Wednesday, December 6, 2017

“যখন ইকামত দেওয়া হয়, তখন ফরয ছাড়া অন্য কোন নামায নেই”।



Image may contain: text


ফযরের নামাযের সময় মসজিদে অনেককে দেখা যায়, ফরজ নামাযের জন্য ইকামত দেওয়া হয়ে গেছে অথবা জামাতে নামায পড়ানো হচ্ছে, আর তারা সুন্নত নামায পড়ছেন!!
.
নামায কি নিজের ইচ্ছামতো পড়লে কবুল হবে? রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) এর তরীকা মোতাবেক পড়লে কবুল হবে। 
.
ফরয নামাযের জন্য ইকামত দেওয়া হয়ে গেলে অন্য কোনো নফল বা সুন্নত নামায সম্পূর্ণ হারাম, সুন্নত বিরোধী!!
.
রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, 
“যখন ইকামত দেওয়া হয়, তখন ফরয ছাড়া অন্য কোন নামায নেই”। 
(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ১৫৩১) 
.
এখন যদি কেউ বলে “আমি হানাফী মাযহাবের আর আমার মাযহাবে আছে ফযরের সুন্নত পড়া যাবে”।

আমি বলবো, আপনি আসল হানাফী মাযহাব অনুসরণ করছেন না, আপনি আসলে “হানাফী মাযহাব” নাম দিয়ে অন্য কারো মাযহাব অনুসরণ করছেন!!
কারণ ইমাম আবু হানীফা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন, “ইযা সাহহাল হাদীস, ফাহুয়া মাযহাবি” – জেনে রাখো যখন কোনো সহীহ হাদীস পাবে সেইটাই আমার মাযহাব।
এখন, সহীহ হাদীস মোতাবেক ফরয নামাযের জন্য ইকামত দেওয়া হয়ে গেলে আর কোনো সুন্নত নামায চলবেনা – সুতরাং ইমাম আবু হানীফার মাযহাবও সেটাই হবে। আর আপনি উলটা কাজ করে “হানাফী মাযহাব” হওয়ার দাবী করবেন, আপনি নিজেই বিবেচনা করুন আপনি কতটুকু সত্যিকারে হানাফী মাযহাব অনুসরণ করছেন? 
.
বিঃদ্রঃ অনেকে মনে করেন, ফযরের সুন্নত নামায আগে না পড়লে, ফরয বাদে আর পড়া যাবে না।

এধারণাটা সঠিক না!!
যদি ফযরের ফরয নামাযের পর ওয়াক্ত থাকে তাহলে সুন্নত পড়া যাবে।
আর ওয়াক্ত না থাকলে সূর্য ওঠার পর পড়া যাবে।
কায়েস বিন আ’মর (রাঃ) বলেন, “রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) (ফযরের নামাযের জন্য) বের হয়ে আসলেন আর ইকামত দেয়া হলো। আমি তাঁর (সাঃ) সাথে ফযরের নামায পড়লাম। রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) নামায শেষ করে দেখলেন আমি নামায পড়ছি। রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) আমাকে বললেন, ধীরে কায়েস! দুই রাকাত এক সাথেই? আমি বললাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) আমি ফযরের আগে দুই রাকাত পড়ি নাই। তখন রাসুলুল্লাহ “না, তাহলে পরে ঠিক আছে”।
আবু দাউদের বর্ণনায় আছে, “অতঃপর রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) নীরব থাকলেন”।
(সুনানে আত-তিরমিযী ৪২২, আবু দাউদ ১২৬৭)

এই হাদীস থেকে বুঝা যাচ্ছে, ফযরের নামাযের আগে দুই রাকাত সুন্নত নামায পড়তে না পারলে, ফরয নামাযের পরেও পড়া যাবে। রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) চুপ থাকা মানে তিনি নীরব থেকে কায়েস (রাঃ) কে মৌন সম্মতি দিলেন। আর রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) এর মৌন সম্মতি মানে হলো – সুন্নাহ।
আল্লাহ আমাদের জীবনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে কুরআন ও সুন্নাহ মেনে জীবন পরিচালনা করার তোওফিক দান করুন, আমীন ইয়া রাব্বুল আ’লামীন।

No comments:

Post a Comment