Saturday, February 18, 2017

প্রশ্ন : দ্বীনি বিষয় নিয়ে পরপুরুষ এবং পরনারী কি ফোনে বা সরাসরি কথা বলতে পারে?





উত্তর : ইসলামের সর্বস্মমত বিধান হল, পরপুরষ ও পরনারী একান্ত জরুরি বিষয় ছাড়া সরাসরি কিংবা ফোনের মাধ্যমে কথা বলা জায়েয নেই। তবে বিশেষ দরকারে শর্ত সাপক্ষে কথা বলা জায়েয আছে। যেমন, দ্বীনি বিষয়ে কোন মাসআলা জানা, ডাক্তারের সাথে চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ...ইত্যাদি। তবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কথা বলা, পরষ্পরকে দেখাদেখি করা, নরম ও আকর্ষণীয় কণ্ঠে কথা বলা, তার সামনে খুব প্রশংসা করা ইত্যাদি থেকে বিরত থাকা অপরিহার্য। 
যেমন, আল্লাহ বলেন, 
يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِّنَ النِّسَاءِ ۚ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَّعْرُوفًا 
“হে নবী পত্নীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও; যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না, ফলে সেই ব্যক্তি কুবাসনা করে, যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে তোমরা সঙ্গত কথাবার্তা বলবে।” সূরা আহযাব: ৩২ 
আল্লাহ তাআলা আরও বলেন,
وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِن وَرَاءِ حِجَابٍ ۚ ذَٰلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ ۚ
“তোমরা তাঁর পত্নীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্যে এবং তাঁদের অন্তরের জন্যে অধিকতর পবিত্রতার কারণ।” (সূরা আহযাব: ৫৩)
যতবার প্রয়োজন ততবারই কথা বলা যাবে। তবে যখন মনের মধ্যে পরষ্পরের মধ্যে আকর্ষণ অনুভব করবে, বা ফিতনার ভয় করবে তখন অবশ্যই কথা বলা বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় শয়তান সেখানে কুমন্ত্রণার জাল বিস্তার করে উভয়কে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবে। 
সর্বপরি কথা হল, যদি নিজের কোন মাহরাম পুরুষের মাধ্যমে সেই প্রয়োজন পুরণ করা সম্ভব হয় তবে তাই সবচেয়ে উত্তম। আল্লাহ হেফাযতকারী।

উত্তর দিয়েছেন শাইখ Abdullahil Hadi

No comments:

Post a Comment