Thursday, September 24, 2015

ঈদের বিধি-বিধান ও আদব



•৷• সহীহ্ হাদিস •৷•'s photo.


▓▓▓▒▒░▒▒░ ঈদের বিধি-বিধান ও আদব ░▒▒░▒▒▓▓▓
_______
‪#‎তাকবীর‬:
আরাফার দিনের ফজর থেকে শুরু করে তাশরীকের দিনের শেষ পর্যন্ত, তথা যিলহজ্জ মাসের তেরো তারিখের আসর পর্যন্ত তাকবীর বলা।
আল্লাহ তায়ালা বলেন:
ﻭَﺍﺫْﻛُﺮُﻭﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻓِﻲ ﺃَﻳَّﺎﻡٍ ﻣَﻌْﺪُﻭﺩَﺍﺕٍ
“আর তোমরা আল্লাহকে স্মরণ কর নির্দিষ্ট দিন সমূহে।”
সূরা বাকারা: ২০৩
__________
তাকবীর বলার পদ্ধতি:
ﺍﻟﻠﻪ ﺃﻛﺒﺮ،
ﺍﻟﻠﻪ ﺃﻛﺒﺮ، ﻻ ﺇﻟﻪ ﺇﻻ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺃﻛﺒﺮ ﺍﻟﻠﻪ ﺃﻛﺒﺮ ﻭﻟﻠﻪ ﺍﻟﺤﻤﺪ
আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়ালিল্লাহিল হামদ।
__________
আল্লাহর মহত্মের ঘোষণা এবং তাঁর ইবাদত ও কৃতজ্ঞতার বর্হি:প্রকাশের উদ্দেশ্যে পুরুষদের জন্য মসজিদে, বাজারে, বাড়িতে ও পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের পরে উচ্চ স্বরে তাকবীর পাঠ করা সুন্নত।
__________
‪#‎কুরবানী_করা‬:
ঈদের দিন ঈদের সালাতের পর কুরবানী করা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি ঈদের আগে জবেহ করল, তার উচিত তদস্থলে আরেকটি কুরবানী করা। আর যে এখনো কুরবানী করেনি, তার উচিত এখন কুরবানী করা।” (বুখারী ও মুসলিম)
__________
কুরবানী করার সময় চার দিন। যথা: নহরের দিন এবং তার পরবর্তী তাশরীকের তিন দিন। যেহেতু রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন: “তাশরীকের প্রতিটি দিনই হল কুরবানীর দিন।” (সিলসিলা
সহীহাহ-২৪৬৭)
__________
‪#‎গোসল_করা‬:
সুন্দর পোশাক পরিধান করা ও পুরুষদের জন্য সুগন্ধি মাখা: তবে অপচয় করা হারাম। অনুরূপভাবে পুরুষদের জন্য টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান ও দাঁড়ি মুণ্ডন করা হারাম। নারীদের জন্য ঈদগাহে যাওয়া বৈধ, তবে সুগন্ধি ও
সৌন্দর্য প্রদর্শন পরিহার করা আবশ্যক।
__________
মুসলিম নারীর জন্য এটা শোভনীয় নয় যে, সে আল্লাহর ইবাদত ও সালাতের উদ্দেশ্যে বের হয়ে পর পুরুষের সামনে বেহায়াপনা প্রদর্শনী ও সুগন্ধি ব্যবহারের মাধ্যমে মহান আল্লাহর নাফরমানীতে লিপ্ত হবে।
__________
‪#‎কুরবানীর_গোস্ত_ভক্ষণ_করা‬:
ঈদুল আজহার দিন রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদগাহ থেকে ফিরে আসার আগে খাবার গ্রহণ করতেন না। বরং তিনি কুরবানী করার পর তার গোস্ত খেতেন। (যাদুল মায়াদ: ১/৪৪১)
__________
‪#‎সম্ভব_হলে_পায়ে_হেঁটে_ঈদগাহে_যাওয়া‬:
ঈদগাহে সালাত আদায় করা সুন্নত। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদগাহে পড়েছেন। তবে বৃষ্টি বা অন্য কোন কারণে মসজিদে
পড়া বৈধ।
__________
‪#‎জামায়াতের_সাথে_ঈদের_সালাত_আদায়_করা_এবং_খুতবা_শোনা‬:
ইবনে তায়মিয়া প্রমুখ গবেষক আলেমগণের মতে অগ্রাধিকার যোগ্য কথা হল, ঈদের সালাত ওয়াজিব। কেননা আল্লাহ তায়ালা বলেন: “অতএব তোমরা রবের উদ্দেশ্যেই সালাত পড় এবং কুরবানী কর।
(সূরা কাউসার: ২)
__________
সুতরাং ওজর ছাড়া তা রহিত হবে না। পুরুষদের সাথে নারীরাও ঈদের সালাতে হাজির হবে। এমনকি ঋতুবতী ও কুমারী মেয়েরাও। তবে ঋতুবতী নারীর ঈদের সালাত থেকে বিরত থাকবে।
__________
‪#‎রাস্তা_পরিবর্তন_করা‬:
এক রাস্তা দিয়ে ঈদগাহে যাওয়া এবং অপর রাস্তা দিয়ে ঈদগাহ থেকে প্রত্যাবর্তন মুস্তাহাব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমনটি
করতেন।
__________
‪#‎ঈদের_শুভেচ্ছা_বিনিময়_করা‬:
পরস্পরে শুভেচ্ছা বিনিময় করা সাহাবীদের থেকে প্রমাণিত।
-------------------------
▓▓ কতিপয় ভুল-ভ্রান্তি:
-------------------------
প্রিয় মুসলিম ভাই, অনেক মানুষ ঈদে নানা ধরণের ভুল-ভ্রান্তিতে পতিত হয়। এগুলো থেকে আমাদেরকে সতর্ক থাকা আবশ্যক।
তন্মধ্যে:
__________
▓ সম্মিলিত তাকবীর:
একজন তাকবীর পাঠ করবে আর অন্যরাও সমস্বরে তাকবীর পাঠ করবে- এটা ঠিক নয়। (বরং প্রত্যেকেই নিজে নিজে উঁচু আওয়াজে তাকবীর পাঠ করবে-এটাই সুন্নত)
__________
▓ ঈদ আনন্দের নামে ঈদের দিনগুলোতে গান-বাজনা শোনা, ফ্লিম দেখা, নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা ইত্যাদি অন্যায় কাজে জড়িয়ে পড়া।
__________
▓ কুরবানী করতে ইচ্ছুক ব্যক্তি কুরবানী করার আগে নখ-চুল ইত্যাদি কর্তন করা। কারণ, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এটি নিষেধ করেছেন।
__________
▓ বিনা প্রয়োজনে অতিরিক্ত খরচ করা বা অপচয় করা উচিৎ নয়। এ মর্মে
আল্লাহ তায়ালা বলেন:
ﻭَﻛُﻠُﻮﺍ ﻭَﺍﺷْﺮَﺑُﻮﺍ ﻭَﻟَﺎ ﺗُﺴْﺮِﻓُﻮﺍ ﺇِﻧَّﻪُ ﻟَﺎ
ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟْﻤُﺴْﺮِﻓِﻴﻦَ
“তোমরা খাও এবং পান করো তবে অপচয় করো না। তিনি অপচয় কারীদের ভালোবাসেন না।” (সূরা আরাফ: ৩১)
__________
▓ পরিশেষে, প্রিয় মুসলিম ভাইদের প্রতি আহবান, আপনারা উপরে বর্ণিত নেক আমল ছাড়াও অন্যান্য নেক আমল করতে যেন ভুলে না যান। যেমন আত্মীয় স্বজনদের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন, তাদের সাথে দেখা-সাক্ষাত করা, পারষ্পারিক রাগ-গোস্বা, হিংসা-বিদ্বেষ ও ঘৃণা পরিহার করা।
__________
▓ এ সব থেকে অন্তরকে পরিচ্ছন্ন করা। এতীম, গরীব-অসহায় মানুষের
প্রতি দয়া করা, তাদেরকে সাহায্য- সহযোগিতা করা এবং তাদের মুখে
হাসি ফোটানোর চেষ্টা করা।
__________
▓ আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন আমাদেরকে এমন আমল করার তাওফীক দান করেন যাতে তিনি সন্তুষ্ট হবেন। তিনি যেন আমাদেরকে দীনের জ্ঞান দান করেন এবং
__________
▓ ঐ সকল লোকদের অন্তর্ভুক্ত করেন যারা এই দিনগুলো তথা জিল হজের দশ দিনে-কেবল তাঁর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নেক আমল সম্পাদন করে।

No comments:

Post a Comment