Monday, October 23, 2017

রোগীর জন্য দো‘আঃ



No automatic alt text available.


 রোগীর জন্য দো‘আঃ
================>
🔘রোগিকে দেখতে গিয়ে সর্বপ্রথম রোগিকে উদ্দেশ্য করে বলতে হয়-
لاَ بأْسَ طَهُورٌ إِنْ شَاءَ اللَّهُ
অর্থ- "কোনো ক্ষতি নেই, আল্লাহ যদি চান তো (রোগটি গুনাহ থেকে) পবিত্রকারী হবে।"
(উচ্চারন- লা বা’সা তহুরুন ইন শা-আল্লা-হ)

[বুখারী (ফাতহুল বারীসহ) ১০/১১৮, নং ৩৬১৬]
🔘 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কেউ মৃত্যু আসন্ন নয় এমন কোনো রোগীকে দেখতে গেলে, সে তার সামনে এই দো‘আ পড়লে আল্লাহ তাকে রোগ মুক্ত করবেন-
أَسْأَلُ اللَّهَ الْعَظِيمَ رَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ أَنْ يَشْفِيَكَ
অর্থ- "আমি মহান আল্লাহ্‌র কাছে চাচ্ছি, যিনি মহান আরশের রব, তিনি যেন আপনাকে রোগমুক্তি প্রদান করেন।"
(উচ্চারণ- আসআলুল্লা-হাল ‘আযীম, রব্বাল ‘আরশিল ‘আযীম, আঁই ইয়াশফিয়াকা)

[তিরমিজী, নং ২০৮৩; আবূ দাউদ, নং ৩১০৬। আরও দেখুন, ২/২১০; সহীহুল জামে‘ ৫/১৮০।]
🔘 আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপন পরিবারের কোন রোগী-দর্শন করার সময় নিজের ডান হাত তার ব্যথার স্থানে ফিরাতেন এবং এ দো‘আটি পড়তেন,
ﺃَﺫْﻫِﺐِ ﺍﻟﺒَﺄﺱَ،ﺭَﺏَّ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ،
ﺍِﺷْﻒِ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﺸَّﺎﻓِﻲ ﻻَ ﺷِﻔَﺎﺀَ ﺇِﻻَّ ﺷِﻔَﺎﺅُﻙَ، ﺷِﻔَﺎﺀً ﻻَ ﻳُﻐَﺎﺩِﺭُ ﺳَﻘَﻤﺎً
(উচ্চারন- আযহিবিল বা’স, রাববান্না-স, ইশফি আন্তাশ শা-ফী, লা শিফা-আ ইল্লা শিফা-উক, শিফা-আল লা য়্যুগা-দিরু সাক্বামা।)
অর্থ- "হে আল্লাহ! হে মানুষের প্রতিপালক! তুমি কষ্ট দূর কর এবং আরোগ্য দান কর। (যেহেতু) তুমি রোগ আরোগ্যকারী। তোমারই আরোগ্য দান হচ্ছে প্রকৃত আরোগ্য দান। তুমি এমনভাবে রোগ নিরাময় কর, যেন তা রোগকে নির্মূল করে দেয়।"

(বুখারী ও মুসলিম২/৯০৭)
🔘 রোগিব্যক্তির নিজের জন্য দো'আঃ
-------------------------------------------------->
আপনার দেহের যে স্থানে আপনি ব্যথা অনুভব করছেন, সেখানে আপনার হাত রেখে তিনবার বলুন,
بِسْمِ اللَّهِ
অর্থ- আল্লাহর নামে।
(উচ্চারন- বিসমিল্লাহ)

এরপর সাতবার বলুন,
أَعُوذُ بِاللَّهِ وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ وَأُحَاذِرُ
"এই যে ব্যথা আমি অনুভব করছি এবং যার আমি আশঙ্কা করছি, তা থেকে আমি আল্লাহ্‌র এবং তাঁর কুদরতের আশ্রয় প্রার্থনা করছি।"
(উচ্চারন- আ‘ঊযু বিল্লা-হি ওয়া ক্বুদরাতিহী মিন শাররি মা আজিদু ওয়া উহা-যিরু)

[মুসলিম- ৪/১৭২৮, নং ২২০২।]
অসুস্থ অবস্থায় পড়ার দুয়াঃ
----------------------------------->
আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) এবং আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তাঁরা উভয়েই রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর প্রতি সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, তিনি বলেছেন,

‘‘যে ব্যক্তি বলে,
‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার’ 
[لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ وَاللهُ أكْبَرُ]
(অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই এবং আল্লাহ সবচেয়ে বড়) বলে,
তখন আল্লাহ তার সত্যায়ন করে বলেন, 
‘আমি ছাড়া কোন (সত্য) উপাস্য নেই এবং আমি সবচেয়ে বড়।’

এবং যখন সে বলে,
‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু অহদাহু লা শারীকা লাহ’ 
[لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ وَحدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ]
(অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোন অংশী নেই),
তখন আল্লাহ বলেন, 
‘আমি ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই, আমি একক, আমার কোন অংশী নেই।’

আবার যখন সে বলে,
‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, লাহুল মুলকু অলাহুল হাম্দ’
[لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ]
(অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই, সার্বভৌম ক্ষমতা তাঁরই এবং তাঁরই যাবতীয় প্রশংসা),
তখন আল্লাহ বলেন, 
‘আমি ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই, সার্বভৌম ক্ষমতা আমারই এবং আমারই যাবতীয় প্রশংসা।’

আর যখন সে বলে, 
‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, অলা হাওলা অলা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ 
[لاَ إله إِلاَّ اللهُ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ باللهِ]
(অর্থ- আল্লাহ ছাড়া কোন (সত্য) উপাস্য নেই এবং আল্লাহর প্রেরণা দান ছাড়া পাপ থেকে ফিরার এবং সৎকাজ করার বা নড়া-চড়ার শক্তি নেই), 
তখন আল্লাহ বলেন, 
‘আমি ছাড়া কোন (সত্য) উপাস্য নেই এবং আমার প্রেরণা দান ছাড়া পাপ থেকে ফিরার এবং সৎকাজ করার বা নড়া-চড়ার শক্তি নেই।’
*রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলতেন, 
‘‘যে ব্যক্তি তার অসুস্থ অবস্থায় এটি পড়ে মারা যাবে, সে কখনো জাহান্নামে যাবে না।"

(সূনান আত তিরমিজী-৩৪৩০ [তাহকীককৃত], দোয়া অধ্যায়)

No comments:

Post a Comment