Friday, May 22, 2015

শবে বরাতের রোযাঃ---------------





আস সালামুয়ালাইকুম, আলহামদুলিল্লাহ,ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রসুলিল্লাহ।
-
শবে বরাতের রোযাঃ---------------
শবে বরাতের রোযা রাখার প্রমাণ স্বরূপ যে হাদীছটি পেশ করা হয়ে থাকে।
ইমাম ইবনে মাজাহ এই হাদীছটি বর্ণনা করেছেন। এই হাদীছের সনদে ইবনে আবু সাব্রাহ নামক একজন জাল হাদীছ রচনাকারী রাবী থাকার কারণে হাদীছটি গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং হাদীছটি মাউযু বা সম্পূর্ণ বানোয়াট। (দেখুনঃ সিলসিলায়ে যাঈফা, হাদীছ নং- ২১৩২)
মুসলিম জাতির উচিৎ এ বিদআত থেকে বিরত থাকা। পরিতাপের বিষয় এই যে, অনেকেই এবিদআতকে বিদআতে হাসানাহ বলে থাকে। আসলে বিদআতে হাসানাহ বলতে কিছু নেই। ইসলামের নামে তৈরীকৃত সকল বিদআতই মন্দ, হাসানাহ বা ভাল বিদআত নামে কোন বিদআতের অস্তিত্ব নেই।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
“প্রতিটি বিদআতই ভ্রষ্টতা আর প্রত্যেক ভ্রষ্টতার পরিণাম হল জাহান্নাম। (নাসাঈ)
ইবনে উমার (রাঃ) বলেন, “সমস্ত বিদআতই ভ্রষ্টতা যদিও মানুষ তাকে উত্তম বলে থাকে।
(দেখুনঃالإبداع في بيان كمال الشرع وخطر الابتداع পৃষ্ঠা নং ২১-২১)
ইরাবায বিন সারিয়া (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
“একদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে নিয়ে নামায পড়লেন। অতঃপর আমাদের দিকে ফিরে এক গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দিলেন। এতে আমাদের চক্ষু থেকে অশ্র ধারা প্রবাহিত হল এবং অন্তরসমূহ বিগলিত হল। তখন এক ব্যক্তি বললঃ হে আল্লাহর রাসূল! সম্ভবতঃ এটিই বিদায়ী ভাষণ। সুতরাং আমাদেরকে আপনি কিসের উপদেশ দিচ্ছেন?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ
আমি তোমাকে আল্লাহকে ভয় করার এবং আমীরের কথা শ্রবণ এবং তা মানার উপদেশ দিচ্ছি।
আমীর যদিও একজন হাবশী গোলাম হয়। কেননা আমার পরে তোমাদের মধ্যে যারা জীবিত থাকবে,
তারা অনেক মতবিরোধ দেখতে পাবে।
সুতরাং তোমরা সে সময় আমার সুন্নাত এবং খোলাফায়ে রাশেদার সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরবে।
তোমরা দ্বীনের মাঝে নতুন বিষয় আবিষ্কার করা থেকে বিরত থাকবে, কেননা প্রত্যেক নতুন বিষয়ই বিদআত।
আর প্রতিটি বিদআতের পরিণাম গোমরাহী বা ভ্রষ্টতা”। (আবু দাউদ, ও তিরমিযী)

No comments:

Post a Comment