প্রথমত: গুরুত্ব ও ফজিলত:
১. আল্লাহ তাওয়ালা এ দশ দিনের রাতসমূহেরو কুরবানির দিনের ও আরাফাতের দিনের কসম করেছেন। ( সূরা আল-ফাজর) এর দ্বারা এ দিনগুলোর গুরুত্ব প্রমাণিত হয়।
২. রাসুলুল্লাহ (সা বলেন: এ দশ দিনের নেক আমলসমূহ আল্লাহর নিকট অতি প্রিয় (অন্য বর্ণনায় এসেছে: গুরুত্বপূর্ণ) (বুখারী)
দ্বিতীয়ত: এ দশ দিনের যে সকল নেক আমল করা সম্ভব: (১০ প্রকার)
১. জিল-হজ্ব মাসের চাঁদ উঠা থেকে দশ তারিখ পর্যন্ত সাধারণভাবে বেশি বেশি তকবীর পড়া। আর বিশেষভাবে আরাফাতের দিনের ফজর সালাত হতে ১৩ তারিখের আসর সালাত পর্যন্ত প্রত্যেক সালাতের পর তাকবীর পড়া।
তাকবীর হচ্ছে:
আল্লাাহু আকবার, আল্লাাহু আকবার,আল্লাাহু আকবার, লাা ইলাাহা ইল্লাাহ, ওয়াল্লাাহু আকবার, আল্লাাহু আকবার, ওয়ালিল্লাাহিল হামদ্ ।
এছাড়া এদিনগুলিতে বেশি বেশি
-তাসবীহ (সুবহানাল্লাহ),
-তাহমীদ (আলহামদুলিল্লাহ),
-তাহলীল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) ও
-তাকবীর (আল্লাহু আকবার) আদায় করবে।
২. প্রথম দিন হতে আরাফাতের দিন পর্যন্ত রোজা রাখা। বিশেষ করে আরাফাতের রোজা যা বিগত ও আগত দুই বছরের পাপসমূহ মাফ করে দেওয়া হবে।(মুসলিম)
৩. ফরজ ও সুন্নত সালাতের গুরত্ব দেওয়া এবং নফল সালাত বেশি বেশি আদায় করা। বিশেষ করে তাহাজ্জুদ সালাতের জন্য শেষ রাতে উঠে আল্লাহর সাথে গভীর সম্পর্ক কায়েম করা।
৪. মাবরুর হজ্ব করার জন্য চেষ্টা করা। নিশ্চয়ই মাবরুর হজ্বের প্রতিদান একমাত্র জান্নাত।
মাবরুর হজ্বের শর্ত ৬টি:
(ক) একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ইখলাসের সাথে হজ্ব করা।
(খ) শুধুমাত্র রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর সহীহ সুন্নত তরীকায় হজ্ব করা।
(গ) হালাল টাকা-পয়সা দ্বারা হজ্ব করা।
(ঘ) হজ্ব প্রিয়ডে সকল প্রকার পাপ হতে বিরত থাকা।
(ঙ) হজ্ব প্রিয়ডে বেশি বেশি নেকির কাজ করা।
(চ) হজ্বের পরে জীবনের অমল পরিবর্ত হওয়া।
৫. উমরা করা।
৬. বেশি বেশি দান-খয়রাত করা।
৭. বেশি বেশি তওবা ও ইস্তিগফার করা।
৮. বেশি বেশি সাধারন ও বিশেষ জিকির ও দোয়া করা। বিশেষভাবে বেশি করে কুরআন তেলাওয়াত করা।
৯. সুন্নত মোতাবেক কুরবানী করা।
১০. সব ধরনের পাপ ছেড়ে দেওয়া।
শাইখ সাইফুদ্দিন বেলাল মাদানী,
No comments:
Post a Comment