Thursday, November 29, 2018

*রাসুল (সাঃ) ঘুমানোর পূর্বে যে আমলগুলো করতেন*-



No automatic alt text available.



*রাসুল (সাঃ) ঘুমানোর পূর্বে যে আমলগুলো করতেন*-
১- দুই হাতের তালু একত্রে মিলিয়ে সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়ে তাতে ফুঁ দিবে : তারপর দুই হাতের তালু দ্বারা দেহের যতোটা অংশ সম্ভব মাসেহ করবে। মাসেহ আরম্ভ করবে তার মাথা, মুখমণ্ডল ও দেহের সামনের দিক থেকে। (এভাবে ৩ বার করবে।) (বুখারি-৫০১৭)
২- রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন : যে ব্যক্তি শোয়ার সময় আয়াতুল কুরসী পড়বে শয়তান সারা রাত তার নিকটে যাবে না।(বুখারি-২৩১১)
৩- রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন : যে ব্যক্তি রাতে সুরা বাকারার শেষ ২ আয়াত (আ-মানার রাসূলু--) তেলাওয়াত করবে এটা তার জন্য যথেষ্ট হবে ”। (বুখারি- ৪০০৮
৪- নবী (সাঃ) বলেছেন, রাতে (কুল ইয়া আইয়্যু হাল কা-ফিরুন) (অর্থাৎ সূরা কা-ফিরুন) পাঠ করা শির্ক থেকে মুক্তি পেতে উপকারী। (সহীহ তারগীব-৬০২)
৫- একদা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তার সাহাবাদের বললেন, “তোমাদের কেউ কি এক রাতে এক তৃতীয়াংশ কুরআন পড়তে অসমর্থ হবে?” এতে সকলকে বিষয়টি ভারী মনে হল। বলল, একাজ আমাদের মধ্যে কে পারবে, হে আল্লাহ্র রাসূল?! তিনি বললেন, সূরা ইখলাস হল এক তৃতীয়াংশ কুরআন।(বুখারী- ৫০১৫)
৬- “রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যখন ঘুমানোর ইচ্ছা করতেন তখন তাঁর ডান হাত তাঁর গালের নীচে রাখতেন, তারপর এ দো‘আটি বলতেন।”
« ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺑِﺎﺳْﻤِﻚَ ﺃَﻣُﻮﺕُ ﻭَﺃَﺣْﻴَﺎ ».
(আল্লাহুম্মা বিস্মিকা আমূতু ওয়া আহ্ইয়া)।
“হে আল্লাহ ! আপনার নাম নিয়েই আমি মরছি (ঘুমাচ্ছি) এবং আপনার নাম নিয়েই জীবিত (জাগ্রত) হবো।(বুখারি- ৬৩২৪)
৭- রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আলী এবং ফতেমা (রাঃ)- কে বলেন : আমি কি তোমাদেরকে এমন কিছু বলে দিবো না যা তোমাদের জন্য খাদেম অপেক্ষাও উত্তম হবে? যখন তোমরা তোমাদের বিছানায় যাবে, তখন তোমরা ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ, এবং ৩৪ বার আল্লা-হু আকবার বলবে, তা খাদেম অপেক্ষাও তোমাদের জন্য উত্তম হবে’’। (বুখারী- ৩৭০৫)
৮- রাসূল (সাঃ) বলেন : “যে ব্যাক্তি প্রত্যেক রাতে তাবারকাল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক (সুরাহ মূলক) পাঠ করবে এর মাধ্যমে মহিয়ান আল্লাহ্ তাকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করবেন (নাসাই- শাইখ আলবানি (রঃ) হাদিসটাকে হাসান সহিহ বলেছেন এছাড়াও তিরমিজি-২৮৯০)
৯- বারা ইবনু আযেব (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) যখন শয্যায় যেতেন তখন ডান পার্শের উপর শয়ন করতেন। অতঃপর বলতেন-
« ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﺳْﻠَﻤْﺖُ ﻧَﻔْﺴِﻲ ﺇِﻟَﻴْﻚَ، ﻭَﻓَﻮَّﺿْﺖُ ﺃَﻣْﺮِﻱ ﺇِﻟَﻴْﻚَ، ﻭَﻭَﺟَّﻬْﺖُ ﻭَﺟْﻬِﻲ ﺇِﻟَﻴْﻚَ، ﻭَﺃَﻟْﺠَﺄْﺕُ ﻇَﻬْﺮِﻱ ﺇِﻟَﻴْﻚَ، ﺭَﻏْﺒَﺔً ﻭَﺭَﻫْﺒَﺔً ﺇِﻟَﻴْﻚَ، ﻻَ ﻣَﻠْﺠَﺄَ ﻭَﻻَ ﻣَﻨْﺠَﺎ ﻣِﻨْﻚَ ﺇِﻻَّ ﺇِﻟَﻴْﻚَ، ﺁﻣَﻨْﺖُ ﺑِﻜِﺘَﺎﺑِﻚَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺃَﻧْﺰَﻟْﺖَ، ﻭَﺑِﻨَﺒِﻴِّﻚَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺃَﺭْﺳَﻠْﺖَ ».
(আল্লা-হুম্মা আস্লামতু নাফ্সী ইলাইক, ওয়া ফাউওয়াদ্বতু আমরী ইলাইক, ওয়া ওয়াজ্জাহ্তু ওয়াজহিয়া ইলাইক, ওয়াআলজা’তু যাহ্রী ইলাইক, রাগবাতান ওয়া রাহবাতান ইলাইক, লা মালজা’আ ওয়ালা মান্জা মিনকা ইল্লা ইলাইক, আ-মানতু বিকিতা-বিকাল্লাযী আনযালতা ওয়াবিনাবিয়্যিকাল্লাযী আরসালতা)।
“হে আল্লাহ! আমি নিজেকে আপনার কাছে সঁপে দিলাম। আমার যাবতীয় বিষয় আপনার কাছেই সোপর্দ করলাম, আমার চেহারা আপনার দিকেই ফিরালাম, আর আমার পৃষ্ঠদেশকে আপনার দিকেই ন্যস্ত করলাম; আপনার প্রতি অনুরাগী হয়ে এবং আপনার ভয়ে ভীত হয়ে। একমাত্র আপনার নিকট ছাড়া আপনার (পাকড়াও) থেকে বাঁচার কোনো আশ্রয়স্থল নেই এবং কোনো মুক্তির উপায় নেই। আমি ঈমান এনেছি আপনার নাযিলকৃত কিতাবের উপর এবং আপনার প্রেরিত নবীর উপর।”
রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেন, কেউ যদি এ দোয়া পাঠ করে তারপর রাতে মৃত্যুবরণ করে, সে ইসলামের উপর মৃত্যুবরণ করবে।(বুখারী- ৬৩১৩)

No comments:

Post a Comment