Friday, January 27, 2017

বিদআত’ কাকে বলে? কখন কোন কাজকে ‘বিদআত’ বলে আখ্যায়ন করা হবে?





আমি আগে মুখে নিয়ত পড়ে নামাজ আদায় করিতাম কিন্ত যখন জানতে পারলাম এর কোন রেফারেন্স নেই তখন থেকেই ছেড়ে দিলাম।
এই নাওয়াইতু নিয়ত মানুষের বানানো নিয়ত,যা ইসলামের নামে চলতেছে যুগ যুগ ধরে। এর কোন অস্তিত্ব কোরআন সহি হাদিসে নেই।
আসলে নিয়ত হল অন্তরের ব্যাপার, মুখে উচ্চারণ করা সর্থ নয়। হাদিসে বলা আছে: প্রত্যেকেই নিয়্যাত অনুযায়ী তার প্রতিফল পাবে (বুখারী-১)
মুখে নিয়ত উচ্চারণ করলে বিদআত আর বিদআত করলে ইবাদত কবুল হবেনা। ইবাদতে বিদআত থাকলে ওই আমলটাই নষ্ট, যেহেতু রাসুলের অনুমতির বাহিরে। (সুরা মোহাম্মদ ৩৩)
যিনি এই মুখের নিয়ত চালু করেছেন আল্লাহ তাকে ক্ষমা করুক। রাসুল (সঃ) বলছেন, কেউ যদি আমার নামে মিথ্যা প্রচার করে তার ঠিকানা জাহান্নাম (বুখারি,১১০)
নামাজে যখন দাঁড়াবেন তখন শুধু আল্লাহ আকবর বলে নামাজ শুরু করবেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে বিদআত মুক্ত আমল করার তোফিক দান করুক, আমিন।
বিদআত’ কাকে বলে? কখন কোন কাজকে ‘বিদআত’ বলে আখ্যায়ন করা হবে?
বিদআত বলা হয় দ্বীন ও ইবাদতে নব আবিষ্কৃত কাজকে। অর্থাৎ দ্বীন বা ইবাদত মনে করে করা এমন কাজকে বিদআত বলা হবে, যে কাজের কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর কোন দলীল নেই। রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেন,
“তোমরা (দ্বীন) নব উদ্ভাবিত কর্মসমূহ (বিদআত) থেকে বেঁচে থাকবে। কারণ, প্রত্যেক বিদআতই ভ্রষ্টতা।” ৮১ (আবূ দাঊদ, তিরমিযী)
“যে ব্যক্তি আমার এই দ্বীনে (নিজের পক্ষ থেকে) কোন নতুন কিছু উদ্ভাবন করল--- যা তাঁর মধ্যে নেই, তা প্রত্যাখ্যানযোগ্য।” ৮২ (বুখারী ও মুসলিম)
মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় আছে, “যে ব্যাক্তি এমন কাজ করল, যে ব্যপারে আমাদের নির্দেশ নেই, তা বর্জনীয়।” বলা বাহুল্য, নব আবিষ্কৃত পার্থিব কোন বিষয়কে বিদআত বলা যাবে না। যেমন শরীয়াতে নিষিদ্ধ কোন কাজকে বিদআত বলা হয় না। বরং তাকে অবৈধ, হারাম বা মাকরূহ বলা হয়।

No comments:

Post a Comment