Monday, March 30, 2015

সম্ভাষণ :ইসলামে সম্ভাষণ রীতি হ’ল পরস্পরকে সালাম দেয়া। ‘সালাম’ অর্থ ‘শান্তি’।



'‎আস সালামুয়ালাইকুম
-
সম্ভাষণ :ইসলামে সম্ভাষণ রীতি হ’ল পরস্পরকে সালাম দেয়া। ‘সালাম’ অর্থ ‘শান্তি’।
=========================
(ক) সালাম :‘আসসালা-মু আলায়কুম ওয়া রাহমাতুল্লা-হ ওয়া বারাকা-তুহূ’’।
اَلسَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ
অর্থ : ‘আপনার (বা আপনাদের) উপর শান্তি ও আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া সমূহ বর্ষিত হৌক’।

(খ) জওয়াবে বলবে- وَعَلَيْكُمُ السَّلاَمُ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ ‘ওয়া আলাইকুমুস সালা-মু ওয়া রাহমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকা-তুহূ’। অর্থ: ‘আপনার (বা আপনাদের) উপরেও শান্তি এবং আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া সমূহ বর্ষিত হৌক’। ‘আসসালা-মু আলায়কুম’ বললে ১০ নেকী, ‘ওয়া রাহমাতুল্লা-হ’ যোগ করলে ২০ নেকী এবং ‘ওয়া বারাকা-তুহূ’ যোগ করলে ৩০ নেকী পাবে। [তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৪৬৪৪। ]
‘ওয়া মাগফিরাতুহূ’- যোগ করার হাদীছটি ‘যঈফ’।[ আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৪৬৪৫। ]

(গ) যদি কেউ কাউকে সালাম পাঠায়, তবে জওয়াবে বলবে- ‘আলায়কা ওয়া আলাইহিস সালাম’ অর্থ : ‘আপনার ও তাঁর উপরে শান্তি বর্ষিত হউক’। [আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৪৬৫৫। ]

(ঘ) ছালাত অবস্থায় কেউ সালাম দিলে মুখে জওয়াব দেওয়া যাবে না। কেবল (ডান হাতের) আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করা যাবে।[তিরমিযী, মুওয়াত্ত্বা, মিশকাত হা/৯৯১, ১০১৩, ‘ছালাতে অসিদ্ধ ও সিদ্ধ কর্ম সমূহ’ অনুচ্ছেদ-১৯। ]

(ঘ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মুসলিম-অমুসলিম মিলিত মজলিস এবং মহিলা ও শিশুদেরকে সালাম দিতেন’।
[ মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৪৬৩৪-৩৯; আহমাদ, মিশকাত হা/৪৬৪৭। ]

(ঙ) অমুসলিমরা সালাম দিলে উত্তরে বলবে ‘ওয়া আলায়কুম’ (আপনার উপরেও)।[মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৪৬৩৭। ]

(চ) অমুসলিমদের শিষ্টাচার মূলক সম্ভাষণ করা যাবে। কিন্তু আক্বীদা ও আমল বিরোধী কিছু বলা বা করা যাবে না। যেমন কোন হিন্দুকে ‘নমস্কার’ বলা যাবে না। কেননা এর অর্থ ‘আমি আপনার সামনে মাথা ঝুঁকাচ্ছি। আপনি কবুল করুন’। অমনিভাবে ‘নমস্তে’ বলা যাবে না। কেননা এর অর্থ ‘আমি আপনার সামনে ঝুঁকছি’। বরং উভয়ে উভয়কে ‘আদাব’ বলা উচিত। যার অর্থ ‘আমি আপনার প্রতি শিষ্টাচার প্রদর্শন করছি’।

(ছ) কথা বলার পূর্বে সালাম দিবে’। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সালাম দিয়ে শুরু করে না, তাকে অনুমতি দিয়ো না’।

[বায়হাক্বী- শু‘আব; মিশকাত হা/৪৬৭৬, ‘অনুমতি প্রার্থনা’ অনুচ্ছেদ-২; ছহীহাহ হা/৮১৭।]‎'

আস সালামুয়ালাইকুম
-
সম্ভাষণ :ইসলামে সম্ভাষণ রীতি হ’ল পরস্পরকে সালাম দেয়া। ‘সালাম’ অর্থ ‘শান্তি’।
=========================
(ক) সালাম :‘আসসালা-মু আলায়কুম ওয়া রাহমাতুল্লা-হ ওয়া বারাকা-তুহূ’’।
اَلسَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ
অর্থ : ‘আপনার (বা আপনাদের) উপর শান্তি ও আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া সমূহ বর্ষিত হৌক’।
(খ) জওয়াবে বলবে- وَعَلَيْكُمُ السَّلاَمُ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ ‘ওয়া আলাইকুমুস সালা-মু ওয়া রাহমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকা-তুহূ’। অর্থ: ‘আপনার (বা আপনাদের) উপরেও শান্তি এবং আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া সমূহ বর্ষিত হৌক’। ‘আসসালা-মু আলায়কুম’ বললে ১০ নেকী, ‘ওয়া রাহমাতুল্লা-হ’ যোগ করলে ২০ নেকী এবং ‘ওয়া বারাকা-তুহূ’ যোগ করলে ৩০ নেকী পাবে। [তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৪৬৪৪। ]
‘ওয়া মাগফিরাতুহূ’- যোগ করার হাদীছটি ‘যঈফ’।[ আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৪৬৪৫। ]
(গ) যদি কেউ কাউকে সালাম পাঠায়, তবে জওয়াবে বলবে- ‘আলায়কা ওয়া আলাইহিস সালাম’ অর্থ : ‘আপনার ও তাঁর উপরে শান্তি বর্ষিত হউক’। [আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৪৬৫৫। ]
(ঘ) ছালাত অবস্থায় কেউ সালাম দিলে মুখে জওয়াব দেওয়া যাবে না। কেবল (ডান হাতের) আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করা যাবে।[তিরমিযী, মুওয়াত্ত্বা, মিশকাত হা/৯৯১, ১০১৩, ‘ছালাতে অসিদ্ধ ও সিদ্ধ কর্ম সমূহ’ অনুচ্ছেদ-১৯। ]
(ঘ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মুসলিম-অমুসলিম মিলিত মজলিস এবং মহিলা ও শিশুদেরকে সালাম দিতেন’।
[ মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৪৬৩৪-৩৯; আহমাদ, মিশকাত হা/৪৬৪৭। ]
(ঙ) অমুসলিমরা সালাম দিলে উত্তরে বলবে ‘ওয়া আলায়কুম’ (আপনার উপরেও)।[মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৪৬৩৭। ]
(চ) অমুসলিমদের শিষ্টাচার মূলক সম্ভাষণ করা যাবে। কিন্তু আক্বীদা ও আমল বিরোধী কিছু বলা বা করা যাবে না। যেমন কোন হিন্দুকে ‘নমস্কার’ বলা যাবে না। কেননা এর অর্থ ‘আমি আপনার সামনে মাথা ঝুঁকাচ্ছি। আপনি কবুল করুন’। অমনিভাবে ‘নমস্তে’ বলা যাবে না। কেননা এর অর্থ ‘আমি আপনার সামনে ঝুঁকছি’। বরং উভয়ে উভয়কে ‘আদাব’ বলা উচিত। যার অর্থ ‘আমি আপনার প্রতি শিষ্টাচার প্রদর্শন করছি’।
(ছ) কথা বলার পূর্বে সালাম দিবে’। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সালাম দিয়ে শুরু করে না, তাকে অনুমতি দিয়ো না’।
[বায়হাক্বী- শু‘আব; মিশকাত হা/৪৬৭৬, ‘অনুমতি প্রার্থনা’ অনুচ্ছেদ-২; ছহীহাহ হা/৮১৭।]

No comments:

Post a Comment