Thursday, June 11, 2015

মিথ্যাবাদীর উপবাস করা আল্লাহর নিকট প্রয়োজন নেই!



Abu Anas's photo.

মিথ্যাবাদীর উপবাস করা আল্লাহর নিকট প্রয়োজন নেই!
====================================
►কেস স্টাডি-১ঃ
জামান সাহেব মোবাইলে কথা বলছেন তার বসের সঙ্গে। বস তাকে জিজ্ঞাসা করলেন,
-জামান সাহেব, আপনি এখন কোথায়? জামান সাহেব উত্তর করলেন,
-স্যার, গুলশান মোড়ে চলে এসেছি...
অথচ জামান এখনও বাসায়, জামার বোতাম লাগাচ্ছেন!
শুধু জামান সাহেবই নন, আমরা সবাই মিথ্যা কথায় এতই অভ্যস্থ হয়ে গেছি যে, মিথ্যা কথা বলাকে কোন পাপের কাজ বলে মনে করি না। অবলিলায় যখন তখন আমাদের মুখ দিয়ে মিথ্যা বের হয়ে যায়; অথচ আমরা সবাই রোজাদার।
►কেস স্টাডি-২ঃ
মোকারম সাহেব তার এক কাস্টমারের সাথে কথা বলছেন,
-ভাই, প্রতি পিস পোশাক আমার ক্রয় মুল্যই ৪৫০ টাকা। কেনা দামেই আপনাকে দিচ্ছি!
অথচ তার ক্রয় মুল্য ১২০ টাকা। মোকারম সাহেব একজন ব্যবসায়ী, তার মতো অধিকাংশ ব্যবসায়ীর স্বভাব হলো কথায় কথায় মিথ্যা বলা। হউক তা রামজান মাস অথবা অন্য কোন মাস। অবস্থা এমন যে মিথ্যা কথা ব্যাতিত যেন ব্যবসা করা যায় না; অথচ সবাই রোজাদার!
►►আমাদের সমাজের কিছু সংখ্যক ব্যক্তি সাওম রাখে ঠিকই কিন্তু তারা মিথ্যাচার, মারামারি, গীবত, গালাগালি ইত্যাদি বর্জন করেনা। আরও কিছু সংখক মানুষ আছে রামাদান মাসেও তারা প্রতারণা, চুরি, লটারির টিকেট ক্রয়, তামাক-সিগারেট-মদ প্রভৃতি বিক্রি ইত্যাদিসহ যাবতীয় শরীয়ত অননুমোদিত হারাম কাজ বর্জন করে না। অথচ মহান আল্লাহ আমাদের উপর সাওমের বিধান দিয়েছেন যেন আমরা তাকওয়া তথা পরহেজগারীতা অর্জন করতে পারি। মহান আল্লাহ বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
-হে মানুষ, তোমরা যারা ঈমান এনেছো! তোমাদের ওপর সাওম ফরজ করা হয়েছে যেমনটি করা হয়েছিলো তোমাদের পূর্বপুরূষদের ওপর যাতে করে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো। [সূরা বাকারা ১৮৩]
তাকওয়া অর্জন তো দূরের কথা, রামাদান মাসে আমরা দুনিয়াবী কাজের সুবিধা গ্রহনের জন্য মিথ্যাচার পরিত্যাগ করি না। অথচ রসূল ﷺ বলেছেন,
مَنْ لَمْ يَدَعْ قَوْلَ الزُّورِ وَالْعَمَلَ بِهِ فَلَيْسَ لِلَّهِ حَاجَةٌ فِي أَنْ يَدَعَ طَعَامَهُ وَشَرَابَهُ
-যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলা ও এর ওপর আমল করা বর্জন করে না ও মূর্খতা পরিহার করে না, তার পানাহার হতে বিরত থেকে উপবাস করা আল্লাহর নিকট প্রয়োজন নেই।
[বুখারী হা/১৯০৩]

No comments:

Post a Comment