বাড়ি থেকে ওযু করে মসজিদে গেলে প্রত্যেক ফরজ নামাজের জন্য ১ টা করে হজের সওয়াব পাবেন
------- -------- ---------:>
রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি পরিপূর্ণরুপে ওযু করে কোন ফরয নামায আদায়ের উদ্দেশ্যে (মসজিদে) যায়, অতঃপর তা ইমামের সাথে আদায় করে সে ব্যক্তির পাপরাশি মাফ হয়ে যায়।” (ইবনে খুযাইমাহ্, সহীহ তারগীব ৪০১নং)
তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি স্বগৃহ্ থেকে ওযূ করে কোন ফরয নামায আদায়ের উদ্দেশ্যে বের হয়, তার সওয়াব হল ইহ্রাম বাঁধা হাজীর মত।” (আবূদাঊদ, সুনান ৫৫৮নং)
“যে ব্যক্তি জামাআতে কোন ফরয নামায আদায়ের উদ্দেশ্যে পায়ে হেঁটে (মসজিদে) যায়, সে ব্যক্তির সওয়াব হয় একটি হজ্জ করার মত এবং যে ব্যক্তি কোন নফল (চাশতের) নামায পড়ার জন্য পায়ে হেঁটে (মসজিদে) যায়, তার সওয়াব হয় নফল উমরাহ্ করার মত।” (আহমাদ, মুসনাদ, বায়হাকী, ত্বাব, জামে ৬৫৫৬নং)
বলা বাহুল্য, যে ব্যক্তি স্বগৃহে ওযূ করে ফরয নামায আদায় করার জন্য প্রত্যহ্ ৫ বার মসজিদে যায় এবং সে তাতে ঐ বিশাল সওয়াবের আশা রাখে, সে ব্যক্তি প্রত্যেক দিন ৫টি করে; অর্থাৎ বছরে প্রায় ১৮০০টি হজ্জ করার সওয়াব লাভ করে! আর ৬০ বছরের জীবনে প্রায় ১ লক্ষ ৮ হাজার বার হজ্জ করা হয় একজন মসজিদ-ভক্ত নামাযীর! অতএব অনায়াসে সে ৬০ বছরেই যেন ১০৮০০০ বছরের জীবন লাভ করে থাকে। বরং এত বছর বাঁচলেও সে হয়তো প্রত্যেক বছর হজ্জ করতে সক্ষম হবে না। কিন্তু জামাআতের ঐ নামায তাকে এত দীর্ঘ জীবন দান করে থাকে।
গ্রন্থঃ স্বালাতে মুবাশ্শির
লেখক/সংকলকঃ আবদুল হামীদ ফাইযী
No comments:
Post a Comment