وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:وَالَّذِىْ نَفْسِىْ بِيَدِه لَا يُؤْمِنُ عَبْدٌ حَتّٰى يُحِبَّ لِأَخِيهِ مَا يُحِبُّ لِنَفْسِه. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সে মহান সত্তার শপথ! যাঁর হাতে আমার প্রাণ, বান্দা ততক্ষণ পর্যন্ত (পরিপূর্ণ) ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ না সে নিজের (মুসলিম) ভাইয়ের জন্য সে জিনিস পছন্দ করবে, যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে।
[সহীহ : বুখারী ১৩, মুসলিম ৭২-(৪৫), ১০৭-(১৫৯৯); নাসায়ী ৫০১৭, তিরমিযী ২৫১৫, সহীহুল জামি‘ ৭৫৮৩, আবূ ইয়া‘লা ৩১৮৩, সহীহ ইবনু হিব্বান ২৩৪, শু‘আবুল ঈ‘মান ১১১২৫, সুনানুন্ নাসায়ী আল কুবরা ১১৭৭০, দারিমী ২৭৪০, আল মু‘জামুল আওসাত্ব ৮২৯২।]
হাদিসের ব্যাখ্যাঃ لا يؤمن ‘তারা ঈমানদার হতে পারবে না’ যারা ঈমানের দাবী করে অর্থাৎ নিজেদেরকে মু’মিন বলে পরিচয় দেয়। হাফিয ইবনু হাজার ‘আসকালানী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ ‘তারা ঈমানদার হতে পারবে না।’ এ কথার অর্থ হলো পূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না।
لا يبلغ عبد حقيقة الإيمان অর্থাৎ ‘‘কোন মু’মিন ঈমানের হাকীকাতে পৌঁছতে পারবে না’’, এখানে হাকীকাতে ঈমান অর্থ পূর্ণ ঈমান। এর দ্বারা প্রমাণিত যে, ঈমানের অনেক স্তর রয়েছে। হাদীসটিতে বলা হয়েছে মুসলিমের জন্য তাই ভালোবাসতে হবে যা নিজের জন্য ভালোবাসে, সেটা যত প্রকার কল্যাণ আছে সবই, তা পার্থিব হোক অথবা পারলৌকিক হোক। এর মধ্যে থেকে হারাম বিষয়গুলো বাদ যাবে। (ফাতহুল বারী ১ম খন্ড, হাঃ ১৩)
No comments:
Post a Comment