মুসলিম নরনারীর সামগ্রিক কর্মকান্ড তিনভাগে ভাগ করা যায়- করনীয়, বর্জনীয় ও মুবাহ।
১.করনীয়: ইসলাম যা যা করতে আদেশ করেছে। গুরুত্ব অনুসারে ইসলামের করনীয়সমূহকে ফরয, ওয়াজিব, সুন্নাহ, নফল ও মুস্তাহাবে বিন্যাস করা হয়।
২.বর্জনীয়: ইসলাম যা যা করতে নিষেধ করেছে। গুরুত্ব অনুসারে বর্জনীয়সমূহকে হারাম ও মাকরূহে বিন্যাস করা হয়।
৩.মুবাহ: ইসলাম যা করতে আদেশ করে নাই, আবার নিষেধও করে নাই। বাস্তব জীবনে এমন মুবাহের সংখ্যাই বেশি। মুবাহ, আপনি ইচ্ছে করলে করতে পারেন, আবার নাও করতে পারেন। এতে আপনার অবাধ স্বাধীনতা ও ইখতিয়ার রয়েছে।
মুবাহ ও হালাল: সকল মুবাহ হালাল হিসেবে গণ্য হবে।
মুবাহ ও শরীয়াহ: মুবাহ, ইসলামী শরীয়াহর অন্তর্ভূক্ত নয়। মনে রাখতে হবে কুরআন সুন্নাহর আলোকে করনীয়+বর্জনীয়=শরীয়াহ।
এটাই ইসলামী শরীয়াহর গাণিতিক সূত্র।
মুবাহ ও বিদআত: মুবাহের সাথে বিদআতের কোন সম্পর্ক নাই। মুবাহ কাজ বাড়িয়ে করলে বা কমিয়ে করলে বিদআত হয়না। এই জায়গায় আমাদের অনেক ভাইবোন ভুল করে বসে। বিদআত সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা না থাকার কারনে অনেকে মুবাহ কাজকে বিদআত বলে ফতোয়া দিয়ে বসে! মনে রাখতে হবে, বিদআতের সম্পর্ক শরীয়াহর সাথে। শরীয়াহর অন্তর্ভূক্ত কাজগুলো বাড়িয়ে করলে বা কমিয়ে করলে বিদআত হবে, সন্দেহ নাই।
মুবাহ কখন শরীয়াহর অন্তর্ভূক্ত হয়ে যায়?
দেশের বৈধ সরকার, সংগঠনের আমীর, চাকরিরত প্রতিষ্ঠানের প্রধান, মা-বাবা এবং স্বামী যদি কোন মুবাহ কাজে আদেশ বা নিষেধ করে তখন ঐ মুবাহ কাজটি ইসলামী শরীয়াহর অন্তর্ভূক্ত হয়ে যায়।
আল্লাহ, আমাদের সবাইকে সঠিক জ্ঞান দান করুন।
No comments:
Post a Comment