১. মুসলিম তার মুখ ও হাতের অনিষ্টতা থেকে অন্য মুসলমিকে নিরাপদ রাখে।
দলিল: আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর ইবনে আস্ (রা) বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “মুসলমান হচ্ছে সেই ব্যক্তি, যার মুখ ও হাতের ক্ষতি থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকে।”
[বুখারী: ১/৯ (১০) ও মুসলিম: ১/৪৭ (৬৪) (৪০), রিয়াদুস্ সালেহীন: ১ম খণ্ড-২১১]
দলিল: আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর ইবনে আস্ (রা) বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “মুসলমান হচ্ছে সেই ব্যক্তি, যার মুখ ও হাতের ক্ষতি থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকে।”
[বুখারী: ১/৯ (১০) ও মুসলিম: ১/৪৭ (৬৪) (৪০), রিয়াদুস্ সালেহীন: ১ম খণ্ড-২১১]
২. মুসলিম আল্লাহর নিষিদ্ধ জিনিস থেকে হিজরত করে মুহাজিরের সৌভাগ্য অর্জন করে।
দলিল: আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর ইবনে আস্ (রা) বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ মুহাজির হলো সেই বক্তি, যে আল্লাহর নিষিদ্ধ জিনিস পরিহার করে চলে।
[বুখারী: ১/৯ (১০) ও মুসলিম: ১/৪৭ (৬৪) (৪০), রিয়াদুস্ সালেহীন: ১ম খণ্ড-২১১]
দলিল: আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর ইবনে আস্ (রা) বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ মুহাজির হলো সেই বক্তি, যে আল্লাহর নিষিদ্ধ জিনিস পরিহার করে চলে।
[বুখারী: ১/৯ (১০) ও মুসলিম: ১/৪৭ (৬৪) (৪০), রিয়াদুস্ সালেহীন: ১ম খণ্ড-২১১]
৩. মুসলিম জুলুম করা থেকে বিরত থাকে।
দলিল: জাবের (রা) বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা জুলুম করা থেকে দূরে থাক। কেননা, কিয়ামতের দিন জুলুম অন্ধকারময় ধোঁয়ায় পরিণত হবে।
[মুসলিম: ৮/১৮ (২৫৭৮), রিয়াদুস্ সালেহীন: ১খণ্ড-২০৩]
দলিল: জাবের (রা) বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা জুলুম করা থেকে দূরে থাক। কেননা, কিয়ামতের দিন জুলুম অন্ধকারময় ধোঁয়ায় পরিণত হবে।
[মুসলিম: ৮/১৮ (২৫৭৮), রিয়াদুস্ সালেহীন: ১খণ্ড-২০৩]
৪. মুসলিম কার্পণ্য করা থেকে দূরে থাকে।
দলিল: জাবের (রা) বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ (তোমরা) কার্পণ্যের কলুষতা থেকেও দূরে থাক। কেননা, কার্পণ্যই তোমাদের পূর্বেকার অনেক লোককে (জাতিকে) ধ্বংস করে দিয়েছে। কার্পণ্য তাদেরকে রক্তপাত ও মারপিট করতে উদ্বুদ্ধ করেছে এবং হারামকে হালাল করতে উস্কানি যুগিয়েছে।
[মুসলিম: ৮/১৮ (২৫৭৮), রিয়াদুস্ সালেহীন: ১খণ্ড-২০৩]
দলিল: জাবের (রা) বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ (তোমরা) কার্পণ্যের কলুষতা থেকেও দূরে থাক। কেননা, কার্পণ্যই তোমাদের পূর্বেকার অনেক লোককে (জাতিকে) ধ্বংস করে দিয়েছে। কার্পণ্য তাদেরকে রক্তপাত ও মারপিট করতে উদ্বুদ্ধ করেছে এবং হারামকে হালাল করতে উস্কানি যুগিয়েছে।
[মুসলিম: ৮/১৮ (২৫৭৮), রিয়াদুস্ সালেহীন: ১খণ্ড-২০৩]
৫. মুসলিম জালিমের অব্যাহত জুলুমকে আল্লাহর পক্ষ হতে অবকাশ মনে করে।
দলিল: আবু মূসা (রা) বলেন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ “নিশ্চয়ই আল্লাহ জালিমকে অবকাশ দিয়ে থাকেন; কিন্তু তিনি যখন তাকে পাকড়াও করেন তখন আর রেহাই দেন না। এরপর তিনি (বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এই আয়াত তিলাওয়াত করলেনঃ ‘আর আমার প্রভু (রব) যখন কোন জালিম জনবসতিকে পাকড়াও করেন, তখন তাঁর পাকড়াও এ রকমই (কঠিন) হয়ে থাকে। তাঁর পাকড়াও বড়ই কঠিন ও নির্মম। (সূরা হূদঃ ১০২)”
[বুখারী: ৬/৯৩ (৪৬৮৬) ও মুসলিম: ৮/১৯ (২৫৮৩), রিয়াদুস্ সালেহীন: ১ম খণ্ড-২০৭]
দলিল: আবু মূসা (রা) বলেন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ “নিশ্চয়ই আল্লাহ জালিমকে অবকাশ দিয়ে থাকেন; কিন্তু তিনি যখন তাকে পাকড়াও করেন তখন আর রেহাই দেন না। এরপর তিনি (বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এই আয়াত তিলাওয়াত করলেনঃ ‘আর আমার প্রভু (রব) যখন কোন জালিম জনবসতিকে পাকড়াও করেন, তখন তাঁর পাকড়াও এ রকমই (কঠিন) হয়ে থাকে। তাঁর পাকড়াও বড়ই কঠিন ও নির্মম। (সূরা হূদঃ ১০২)”
[বুখারী: ৬/৯৩ (৪৬৮৬) ও মুসলিম: ৮/১৯ (২৫৮৩), রিয়াদুস্ সালেহীন: ১ম খণ্ড-২০৭]
৬. মুসলিম অন্যায়ভাবে অন্যের জমি জবরদখল করে না।
দলিল: আয়েশা (রা) বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “যে ব্যক্তি এক বিঘৎ পরিমাণ জমিতে জুলুম করল (অর্থাৎ, জোরপূর্বক দখল করল, কিয়ামতের দিন আল্লাহ) তার গলায় সাত তবক জমিন পরিয়ে দেবেন।”
(বুখারী: ৩/১৭০(২৪৫৩) ও মুসলিম: ৫/৫৯(১৬১২), রিয়াদুস্ সালেহীন: ১ম খণ্ড-২০৬]
দলিল: আয়েশা (রা) বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “যে ব্যক্তি এক বিঘৎ পরিমাণ জমিতে জুলুম করল (অর্থাৎ, জোরপূর্বক দখল করল, কিয়ামতের দিন আল্লাহ) তার গলায় সাত তবক জমিন পরিয়ে দেবেন।”
(বুখারী: ৩/১৭০(২৪৫৩) ও মুসলিম: ৫/৫৯(১৬১২), রিয়াদুস্ সালেহীন: ১ম খণ্ড-২০৬]
৭. মুসলিম সরকারী সম্পদ অবৈধভাবে অপচয় করে না।
দলিল: হামযার স্ত্রী হযরত হাওলা বিনতে ‘আমের আল আনসারী বলেন, আমি রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ “এমন অনেক লোক আছে যারা আল্লাহর মাল (অর্থাৎ, সরকারী ধন-সম্পদ) অবৈধভাবে ব্যায় করে, অপচয় করে। কিয়ামতের দিন তাদের শাস্তির জন্য জাহান্নামের আগুন নির্ধারিত রয়েছে।”
[বুখারী: ৪/১০৪ (৩১১৮), রিয়াদুস্ সালেহীন: ১ম খণ্ড-২২১]
দলিল: হামযার স্ত্রী হযরত হাওলা বিনতে ‘আমের আল আনসারী বলেন, আমি রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ “এমন অনেক লোক আছে যারা আল্লাহর মাল (অর্থাৎ, সরকারী ধন-সম্পদ) অবৈধভাবে ব্যায় করে, অপচয় করে। কিয়ামতের দিন তাদের শাস্তির জন্য জাহান্নামের আগুন নির্ধারিত রয়েছে।”
[বুখারী: ৪/১০৪ (৩১১৮), রিয়াদুস্ সালেহীন: ১ম খণ্ড-২২১]
৮. মুসলিম মানুষের প্রতি দয়া পোষণ করে।
দলিল: জাবীর ইবনে আবদুল্লাহ (রা) বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ “যে ব্যক্তি মানুষকে দয়া করে না, আল্লাহও তাকে দয়া করেন না।”
[বুখারী: ৯/১৪১(৭৩৭৬) ও মুসলিম: ৭/৭৭(২৩১৯)(৬৬), রিয়াদুস্ সালেহীন: ১ম খণ্ড-২৭৭]
দলিল: জাবীর ইবনে আবদুল্লাহ (রা) বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ “যে ব্যক্তি মানুষকে দয়া করে না, আল্লাহও তাকে দয়া করেন না।”
[বুখারী: ৯/১৪১(৭৩৭৬) ও মুসলিম: ৭/৭৭(২৩১৯)(৬৬), রিয়াদুস্ সালেহীন: ১ম খণ্ড-২৭৭]
৯. মুসলিম তার অন্য মুসলিম ভাইয়ের জন্য তাই পছন্দ করে যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে।
দলিল: আনাস (রা)-এর বর্ণনা অনুসারে রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “তোমাদের কেউই ঈমানদার হতে পারে না যতক্ষন না সে তার ভাইয়ের জন্য তাই পছন্দ করবে যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে।”
[বুখারী: ১/১০(১৩) ও মুসলিম: ১/৪৯(৪৫)(৭১), রিয়াদুস্ সালেহীন: ১ম খণ্ড-২৩৬]
দলিল: আনাস (রা)-এর বর্ণনা অনুসারে রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “তোমাদের কেউই ঈমানদার হতে পারে না যতক্ষন না সে তার ভাইয়ের জন্য তাই পছন্দ করবে যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে।”
[বুখারী: ১/১০(১৩) ও মুসলিম: ১/৪৯(৪৫)(৭১), রিয়াদুস্ সালেহীন: ১ম খণ্ড-২৩৬]
১০. মুসলিম জালেম ও মজলুম উভয়কেই সাহায্য করে।
দলিল: আনাস (রা) বলেন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ “তোমার ভাইকে সাহায্য কর, চাই সে (স্বৈরাচারী) নিষ্ঠুর জালিম হোক অথবা মজলুম। এক ব্যক্তি নিবেদন করলো, হে আল্লাহর রাসূল! লোকটা যদি মজলুম হয় আমি তাকে সাহায্য করব এটা বুঝতে পারলাম; কিন্তু যদি সে জালিম হয় তাহলে আমি তাকে কিভাবে সাহায্য করব? তিনি বললেনঃ তাকে জুলুম করা থেকে বিরত রাখ, বাধা দাও। এটাই তাকে সাহায্য করার অর্থ।”
[বুখারী: ৯/২৮(৬৯৫২), রিয়াদুস্ সালেহীন: ১ম খণ্ড-২৩৭]
দলিল: আনাস (রা) বলেন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ “তোমার ভাইকে সাহায্য কর, চাই সে (স্বৈরাচারী) নিষ্ঠুর জালিম হোক অথবা মজলুম। এক ব্যক্তি নিবেদন করলো, হে আল্লাহর রাসূল! লোকটা যদি মজলুম হয় আমি তাকে সাহায্য করব এটা বুঝতে পারলাম; কিন্তু যদি সে জালিম হয় তাহলে আমি তাকে কিভাবে সাহায্য করব? তিনি বললেনঃ তাকে জুলুম করা থেকে বিরত রাখ, বাধা দাও। এটাই তাকে সাহায্য করার অর্থ।”
[বুখারী: ৯/২৮(৬৯৫২), রিয়াদুস্ সালেহীন: ১ম খণ্ড-২৩৭]
No comments:
Post a Comment