আল্লাহ কি নিরাকার ?
----------------------------
আল্ হামদু লিল্লাহ্ ওয়াছ্ ছালাতু ওয়াস্
সালামু আলা রাসূলিল্লাহ্।
সম্মানিত পাঠক-পাঠিকা!
মানুষের আমল বিশুদ্ধ হবার পূর্বশর্ত হল
বিশুদ্ধ ঈমান। যেমন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন,
“মুমিন হয়ে পুরুষ ও নারীর মধ্যে যে কেউ সৎকর্ম করবে, তাকে আমি নিশ্চয়ই পবিত্র জীবন দান করব এবং তাদেরকে তাদের কর্মের শ্রেষ্ঠ প্ররষ্কার দান করব।”
–(সূরা নাহল ৯৭)
অন্যত্র আল্লাহ বলেন, “যারা বিশ্বাসী
হয়ে পরলোক কামনা করে এবং ওর সাথে
যথাযথ চেষ্টা করে তাদের চেষ্টা
স্বীকৃত হয়ে থাকে।”
(সূরা বাণী ইসরাঈল ১৯)।
ঈমান বিশুদ্ধ না হলে আমল যতই বিশুদ্ধ
হোক তা কবুল হবে না। যেমন সলাত
বিশুদ্ধ হওয়ার পূর্ব শর্ত উযু। উযু যদি
বিশুদ্ধ না হয় তাহলে সলাত হয় না।
ঈমানের মধ্যে সর্ব প্রথম হল আল্লাহর
উপর ঈমান। সেই আল্লাহর উপর ঈমান যদি বিশুদ্ধ না হয় তাহলে অন্যান্য আমল যতই বিশুদ্ধ হোক, যেমন সলাত, সিয়াম, হাজ্জ, যাকাত কোনটাই কবুল হবে না।
ভ্রান্ত আক্বীদা-০১: আল্লাহ নিরাকার
(পর্ব-০১)
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্তক বোর্ড,
ঢাকা। এটি এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বোর্ড,
যার সদস্যরা আমাদের দেশের সকল
শিক্ষার্থীদের হাতে (১ম শ্রেনী থেকে
১০ম শ্রেনী পর্যন্ত) বছরের শুরুতে
নির্ধারিত বিষয়ের উপর পাঠ্যপুস্তক তুলে
দেন। তার মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান সম্পর্কিত
দুটি বই হচ্ছে ‘ইসলাম শিক্ষা’ (মুসলিম
ছাত্রদের জন্য) এবং ‘হিন্দু ধর্ম শিক্ষা।’
কিন্তু এ রকম গুরুদায়িত্ব সম্পন্ন একটি
প্রতিষ্ঠান আমাদের মুসলিম
শিক্ষার্থীদের হাতে ইসলাম শিক্ষায়
শিক্ষিত করার নামে, তাদেরকে ঈমান ও
আকাঈদ শিক্ষা দেয়ার মানসে এবং
তাওহীদপন্থী করে তুলার লক্ষ্যে কি
তুলে দিচ্ছে, তার একটি উদাহারণঃ
“আল্লাহ-তিনি অদৃশ্য ও নিরাকার অথচ
সর্বত্র বিরাজমান।” –মাধ্যমিক ইসলাম
শিক্ষা (৯ম-১০ম শ্রেণী; প্রথম অধ্যায়ঃ
আকাইদ; ১ম পরিচ্ছেদঃ (ক) তাওহীদ)
উল্লেখিত বইটি ছাত্রদের কচি মনে
আল্লাহ সম্পর্কে যে বিশ্বাস বদ্ধমূল
করতে চেয়েছে তা হল আল্লাহ নিরাকার
এবং তিনি সর্বত্র বিরাজমান। বইটির এই
বক্তব্য যে ‘ইসলাম’ তা প্রমান হয় বইটির
নামে এবং এখানে আল্লাহ নিরাকার ও
সর্বত্র বিরাজমান কথাটি ইসালামের
শিক্ষা হিসাবে প্রমাণ করার চেষ্টা
করা হয়েছে। কিন্তু ইসলামের প্রকৃত
শিক্ষা হল আল্লাহ সাকার ও আরশে
সমাসীন, তিনি নিরাকার নন এবং সর্বত্র
বিরাজমানও নন।
যদি এটি ইসলামের শিক্ষা না হয়ে
থাকে, তাহলে এ ধারণা বা বিশ্বাসটি
কোথা থেকে আমদানি করা হয়েছে। এটা
বুঝা যাবে, যদি আমরা ঐ ৯ম-১০ম শেণীর
হিন্দু শিক্ষার্থীদের জন্য রচিত
‘মাধ্যমিক হিন্দু ধর্ম শিক্ষা’ বইয়ের
দিকে তাকাই!!! সেখান থেকে আমরা
জানতে পারব যে, “আল্লাহ নিরাকার ও
সর্বত্র বিরাজমান” কথাটি হিন্দু ধর্ম হতে
এনে ইসলাম শিক্ষার মধ্যে ঢুকানো
হয়েছে!!!
এখানে তার প্রমাণ দেয়া হলঃ “ব্রক্ষ্ম
ঈশ্বর। তিনি এক, অদ্বিতীয়। তিনি
নিরাকার ও সর্বব্যাপী” -মাধ্যমিক হিন্দু
ধর্ম শিক্ষা (৪র্থ পাঠঃ ঈশ্বরবাদ;
পৃষ্ঠাঃ ২৩, ২৪ ও ২৫)
বইটি হিন্দু ছাত্রদিগকে হিন্দু ধর্ম
শিক্ষা দিতে চেয়েছে, সেটা তাদের
ব্যাপার। কিন্তু আমরা দেখছি ইসলাম
শিক্ষা বইটিতে মুসলমান কোমলমতি
ছাত্রদেরকে হিন্দুধর্ম শিক্ষা দেওয়া
হচ্ছে ইসলাম শিক্ষার নামে। অবশ্য হিন্দু
ধর্ম শিক্ষার লেখকগণ ঐ কথাগুলির বরাত
‘বেদ’ হতে দিয়েছেন, কিন্তু ইসলাম
শিক্ষার লেখকগণ ‘আল্লাহ নিরাকার ও
সর্বত্র বিরাজমান’ এই কথাটি কোথায়
পেলেন, এর কোন বরাত বা দলীল দেন
নাই।
এতে প্রমাণ হয় ইসলাম শিক্ষার লেখকগণ
হিন্দু ধর্মের শিক্ষাকে ইসলামের
শিক্ষা বলে চালিয়ে দেবার অপচেষ্টা
করেছেন। এ অপচেষ্টার কারন কি? অন্য
দিকে তথা কথিত একদল মুসলমান বলে
থাকেন আল্লাহ নিরাকার ও সর্বত্র
বিরাজমান, এ কথাটি একটি খাটি
মিথ্যা কথা।
এ কথার কোন দলিল কুরআন
ও হাদীসে নাই। আল্লাহ নিরাকার ও
সর্বত্র বিরাজমান কথাটি আল্লাহ
সম্পর্কে অসত্য ও মিথ্যা, ঈমানকে
কলুষিত করার কথা। এই বিশ্বাস ঈমানকে
কলুষিত করবে, জীবন জেন্দেগীর
আমলকে বরবাদ করবে। “আল্লাহ সর্বত্র
বিরাজমান” নন,
তাই আমরা আগামী কয়েকটি পোষ্টে
আল্লাহর আকার সম্পর্কে কোরআন ও
সহীহ হাদিসের দলীল উল্লেখ করার
মাধ্যমে কিছু লিখার চেষ্টা করব
(ইনশাআল্লাহ)।
পর্যালোচনাঃ
আল্লাহ তা’আলা নিরাকার নন, তার
আকার আছে। তিনি শুনেন, দেখেন এবং
কথা বলেন। তার হাত, পা, চেহারা, চোখ
ইত্যাদি আছে। তবে তার সাথে সৃষ্টির
কোন কিছুই তুলনীয় নয়। আল্লাহ বলেন,
“কোন কিছুই তার সদৃশ নয়, তিনি
সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।” -সূরা আশ-শূরা
(৪২:১১)।
সুতরাং তার আকারের সাথে কোন কিছুর
আকারের তুলনা করা যাবে না। যেমন
আল্লাহ নিজেই বলেন, “সুতরাং তোমরা
আল্লাহর কোন সাদৃশ্য বর্ণনা করো না।”
–সূরা নাহল (১৬:৭৪)।
অতএব আল্লাহর আকার আছে, তবে কোন কিছুর সাথে তা তুলনীয় নয়। কুরআন ও
সহীহ হাদীসে তার আকৃতি সম্পর্কে যা
বলা হয়েছে, তার কোন রুপক বা বিকৃত
অর্থ করা যাবে না। বরং বলতে হবে
তিনি তার মত। নিম্মে কিছু উদাহারণ
দেয়া হলঃ
আল্লাহর হাতঃ
আল্লাহর আকার আছে, এর অন্যতম প্রমাণ হল তার হাত আছে। এ সম্পর্কে নিম্নে দলীল পেশ করা হলঃ
(১) মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে
ইহুদীদের একটি বক্তব্য এভাবে তুলে
ধরেছেন, “আর ইহুদীরা বলে আল্লাহর হাত রুদ্ধ; তাদের হাতই বন্ধ হয়ে গেছে। তাদের
এ উক্তির দরুণ তাদের প্রতি অভিশাপ
করা হয়েছে; বরং তার (আল্লাহর) উভয়
হাত প্রসারিত।” -সূরা মায়েদাহ (৫:৬৪)
(২) আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,
“বরকতময় তিনি, যার হাতে সর্বময় কর্তৃত্ব,
তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।” -সূরা
মুলক (৬৭:১)
(৩) অনত্র আল্লাহ বলেন, “বলুন, ইয়া
আল্লাহ! .....আপনারই হাতে যাবতীয়
কল্যাণ। নিশ্চয়ই আপনি সব বিষয়ে
ক্ষমতাবান।” -সূরা আলে ইমরান (৩:২৬)
(৪) আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “আল্লাহর
হাত তাদের হাতের উপর।” -সূরা ফাতহ
(৪৮:১০)
(৫) আল্লাহ আরো বলেন, “তারা আল্লাহর
যথোচিত সম্মান করে না। ক্বিয়ামতের
দিন গোটা পৃথিবী থাকবে তার হাতের
মুঠোতে এবং আকাশ সমূহ ভাজ করা
অবস্থায় থাকবে তার ডান হাতে।” -সূরা
যুমার (৩৯:৬৭)
এ আয়াতের তাফসীরে আব্দুল্লাহ ইবনু
মাস‘ঊদ (রা) হতে বর্ণিত আছে যে,
ইহুদীদের একজন বড় আলেম রসূল (স.)-এর নিকট এসে বলল, “হে মুহাম্মাদ! আমরা (তাওরাতে) এটা লিখিত পাচ্ছি যে,
আল্লাহ তা‘আলা সপ্ত আকাশ রাখবেন
এক আঙ্গুলের উপর এবং যমীনগুলো
রাখবেন এক আঙ্গুলের উপর, বৃক্ষরাজিকে রাখবেন এক আঙ্গুলের উপর এবং পানি ও
মাটি রাখবেন এক আঙ্গুলের উপর, আর
সমস্ত মাখলূককে রাখবেন এক আঙ্গুলের
উপর। অতঃপর এগুলা দুলিয়ে তিনি বলবেন,
আমিই সবকিছুর মালিক ও বাদশা। রসূল
(স.) ইহুদী আলেমের কথার সত্যতায় হেসে ফেলেন, এমনকি তার মাড়ির দাত
প্রকাশিত হয়ে পড়ে। অতঃপর তিনি
উপরোক্ত আয়াতটি পাঠ করেন।”
-সহীহুল বুখারী (হা/৪৮১১, ৭৪১৪, ৭৪১৫, ৭৪৫১, ৭৫১৩,
৬৫১৯: তাওহীদ প্রকাশনী); (হা/৪৪৪৮:
ইসলামিক ফাউন্ডেশন) ও সহীহ মুসলিম
(হা/২৭৮৬: ফুয়াদ আল-বাকী কর্তৃক
প্রদত্ত); (হা/৬৯৩৯, ৬৯৪১, ৬৯৪৩: হাদীস
একাডেমী); (হা/৬৭৮৯, ৬৭৯১, ৬৭৯৩:
ইসলামিক ফাউন্ডেশন); (হা/৬৮৪৩, ৬৮৪৫, ৬৮৪৭: ইসলামিক সেন্টার) এবং মুসনাদে আহমাদ (হা/৪৩৬৮)
(৬) ইবনু ওমর (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি
রসূল (স.) থেকে বর্ণনা করেন যে, রসূল (স.) বলেছেন, “আল্লাহ তা‘আলা ক্বিয়ামতের দিন সমস্ত পৃথিবীকে তার মুঠোতে ধারণ করবেন এবং সমস্ত আকাশকে স্বীয় ডান হাতে গুটিয়ে নিয়ে বলবেন, আমিই একমাত্র বাদশাহ’।” -সহীহুল বুখারী
(হা/৭৪১২: তাওহীদ প্রকাশনী); (হা/৬৯০৮: ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
(৭) ইবনু উমর (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি
বলেন, রসূল (স.) বলেছেন, “ক্বিয়ামতের
দিন আল্লাহ তা’আলা আকাশমন্ডলী
পেচিয়ে নিবেন। তারপর তিনি
আকাশমন্ডলীকে ডান হস্তে ধরে বলবেন,
আমিই বাদশাহ। কোথায় শক্তিশালী
লোকেরা? কোথায় অহংকারীরা? এরপর
তিনি বাম হস্তে গোটা পৃথিবী গুটিয়ে
নিবেন এবং বলবেন, আমিই বাদশাহ।
কোথায় অত্যাচারী লোকেরা, কোথায়
বড়ত্ব প্রদর্শনকারীরা?” -সহীহ মুসলিম
(হা/২৭৮৮: ফুয়াদ আল-বাকী কর্তৃক
প্রদত্ত); (হা/৬৯৪৪: হাদীস একাডেমী);
(হা/৬৭৯৪: ইসলামিক ফাউন্ডেশন);
(হা/৬৮৪৮: ইসলামিক সেন্টার)
(৮) রসূল (স.) বলেছেন, “আল্লাহ তা‘আলা পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উদয় না হওয়া পর্যন্ত (ক্বিয়ামত পর্যন্ত) প্রতি রাতে
তার হাত প্রসারিত করতে থাকবেন,
যাতে করে দিনের গুনাহগার তওবা করে।
আর তিনি দিনে তার হাত প্রসারিত
করতে থাকবেন, যাতে করে রাতের
গুনাহগার তওবা করে।” -সহীহ মুসলিম
(হা/২৭৫৯: ফুয়াদ আল-বাকী কর্তৃক
প্রদত্ত); (হা/৬৮৮২: হাদীস একাডেমী);
(হা/৬৭৩৪: ইসলামিক ফাউন্ডেশন);
(হা/৬৭৯০: ইসলামিক সেন্টার)
(৯) শাফা‘আত সংক্রান্ত হাদিছে আছে,
হাশরবাসী আদম (আঃ)-এর কাছে এসে
বলবে, “হে আদম! আপনি মানুষের পিতা।
আল্লাহ আপনাকে তার নিজ হাতে সৃষ্টি
করেছেন।”
-সহীহুল বুখারী (হা/৩৩৪০, ৩৩৬১,
৪৭১২, ৭৪১০, ৭৫১০: তাওহীদ প্রকাশনী);
(হা/৩১০১, ৪৩৫৩: ইসলামিক ফাউন্ডেশন) ও
সহীহ মুসলিম (হা/১৯৪: ফুয়াদ আল-বাকী
কর্তৃক প্রদত্ত); (হা/৩৮৬: হাদীস
একাডেমী); (হা/৩৭৬: ইসলামিক
ফাউন্ডেশন); (হা/৩৮৭: ইসলামিক
সেন্টার) এবং মুসনাদে আহমাদ (হা/৯২২৯)
(১০) আল্লাহর রসূল (স.) বলেন, “নিশ্চয়ই
সকল আদম সন্তানের অন্তর সমূহ একটি
অন্তরের ন্যায় আল্লাহ তা‘আলার আঙ্গুল
সমূহের দু‘টি আঙ্গুলের মাঝে অবস্থিত।
তিনি যেমন ইচ্ছা তা পরিচালনা করেন।”
-সহীহ মুসলিম (হা/২৬৫৪: ফুয়াদ আল-বাকী কর্তৃক প্রদত্ত); (হা/৬৬৪৩: হাদীস
একাডেমী); (হা/৬৫০৯: ইসলামিক
ফাউন্ডেশন); (হা/৬৫৬০: ইসলামিক
সেন্টার)
(১১) আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি
বলেন, রসূল (স.) বলেছেন, “যে তার হালাল রোযগার থেকে একটি খেজুর পরিমাণ দান করবে (আল্লাহ তা কবুল করবেন) এবং আল্লাহ হালাল বস্তু ছাড়া কিছুই গ্রহন করেন না। আর আল্লাহ তা তার ডান হাতে গ্রহণ করবেন। অতঃপর তার
দানকারীর জন্য তা প্রতিপালন করতে
থাকেন যেরূপ তোমাদের কেউ তার অশ্ব-
শাবককে লালন-পালন করতে থাকে।
অবশেষে একদিন তা পাহাড় সমতুল্য হয়ে
যায়।” -সহীহুল বুখারী (হা/৭৪৩০, ১৪১০:
তাওহীদ প্রকাশনী); (হা/৬৮১১: ইসলামিক
ফাউন্ডেশন) এবং সহীহ মুসলিম (হা/১০১৪: ফুয়াদ আল-বাকী কর্তৃক প্রদত্ত);
(হা/২২৩২: হাদীস একাডেমী); (হা/২২১১:
ইসলামিক ফাউন্ডেশন); (হা/২২১২:
ইসলামিক সেন্টার)
(১২) রসূল (স.) বলেন, “আল্লাহ তা’আলা
আদম (আঃ)-কে বলবেন, হে আদম! উত্তরে তিনি বলবেন, হাজির হে প্রতিপালক!
আমি সৌভাগ্যবান এবং সমস্ত কল্যাণ
আপনার হাতে। তিনি বলবেন,
জাহান্নামীদেরকে বের করে দাও।” -
সহীহুল বুখারী (হা/৩৩৪৮, ৪৭৪১, ৬৫৩০,
৭৪৮৩: তাওহীদ প্রকাশনী); (হা/৩১০৮:
ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
(১৩) আল্লাহ তা’আলা বলেন, “হে ইবলীস! আমি যাকে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছি, তার প্রতি সিজদাবনত হতে তোমাকে কিসে বাধা দিল?” -সূরা ছোয়াদ (৩৮:৭৫)
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের সবাই
ঐক্যমত যে, আল্লাহর উভয় হাতই প্রকৃত।
এখানে সঠিক অর্থ বাদ দিয়ে কুদরতী
হাত, অনুগ্রহ, শক্তি, রাজত্ব, অঙ্গীকার
এসব অর্থ গ্রহণ করা যাবে না কয়েকটি
কারণে। যেমন-
(ক) প্রমাণ ছাড়া প্রকৃত অর্থকে পরির্বতন
করে রূপক অর্থ নেয়া বাতিল।
(খ) সূরা ছোয়াদের ৭৫ নং আয়াতে
হাতের সম্বন্ধ করা হয়েছে আল্লাহর
দিকে দ্বিবচন শব্দ দ্বারা। পক্ষান্তরে
কুরআন এবং সুন্নাহর কোথাও নেয়া’মত ও
শক্তির সমন্ধ আল্লাহর দিকে দ্বিবচন
করা হয়নি। সুতরাং প্রকৃত হাতকে
নেয়া’মত ও কুদরতী অর্থে ব্যাখ্যা করা
শুদ্ধ ও সঠিক নয়।
এতগুলো কুরআনের আয়াত ও হাদীস থেকে
জানতে পারলাম যে, আল্লাহ তা’আলার
ডান হাত আছে, বাম হাত আছে, আল্লাহ
তা’আলা তার হাতকে মুষ্টিবদ্ধ করেন,
তার হাতে পাঁচটি আঙ্গুল আছে, তিনি
তার আঙ্গুলগুলো সংকোচন ও প্রসারণ
করেন।
----চলবে.........ইনশাআল্লাহ ....
No comments:
Post a Comment