::: স্বলাত (নামায) ত্যাগকারীর বিধান
''যারা অদৃষ্ট বিষয় গুলোতে বিশ্বাস স্থাপন করে, এবং সলাত (নামায) প্রতিষ্ঠা করে ও আমি তাদেরকে যে জীবনোপকরন দান করেছি তা হতে ব্যয় করে থাকে।'' (সুরা বাকারা ২,৩)
''নিশ্চয় নামায মুসলমানদের উপর ফরয নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। (সুরা আন-নিসাঃ ১০৩)
''অবশ্যই মুনাফেকরা প্রতারণা করছে আল্লাহর সাথে, অথচ তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতারিত করে। বস্তুতঃ তারা যখন সলাতে (নামাযে) দাঁড়ায় তখন দাঁড়ায়, একান্ত শিথিল ভাবে লোক দেখানোর জন্য। আর তারা আল্লাহকে অল্পই স্মরণ করে।''(সুরা নিসা ১৪২)
''অতঃপর তাদের পরে এল অপদার্থ পরবর্তীরা। তারা নামায নষ্ট করল এবং কুপ্রবৃত্তির অনুবর্তী হল। সুতরাং তারা অচিরেই পথভ্রষ্টতা প্রত্যক্ষ করবে।'' (সুরা মরিয়ামঃ ৫৯)
''অতএব দুর্ভোগ সেসব নামাযীর, যারা তাদের নামায সম্বন্ধে বে-খবর।'' (সুরা মাউ’নঃ ৪-৫)
রসুল(সঃ) বলেছেন, “একজন মু’মিন বান্দা এবং কুফর ও শিরক এর মাঝে পার্থক্য হল স্বলাত (নামায) পরিত্যাগ করা অর্থাৎ, যারা স্বলাত (নামায) পড়েন তারা ঈমানদার আর যারা স্বলাত পোরে না তারা কাফির ও মুশরিক।” (মুসলিম)
রসুল (সঃ) আরো বলেছেন, “আমাদের মাঝে ও ঐসব মুনাফিক ও কাফিরদের মধ্যে পার্থক্যকারী বস্তু হল স্বলাত (নামায)। অতএব, যে স্বলাত পরিত্যাগ করল, সে আল্লাহর সাথে কুফুরী করল।” (তিরমীজি, আবু দাউদ, নাসায়ী,ও ইবনে মাজাহ)
রসুল(সঃ) বলেছেনঃ 'নিশ্চয়ই যে সমস্ত ব্যাক্তিরা ফরজ স্বলাত না পড়ে ঘুমিয়ে পগেল এর শাস্তি হিসেবে মৃত্যুর পর ঐ সমস্ত ব্যাক্তিদের কবরে তাদের মাথাগুলোকে পাথর দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হবে। তাদের মাথাগুলো পাথর দিয়ে চুর্নবিচুর্ণ করে দেওয়ার পর ঐ মাথাগুলো পুর্বে যেরুপ ছিল আবার সেরুপ হয়ে যাবে। কিয়ামাত পর্যন্ত পালাক্রমে তাদের কবরে এইরুপ আযাব হতেই থাকবে, কোন রকমেই তাদের থেকে এ শাস্তি শিথিল করা হবে না।' (বুখারী)
সাহাবায়ে কেরামের (রাঃ) মুখনিঃসৃত বানী হতে দালীলঃ
আমীরুল মু’মীনিন উমার ফারুক(রাঃ) বলেনঃ “যে ব্যাক্তি স্বলাত পরিত্যাগ করল, তার জন্য ইসলাম ধর্মে সামান্য পরিমান কোন অংশ বা অধিকার নেই।”
আমীরুল মু’মীনিন উমার ফারুক(রাঃ) বলেনঃ “যে ব্যাক্তি স্বলাত পরিত্যাগ করল, তার জন্য ইসলাম ধর্মে সামান্য পরিমান কোন অংশ বা অধিকার নেই।”
আব্দুল্লাহ বিন শাক্বীক(রাঃ) বলেনঃ “নাবী(সঃ) এর সাহাবীরা একমাত্র স্বলাত পরিত্যাগ করা ছাড়া ইসলামী অন্য কোন কাজ পরিত্যাগ করলে যে মানুষ কাফির হয় এটা তারা জানতান না। ”
আবু মুহাম্মাদ বিন হাযাম বলেন, উমার বিন খাত্তাব(রাঃ) আব্দুর রহমান বিন আওফ(রাঃ) ,মুয়াজ বিন জাবাল(রাঃ) এবং আবু হুরাইরা(রাঃ) সহ আরো অন্যান্য সাহাবী হতে বর্নিত আছে যে,
“নিশ্চয়ই যে ব্যাক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে এক ওয়াক্ত স্বলাত ছেড়ে দিল, এমতবস্থায় ঐ স্বলাতের নির্ধারিত সময়ের ও পার হয়ে গেল তাহলে ইচ্ছাকৃত এই স্বলাত ত্যাগ করার কারনে ঐ বাক্তি কাফির ও মুরতাদ হয়ে গেল।”
পরিশেষে উক্ত বক্ত্যবের বর্ননাকারী আবু মুহাম্মাদ বিন হাযাম বলেনঃ উপরেউল্লেখিত বিষয়ে প্রখ্যাত চার সাহাবির মধ্যে কেউই উক্ত হাদিসের সম্পর্কে কোন মতানৈক্য করেছেন বলে আমাদের জানা নেই।
এখানে দলিল প্রমান সহকারে আয়াত ও হাদিসগুলো দেয়া হল। অস্বীকার করার কোন পথ নেই। লিখাগুলা এই জন্যই পড়তে বললাম যাতে কেয়ামত এর দিন আল্লাহ্র সামনে দাঁড়িয়ে বলতে না পারেন যে আমি জানতাম না,অথবা আমাকে কেউ বলেনি নামাজের ব্যাপারে। আপনার যদি সন্দেহ তাহকে তাহলে ১০০ বার মিলিয়ে নিন প্রমাণগুলো, এতে সরিষা পরিমান ভুল পাবেন না।
::::::::::::::::
হে আল্লাহ! তুমি আমাদের সকলকে যথা সময়ে দৈনিক পাচঁ ওয়াক্ত স্বলাত জামা’আতের সাথে আদায় করার পুর্ন তাওফীক দান কর এবং উল্লেখিত ভয়াবহ সকল প্রকার পরকালীন শাস্তি ও আযাব থেকে আমাদের রক্ষা করিও। আমীন
হে আল্লাহ! তুমি আমাদের সকলকে যথা সময়ে দৈনিক পাচঁ ওয়াক্ত স্বলাত জামা’আতের সাথে আদায় করার পুর্ন তাওফীক দান কর এবং উল্লেখিত ভয়াবহ সকল প্রকার পরকালীন শাস্তি ও আযাব থেকে আমাদের রক্ষা করিও। আমীন
No comments:
Post a Comment