প্রশ্ন: পুরাতন, ছেঁড়া ও পড়ার অযোগ্য কুরআন কী করা উচিত?
উত্তর:
কুরআন ও হাদীসের ছেঁড়া পাতা ও বই-পুস্তক পুড়িয়ে ফেলতে হবে। কুরআন ও হাদীছ অতীব পবিত্র ও সম্মানের বস্তু। এগুলির ছিন্ন পাতা বা কিতাব কোনভাবে যাতে অসম্মানিত না হয়, সেদিকে খেয়াল রেখেই সম্ভবতঃ সাহাবায়ে কেরাম এগুলি পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। মূল কুরায়শী আরবীতে কুরআন নাযিল হয়েছিল। পরে অন্য উপভাষাতেও কুরআন পাঠের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে তাতে শব্দ ও মর্মগত বিপত্তি দেখা দিলে ৩য় খলীফা ওছমান (রাঃ) কুরআনের মূল কুরায়শী কপি রেখে বাকী সব কপি পুড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। বর্তমানে কেবল সেই কুরআনই সর্বত্র পঠিত হয় (বুখারী, মিশকাত হা/২২২১)।
তবে পেড়ানোর ক্ষেত্রেও লক্ষ্য রাখতে হবে যেন, কুরআনের অক্ষরগুলো চেনা না যায়। কেননা, অনেক সময় পোড়ানো কাগজেও লেখা দেখা যায়। তাই ছাইগুলোও এমনভাবে গুড়া করে দিবে যেন কুরআনের অক্ষরগুলো সম্পূর্ণরূপে মুছে যায়।
তবে অনেক আলেম বলেছেন যে, তা এমন স্থানে দাফন করাও জায়েয রয়েছে যেখানে মানুষজন চলাফেরা করে না বা যেখানে ময়লা ফেলা হয় না।
তবে ১ম পদ্ধতিটি সবোর্ত্তম। কেননা, এ মর্মে সাহাবীদের আমল রয়েছে। আল্লাহু আলাম।
No comments:
Post a Comment