আসসালামু আলাইকুম ও রহমাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু....
সম্মানিত-ভাই ও বোনেরা.. আপনারা যারা অনলাইনে ও অফলাইনে ইসলামী দাওয়াতি কাজ করে যাচ্ছেন.. ও করবেন বলে মনে মনে নিয়্যাত করে ফেলেছেন.. তাদেরকে আমার কিছু অনুরোধ...
সম্মানিত-ভাই ও বোনেরা.. আপনারা যারা অনলাইনে ও অফলাইনে ইসলামী দাওয়াতি কাজ করে যাচ্ছেন.. ও করবেন বলে মনে মনে নিয়্যাত করে ফেলেছেন.. তাদেরকে আমার কিছু অনুরোধ...
১-ইসলামের দাওয়াতের কাজ করার সময় অবশ্যই আপনার বিপক্ষের লোক থাকবেই.....
সে জন্য আপনাকে ইসলামের সঠিক কথাটা ভালভাবে জানতে হবে...
সে জন্য আপনাকে ইসলামের সঠিক কথাটা ভালভাবে জানতে হবে...
২-আগে নিজে পালন করবেন, তারপর নিজ পরিবারকে সেটা পালনের দাওয়াত দিবেন ... আর তারপরই অন্যান্য মুসলিম ভাই ও বোনদের দাওয়াত দিবেন....
কারনঃ একটা কথা মনে রাখবেনঃ যে ব্যাক্তি অন্যকে সৎ কাজের আদেশ দেয় অথচ সেটা সে নিজে পালন করে না, কিয়ামতের দিন তার দুই ঠোঁট আগুনের কাঁচি দ্বারা কাঁটা হবে (হাদিস)
কারনঃ একটা কথা মনে রাখবেনঃ যে ব্যাক্তি অন্যকে সৎ কাজের আদেশ দেয় অথচ সেটা সে নিজে পালন করে না, কিয়ামতের দিন তার দুই ঠোঁট আগুনের কাঁচি দ্বারা কাঁটা হবে (হাদিস)
৩- আর ইসলামের দাওয়াত দিতে গিয়ে হয়তো আপনাকে গালি শুনতে হতে পারে... তখন আপনি তাকে বুঝাবেন... তাই বলে আপনিও যেন তাকেও গালি দিবেন না...
কারনঃ অপর মুসলমান ভাইকে গালি দেওয়া ফাসেকি (বড় গুনাহ) (বুখারি-৬৫৯৬ ই.ফা) ..
কারনঃ অপর মুসলমান ভাইকে গালি দেওয়া ফাসেকি (বড় গুনাহ) (বুখারি-৬৫৯৬ ই.ফা) ..
৪-দরকার হলে তাকে হিকমত বা কৌশল ও উত্তম কথা বা উপদেশ দ্বারা ইসলামের দাওয়াত দিবেন ..
কারণঃ মহান আল্লাহ বলেন, ادْعُ إِلَىٰ سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ ۖ وَجَادِلْهُم بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ ۚ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعْلَمُ بِمَن ضَلَّ عَن سَبِيلِهِ ۖ وَهُوَ أَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِينَ অর্থঃ “হে নবী! তুমি মানুষকে তোমার প্রতিপালকের পথে আহ্বান করো হিকমত ও উত্তম উপদেশ দ্বারা। এবং তাদের সাথে তর্কালোচনা করো সর্বোত্তম পদ্ধতিতে৷ নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালন সবিশেষ অবহিত যে, কে তাঁর পথছেড়ে বিপথগামী আছে এবং কে সঠিক পথে আছে।” [সুরা নাহল-১২৫(সুরা নাহল- ১২৫)
কারণঃ মহান আল্লাহ বলেন, ادْعُ إِلَىٰ سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ ۖ وَجَادِلْهُم بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ ۚ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعْلَمُ بِمَن ضَلَّ عَن سَبِيلِهِ ۖ وَهُوَ أَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِينَ অর্থঃ “হে নবী! তুমি মানুষকে তোমার প্রতিপালকের পথে আহ্বান করো হিকমত ও উত্তম উপদেশ দ্বারা। এবং তাদের সাথে তর্কালোচনা করো সর্বোত্তম পদ্ধতিতে৷ নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালন সবিশেষ অবহিত যে, কে তাঁর পথছেড়ে বিপথগামী আছে এবং কে সঠিক পথে আছে।” [সুরা নাহল-১২৫(সুরা নাহল- ১২৫)
৫-তাকে সব সময় নরম সুরে ভাল কথা দ্বারা দাওয়াত দিবেন..
কারণঃ প্রত্যেক ভাল কথা হল সাদকা (বুখারি ২৯৮৯, মুসলিম-১০০৯)
কারণঃ প্রত্যেক ভাল কথা হল সাদকা (বুখারি ২৯৮৯, মুসলিম-১০০৯)
৬-প্রথম দিকে দাওয়াত দিতে গিয়ে আপনার বিপক্ষের লোকেরা আপনার সাথে অবশ্যই তর্ক করবে...
কারনঃ আর প্রকৃত পক্ষে মানুষ খুব তর্কপ্রিয় (সুরা আল-কাহফ-৫৪)
৭-আর যদি সে মূর্খই হয় অর্থাৎ যদি সে না বুঝে তাহলে মূর্খের সাথে তর্ক করতে যাবেন না..
সালাম দিয়ে চলে আসবেন (সুরা ফুরকান-৬৩)
সালাম দিয়ে চলে আসবেন (সুরা ফুরকান-৬৩)
৮-আর যদি ইসলামের ভিতরে আকিদাগত পার্থক্য আছে এমন ভাইদের দাওয়াত দিতে যান... তাহলে অবশ্যই মধ্যমপন্থা অবলম্বন করবেন.. কখনও এই "তুমি যতই বুঝাও তালগাছটা কিন্তু আমারই" নিয়্যাতে থাকবেন না...
৯- আর যে জিনিষটা আপনার কাছে বিভ্রান্ত মনে হবে... সেটা নিয়ে অবশ্যই ক-একজন জ্ঞানীদের নিকটে যাবেন.. নিজে নিজে মুজতাহিদ সাঁজতে যাবেন না..তাহলে আপনার ধংস নিশ্চিত...
কারনঃ আল্লাহ বলেন, তোমরা যদি না জান তবে যারা জানে তাদের নিকট জিজ্ঞাসা কর ( সুরা নাহল:৪৩ )
কারনঃ আল্লাহ বলেন, তোমরা যদি না জান তবে যারা জানে তাদের নিকট জিজ্ঞাসা কর ( সুরা নাহল:৪৩ )
১০- আর আপনার দায়িত্ব থাকবে শুধু ইসলামের সঠিক দাওয়াত দেওয়া... আর দাওয়াত দিলেই যে সে ভাল পথে ফিরে আসবে.. সেটা কিন্তু নয়,
.. কারনঃ আপনি কিন্তু হেদায়েতের মালিক নন.. হেদায়েতের মালিক হল সেই মহান আল্লাহ্ রব্বুল আলামিন....
.. কারনঃ আপনি কিন্তু হেদায়েতের মালিক নন.. হেদায়েতের মালিক হল সেই মহান আল্লাহ্ রব্বুল আলামিন....
আল্লাহ কাহাকেও সৎপথে পরিচালিত করিতে চাহিলে তিনি তার বক্ষকে ইসলামের জন্য প্রশস্হ করিয়া দেন এবং কাহাকেও বিপথগামী করিতে চাহিলে তিনি তাহার বক্ষকে অতিশয় সকীর্ণ করিয়া দেন” (সূরা আনাম ৬:১২৫)
আমার জন্য সবার কাছে দু'আর দরখাস্ত রইল......
No comments:
Post a Comment