Thursday, February 4, 2016

আর কতোদিন আল্লাহর অবাধ্য হবেন?





ইসলাম থেকে দূরে থাকা হাজার হাজার মুসলিম ভাইবোন আজকে এগুলোর মাঝে ডুবন্ত। আরও বড় লজ্জার ব্যাপার হল তারা এগুলো প্রকাশ্যে বলতেও লজ্জাবোধ করে না। জীবনকে স্রেফ মজা হিসেবে নিয়েছেন তারা। তাদের মাঝে অনেকে আবার সালাতও পড়েন কিন্তু হারাম সম্পর্ক ছাড়েন না।
_____________________
•৷• •৷• In a relationship এর অর্থ আমি অমুখের সাথে যিনায় লিপ্ত আছি।
•৷• •৷• In an open relationship এর অর্থ আমি অমুখের সাথে যিনায় লিপ্ত আছি এবং এই কাহিনী সবাই জানে।
_____________________
•৷• •৷• Engaged এর অর্থ বিয়েও করতে পারছি না, যিনাও ছাড়তে পারছি না।
•৷• •৷• It’s complicated এর অর্থ কার সাথে কখন যিনায় লিপ্ত হয়ে যাই তার ঠিক নেই।
_____________________
এই টার্মগুলো স্রেফ মজা করার উদ্দেশ্যে দেইনি। যে নারী আপনার জন্য হারাম তার সাথে সকল সম্পর্কই হারাম। তার সাথে কথা বলা হচ্ছে মুখের যিনা, তার কথা শুনা হচ্ছে কানের যিনা, তাকে স্পর্শ করা বা একসাথে ঘুরাঘুরি করা এসব কিছুই যিনার মাঝে শামিল।
_________________
নিজের স্ত্রী বা মুহাররাম নারীদের ছাড়া কাউকে দেখা মানুষের জন্য জায়েয নয়। একবার হঠাৎ নজর পড়ে গেলে ক্ষমাযোগ্য। কিন্তু প্রথম দৃষ্টিতে আকর্ষণীয় মনে হলে সেখানে আবার দৃষ্টিপাত করা ক্ষমাযোগ্য নয়। নবী ﷺ এ ধরনের দেখাকে চোখের যিনা বলেছেন।
_________________
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ
“কোন বেগানা নারীর প্রতি দৃষ্টি দেওয়া চোখের যিনা, অশ্লীল কথাবার্তা বলা জিহ্বার যিনা, অবৈধভাবে কাউকে স্পর্শ করা হাতের যিনা, ব্যাভিচারের উদ্দেশ্যে হেঁটে যাওয়া পায়ের যিনা, খারাপ কথা শোনা কানের যিনা আর যিনার কল্পণা করা ও আকাংখা করা মনের যিনা। অতঃপর লজ্জাস্থান একে পূর্ণতা দেয় অথবা অসম্পূর্ণ রেখে দেয়”।
__________
সহীহ আল-বুখারী, সহীহ আল-মুসলিম, সুনানে আবু দাউদ, সুনানে আন-নাসায়ী।
___________
রাসূল (সা) বলেছেন "পর নারীর সাথে মেলামেশা করা থেকে বিরত থাক । একজন বলল- "দেবরের সাথে ভাবীর মেলামেশার ব্যপারে আপনার মত কী?" তিনি বললেন- "দেবর মৃত্যুর মত ভয়ংকর!"
(বুখরী, মুসলিম, রিয়াদুস সালেহীন ১৬২৮)
__________
‪#‎সমস্ত_প্রকার_যিনা_হারামঃ‬
আল্লাহ তাআ’লা যিনাকে হারাম ঘোষণা করে বলেনঃ
“তোমরা যিনার কাছেও যাবে না। কেননা তা অত্যন্ত নির্লজ্জ এবং খারাপ কাজ"। সূরা বনী ইসরাঈলঃ ৩২।
__________
রসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেনঃ
"কোন পুরুষ যখন একজন মহিলার সাথে নির্জনে মিলিত হয়, তখন তাদের তৃতীয় জন হয় শয়তান।" তিরমিযী, মিশকাত।
__________
‪#‎বেগানা_নারীকে_স্পর্শ_করা_কতো_বড়ো_পাপ‬!!
__________
রসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেনঃ
"নিশ্চয়ই তোমাদের কারো মাথায় লোহার পেরেক ঠুকে দেয়া ঐ মহিলাকে স্পর্শ করা থেকে অনেক ভাল, যে তার জন্য হালাল নয়।"
তাবারানী, ছহীহুল জামে হাদীস -৪৯২১।
_________________
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু রেওয়ায়াত করেছেন, নবী (সা.) আল্লাহর উক্তি বর্ণনা করেছেনঃ
اِنَّ النَّظْرَ سَهَمٌ مِنْ سِهَامِ اِبْلِيْسَ مَسْمُومٌ مَنْ تَرَكَهَا مَخَافَتِى اَبْدَلْتُهُ اِيْمَانًا يُجِدُ حَلَاوَتَهُ فِى قَلْبِهِ-
“দৃষ্টি হচ্ছে ইবলীসের বিষাক্ত তীরগুলোর মধ্য থেকে একটি তীর, যে ব্যক্তি আমাকে ভয় করে তা ত্যাগ করবে আমি তার বদলে তাকে এমন ঈমান দান করবো যার মিষ্টি সে নিজের হৃদয়ে অনুভব করবে।” (তাবারানী)
_________________
আবু উমামাহ রেওয়ায়াত করেছেন, নবী (সা.) বলেনঃ
مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَنْظُرُ إِلَى مَحَاسِنِ امْرَأَةٍ ثُمَّ يَغُضُّ بَصَرَهُ إِلاَّ أَخْلف اللَّهُ لَهُ عِبَادَةً يَجِدُ حَلاَوَتَهَا-
“যে মুসলমানের দৃষ্টি কোন মেয়ের সৌন্দর্যের ওপর পড়ে এবং এ দৃষ্টি সরিয়ে নেয়, এ অবস্থায় আল্লাহ তার ইবাদাতে বিশেষ স্বাদ সৃষ্টি করে দেন।” (মুসনাদে আহমাদ)
_________________
যে আল্লাহ্‌ আপনাকে এতো সুযোগ দিচ্ছেন ফিরে আসার জন্য, সেই মহান প্রতিপালকের এতো অনুগ্রহ সত্ত্বেও কীসে আপনাদেরকে বাধা দিচ্ছে এসব হারামকে ছেড়ে তাওবা করে তার অনুগত দাস হতে?
______________
আল্লাহ্‌ তাআলা বলেন,
যারা মুমিন, তাদের জন্যে কী আল্লাহর স্মরণে এবং যে সত্য (কুরআন) অবর্তীর্ণ হয়েছে, তার কারণে হৃদয় বিগলিত হওয়ার সময় আসেনি? [সূরা হাদিদঃ ১৬]
___________
আল্লাহ্‌ বলেছেন, যেগুলো সম্পর্কে তোমাদের নিষেধ করা হয়েছে যদি তোমরা সেসব বড় গোনাহ গুলো থেকে বেঁচে থাকতে পার। তবে আমি তোমাদের ক্রটি-বিচ্যুতিগুলো ক্ষমা করে দেব এবং সম্মান জনক স্থানে তোমাদের প্রবেশ করাব। সূরা নিসা : ৩১
_________________
মনে রাখবেন আপনার ভালবাসা এবং বিশ্বাসের অধিকার সর্বপ্রথম আল্লাহ্ সুবহানাহু তায়ালার! আল্লাহকে ভালবাসুন, তিনি অবশ্যই আপনার জন্য উত্তম কিছু তৈরি করে রেখেছেন।
_________________
যে যেভাবে পারেন পোস্টটি সকলের সাথে ট্যাগ অথবা শেয়ার করুন। আপনার মাধ্যমে যদি একজন মানুষও এই অশ্লীল কাজ ছেড়ে দিয়ে ভালো পথে ফিরে আসে তাহলে আপনিও সওয়াবের একটা অংশ পেয়ে যাবেন। ইন-শা-আল্লাহ্‌।

No comments:

Post a Comment