্যভিচারিনীর শাস্তিঃ
১। রাসুল (সাঃ) বলেছেন, যেনাকার ও যেনাকারিনী কেয়ামত পর্যন্ত উলঙ্গ অবস্থায় আগুনে জ্বলতে থাকবে। (সুত্রঃ বুখারী, মিশকাতঃ ৪৬২১)
১। রাসুল (সাঃ) বলেছেন, যেনাকার ও যেনাকারিনী কেয়ামত পর্যন্ত উলঙ্গ অবস্থায় আগুনে জ্বলতে থাকবে। (সুত্রঃ বুখারী, মিশকাতঃ ৪৬২১)
২। রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ “আমি স্বপ্নে একটি চুলা দেখতে পেলাম যার উপরের অংশ ছিল চাপা আর নিচের অংশ ছিল প্রশস্ত আর সেখানে আগুন উত্তপ্ত হচ্ছিল, ভিতরে নারী পুরুষরা চিল্লাচিল্লি করছিল। আগুনের শিখা উপরে আসলে তারা উপরে উঠছে, আবার আগুন স্তিমিত হলে তারা নিচে যাচ্ছিল, সর্বদা তাদের এ অবস্থা চলছিল, আমি জিবরাইল আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস
করলামঃ এরা কারা ? জিবরাইল আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললঃ তারা হল, অবৈধ যৌনচারকারী নারী ও পুরুষ । (সুত্রঃ সহীহ আল-বুখারী )
করলামঃ এরা কারা ? জিবরাইল আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললঃ তারা হল, অবৈধ যৌনচারকারী নারী ও পুরুষ । (সুত্রঃ সহীহ আল-বুখারী )
সুতরাং হে প্রিয় মুসলিম নারী, যেনা না করেই তুমি যদি সুগন্ধি মেখে ঘর থেকে বের হও তবে তুমিও এই যেনাকারিনীদের মধ্যে গণ্য হবে এবং তোমাকেও যেনার এই ভয়াবহ শাস্তি ভোগ করতে হবে। সুতরাং যদি কেউ এমন কাজ করে থাকো, তবে আজ থেকেই তওবা কর, আর কখনো এমন কাজ করবে না। আল্লাহ আমাদের সকলকে তার সন্তুষ্টির পথে চলার তৌফিক দান করুক। আমিন...।
No comments:
Post a Comment