Tuesday, October 10, 2017

সূরা বাকারা ও সূরা আলে-ইমরানের ফজিলত





*সূরা বাকারা ও সূরা আলে-ইমরানের ফজিলত :
1-রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
*“তোমরা দু’টি যাহরাবীন তথা পুষ্প পাঠ কর, যথা সূরা আল-বাকারা ও সূরা আলে ইমরান। কারণ এ দু’টি সূরা কেয়ামতের দিন মেঘমালার মত অথবা দু’দল পাখির ঝাঁকের ন্যায় সারিবদ্ধভাবে উড়বে। এরা উভয়ে পাঠকের পক্ষ গ্রহণ করবে। তোমরা সূরা বাকারা পাঠ কর। কারণ তার পাঠ করা বরকতের কারণ, তার পাঠ ত্যাগ করা হতাশা। অলসরা তা করতে পারবে না। মুআবিয়া বলেন, আমার শ্র“ত হয়েছে যে, বাতালার অর্থ জাদু।”*[মুসলিম]

2-আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন :
*“যে ঘরে সূরা আল-বাকারা তিলাওয়াত করা হয়, সে ঘরে শয়তান প্রবেশ করে না।”*
[মুসলিম]
শয়তান ঘরে প্রবেশ না করার কারণ হচ্ছে তাতে আয়াতুল কুরসী রয়েছে।

3-আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত :
*জিব্রীল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট থাকা অবস্থায় বলেন, দেখুন, এটা আকাশের একটি দরজা যা এই মাত্র খোলা হল। ইতিপূর্বে কখনো তা খোলা হয়নি। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর ঐ দরজা দিয়ে একজন ফেরেশতা রাসূলের নিকট এসে বললেন, আপনি দু’টি নূরের সুসংবাদ গ্রহণ করুন, যা আপনার পূর্বে কোন নবিকে দেয়া হয়নি। সেটা হল, সূরা ফাতেহা ও সূরা বাকারার শেষ আয়াতগুলোর সুসংবাদ। আপনি এ দু’টো তিলাওয়াত করে যে কোন হরফ দ্বারা যা চাইবেন, তা আপনাকে দেয়া হবে।*”[ মুসলিম]

4-প্রত্যেক ফরয নামাযের পরে আয়াতুল কুরসী ১ বার (সুরা বাক্বারাহঃ ২৫৫)।
মৃত্যুর পরে জান্নাত + জিন ও শয়তানের ক্ষতি থেকে হেফাজত করবে।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, *“যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয নামায শেষে আয়াতুল কুরসী পাঠ করে তার জন্য জান্নাতে প্রবেশ করার জন্য মৃত্যু ছাড়া আর কোন বাধা থাকে না”*
[সুনানে আন-নাসায়ীঃ ১০০, ইবনে সুন্নীঃ ১২১, শায়খ আলবানীর মতে সহীহ, সিলসিলা আস-সহীহাহঃ ২/৬৯৭। ]

5-রাতে ঘুমানোর আগে সুরা বাক্বারার শেষ ২ আয়াত (২৮৫+২৮৬) ১ বার।
তাহাজ্জুদ পড়ার সমান সওয়াব পাওয়া যাবে + যেকোনো ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য যথেষ্ঠ হবে। 
রাসুলুলাহ (সাঃ) বলেছেন, *“যে ব্যক্তি রাতের বেলা সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়বে সেটা তার জন্য যথেষ্ঠ হবে”*।
[বুখারি ৫০১০, মুসলিম ৮০৭।]

6-রাসূলুল্লাহ (সঃ) স্ত্রী মায়মূনা (রাঃ)-এর ঘরে *তাহাজ্জুদের ছালাতে উঠে আকাশের দিকে তাকিয়ে তিনি সূরা আলে ইমরানের ১৯০ আয়াত থেকে সূরার শেষ অর্থাৎ ২০০ আয়াত পর্যন্ত পাঠ করেন’* (বুখারি ; মুসলিম)।
*7-একবার সফরে রাতে ঘুম থেকে উঠে আকাশের দিকে তাকিয়ে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সূরা আলে ইমরান ১৯১-৯৪ আয়াত পাঠ করেছেন*
(নাসাঈ)। একবার তিনি (গুরুত্ব বিবেচনা করে) সূরা মায়েদাহ ১১৮ আয়াতটি দিয়ে পুরা তাহাজ্জুদের ছালাত শেষ করেন’ (নাসাঈ)।

[মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১১৯৫; নাসাঈ, মিশকাত হা/১২০৯]

No comments:

Post a Comment