প্রশ্নঃ ফযর সালাতের ওয়াক্ত কখন শুরু ও শেষ হয়?
উত্তরঃ এই প্রশ্নের উত্তর জানার জন্যে প্রথমে আমাদেরকে জানতে হবে,
‘সুবহি সাদিক্ব’ বলতে কি বোঝায়?
রাত শেষ হয়ে যখন ভোর হওয়া শুরু হয়, তখন আকাশের বুক চিরে পূর্ব দিক থেকে প্রথম সাদা একটা আলোর রেখা পশ্চিম দিকে যায়, একে ‘সুবহি সাদিক্ব’ বা বাংলায় ‘সত্য সকাল’ বলা হয়।
দিনের প্রথম সালাত হচ্ছে ফযর সালাত, আর ফযর সালাতের ওয়াক্ত শুরু হয় যখন ‘সুবহি সাদিক্ব’ দেখা যায় তখন থেকে। আর ফযর সালাতের ওয়াক্ত শেষ হয় যখন পূর্ব আকাশে ‘সূর্য উদয়’ হওয়া শুরু হয়।
উল্লেখ্য, ‘সুবহি সাদিক্ব’ দেখা গেলে সাওমের জন্যে ‘সাহরী’ খাওয়ার সময়ও শেষ হয়ে যায়। এর পর থেকে সাওম ভংগকারী বিষয়গুলো থেকে দূরে থাকতে হবে। আমাদের দেশে প্রচলিত মসজিদগুলোতে রমযান মাসে সাধারণত ফযরের আযান দেওয়া হয় সুবহি সাদিক্বের ৩ থেকে ৫ মিনিট পরে। আর সারা বছর ফযরের ওয়াক্ত হওয়ার কোথাও ১০ মিনিট পরে, কোথাও ২০ মিনিট পরে আবার, কোন মসজিদে আরো অনেক পরে ফযরের আযান দেওয়া হয়। এটা সুন্নতের খেলাপ, কারণ ‘সুন্নাহ’ হচ্ছে সুবহি সাদিক্ব দেখা গেলে ফযরের আযান দেওয়া, বিনা কারণে ইচ্ছাকৃত দেরী না করা। অনেকে মনে করেন, ফযরের আযান দেওয়া পর্যন্ত সাহরী খাওয়া যায়, নিঃসন্দেহে এটা ভুল ধারণা। কারণ ‘সুবহি সাদিক্ব’ বা ‘ফযরের ওয়াক্ত’ শুরু হওয়া মাত্র আপনার পাশ্বর্বর্তী মসজিদে আযান দেওয়া হোক বা না হোক, ঐ সময় থেকে পানাহার থেকে বিরত থাকা ওয়াজিব। সেইজন্য আপনারা সাহরী খাওয়ার জন্য ক্যালেন্ডারে সময়ের দিকে খেয়াল রাখবেন এবং যেই মসজিদ দেরী করে তাদের উপর নির্ভর করবেন না।
সাহরী সম্পর্কে একটা কথা হচ্ছে, অনেক সময় সাহরী খাওয়ার জন্যে হাতে খুব সময় থাকে। এমন অবস্থায় খাওয়া শুরু করলে আর খেতে খেতে সাহরীর সময় শেষ হয়ে গেলে, আপনার মুখে যেই খাবার থাকে, বা প্লেইটে খেলে প্লেইট হাতের কাছে ও গ্লাসে যেই পানি থাকে সামান্য সময়ের মাঝে সেটা আপনি খেতে পারবেন, সেটা ফেলে দিতে হবেনা। তবে সেটা যেন অল্প সময়ের মাঝেই হয়, এবং নতুন করে কোন খাবার নেওয়া যাবেনা।
________________________
আধুনিক যুগে আমাদের অনেকেই আকাশ দেখে ‘সুবহি সাদিক’ এবং ‘সূর্য উদয়’ হওয়া ধরতে পারিনা। সেইজন্য বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে পূর্ব নির্ধারতি ক্যালেন্ডারে সালাতের সময়সূচী দেখে আমরা ফযর সালাতের প্রথম ও শেষ ওয়াক্ত হওয়া জানতে পারি। ‘হাদীস ফাউন্ডেশান’ বা ‘তাওহীদ পাবলিকেশান’ থেকে আপনারা সালাতের সময়সূচীর ক্যালেন্ডার কিনে সেখান থেকে প্রতিদিনের ওয়াক্ত জানতে পারবেন, এইগুলো নির্ভরযোগ্য ক্যলেন্ডার প্রকাশ করে। অথবা নিচের এই ওয়েব সাইট থেকেও আপনারা অনলাইনে প্রতিদিনের পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের সময়সূচী সম্পর্কে জানতে পারবেন, এটাও নির্ভরযোগ্য একটা সাইট।
উত্তরঃ এই প্রশ্নের উত্তর জানার জন্যে প্রথমে আমাদেরকে জানতে হবে,
‘সুবহি সাদিক্ব’ বলতে কি বোঝায়?
রাত শেষ হয়ে যখন ভোর হওয়া শুরু হয়, তখন আকাশের বুক চিরে পূর্ব দিক থেকে প্রথম সাদা একটা আলোর রেখা পশ্চিম দিকে যায়, একে ‘সুবহি সাদিক্ব’ বা বাংলায় ‘সত্য সকাল’ বলা হয়।
দিনের প্রথম সালাত হচ্ছে ফযর সালাত, আর ফযর সালাতের ওয়াক্ত শুরু হয় যখন ‘সুবহি সাদিক্ব’ দেখা যায় তখন থেকে। আর ফযর সালাতের ওয়াক্ত শেষ হয় যখন পূর্ব আকাশে ‘সূর্য উদয়’ হওয়া শুরু হয়।
উল্লেখ্য, ‘সুবহি সাদিক্ব’ দেখা গেলে সাওমের জন্যে ‘সাহরী’ খাওয়ার সময়ও শেষ হয়ে যায়। এর পর থেকে সাওম ভংগকারী বিষয়গুলো থেকে দূরে থাকতে হবে। আমাদের দেশে প্রচলিত মসজিদগুলোতে রমযান মাসে সাধারণত ফযরের আযান দেওয়া হয় সুবহি সাদিক্বের ৩ থেকে ৫ মিনিট পরে। আর সারা বছর ফযরের ওয়াক্ত হওয়ার কোথাও ১০ মিনিট পরে, কোথাও ২০ মিনিট পরে আবার, কোন মসজিদে আরো অনেক পরে ফযরের আযান দেওয়া হয়। এটা সুন্নতের খেলাপ, কারণ ‘সুন্নাহ’ হচ্ছে সুবহি সাদিক্ব দেখা গেলে ফযরের আযান দেওয়া, বিনা কারণে ইচ্ছাকৃত দেরী না করা। অনেকে মনে করেন, ফযরের আযান দেওয়া পর্যন্ত সাহরী খাওয়া যায়, নিঃসন্দেহে এটা ভুল ধারণা। কারণ ‘সুবহি সাদিক্ব’ বা ‘ফযরের ওয়াক্ত’ শুরু হওয়া মাত্র আপনার পাশ্বর্বর্তী মসজিদে আযান দেওয়া হোক বা না হোক, ঐ সময় থেকে পানাহার থেকে বিরত থাকা ওয়াজিব। সেইজন্য আপনারা সাহরী খাওয়ার জন্য ক্যালেন্ডারে সময়ের দিকে খেয়াল রাখবেন এবং যেই মসজিদ দেরী করে তাদের উপর নির্ভর করবেন না।
সাহরী সম্পর্কে একটা কথা হচ্ছে, অনেক সময় সাহরী খাওয়ার জন্যে হাতে খুব সময় থাকে। এমন অবস্থায় খাওয়া শুরু করলে আর খেতে খেতে সাহরীর সময় শেষ হয়ে গেলে, আপনার মুখে যেই খাবার থাকে, বা প্লেইটে খেলে প্লেইট হাতের কাছে ও গ্লাসে যেই পানি থাকে সামান্য সময়ের মাঝে সেটা আপনি খেতে পারবেন, সেটা ফেলে দিতে হবেনা। তবে সেটা যেন অল্প সময়ের মাঝেই হয়, এবং নতুন করে কোন খাবার নেওয়া যাবেনা।
________________________
আধুনিক যুগে আমাদের অনেকেই আকাশ দেখে ‘সুবহি সাদিক’ এবং ‘সূর্য উদয়’ হওয়া ধরতে পারিনা। সেইজন্য বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে পূর্ব নির্ধারতি ক্যালেন্ডারে সালাতের সময়সূচী দেখে আমরা ফযর সালাতের প্রথম ও শেষ ওয়াক্ত হওয়া জানতে পারি। ‘হাদীস ফাউন্ডেশান’ বা ‘তাওহীদ পাবলিকেশান’ থেকে আপনারা সালাতের সময়সূচীর ক্যালেন্ডার কিনে সেখান থেকে প্রতিদিনের ওয়াক্ত জানতে পারবেন, এইগুলো নির্ভরযোগ্য ক্যলেন্ডার প্রকাশ করে। অথবা নিচের এই ওয়েব সাইট থেকেও আপনারা অনলাইনে প্রতিদিনের পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের সময়সূচী সম্পর্কে জানতে পারবেন, এটাও নির্ভরযোগ্য একটা সাইট।
এই ওয়েব সাইটে ‘Fajr’ দ্বারা বোঝাচ্ছে ফযর ওয়াক্ত শুরু, আর ‘Sunrise’ (সূর্য উদয়) কথার দ্বারা অর্থ হচ্ছেঃ ফযর সালাত পড়ার শেষ সময়। সুতরাং সে অনুযায়ী আজ (৩রা অক্টোবর, ২০১৫-ইং তারিখে) ঢাকাতে ফযরের ওয়াক্ত শুরু ৪:৩৫ মিনিটে, আর ফযরের ওয়াক্ত শেষ ৫:৫০ মিনিটে।
এছাড়া আপনারা প্রতিদিন খবরের কাগজে, টিভি থেকে বা স্থায়ী ক্যালেন্ডার যা কিনতে পাওয়া যায়। সেখান থেকে প্রতিদিনের সালাতের ওয়াক্তের সময়সূচী জানতে পারবেন।
সালাতের সময় ঢাকা থেকে দেশের অন্যান্য জেলা শহরগুলোর মাঝে ১-৫/৭ মিনিট পর্যন্ত কম বা বেশি হয়। সাধারণত ক্যালেন্ডারে রাজধানী ঢাকার সালাতের ওয়াক্ত দেওয়া থাকে। সুতরাং আপনি আপনার শহরে নিকটস্থ মসজিদ, মাদ্রাসা থেকে জেনে নেবেন, আপনার এলাকাতে সালাতের সময় হিসাব জন্য ক্যালেন্ডারের সময়ের সাথে কত মিনিট যোগ বা বিয়োগ করতে হবে। এটা ক্যলেন্ডারে সময়সূচীর নিচেও দেওয়া থাকে।
________________________
প্রশ্নঃ ফযরের কাযা সালাত কখন, কিভাবে পড়তে হবে?
এখানে আরো একটি কথা আমি উল্লেখ করতে চাই, অনেক সময় এলার্ম দিয়েও ঘুম থেকে উঠতে না পারলে ফযরের ‘কাযা’ সালাত কখন পড়বেন, সেটা নিয়ে অনেকে ভুল ধারণার উপরে আছেন। অনেকে মনে করেন, ঘুম থেকে উঠে যখন ইচ্ছা তখন পড়বেন, অনেক মনে করেন পরবর্তী সালাত (অর্থাৎ যোহরের সময় পড়তে হবে)...
এই ধারণাগুলো ভুল। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ফযরের সালাতের জন্যে উঠতে না পারলে, বান্দা যখনই ঘুম থেকে উঠবে ঠিক তখনই ফযরের সালাত ‘কাযা’ আদায় করে নিবে। নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“যে ব্যক্তি সালাতের কথা ভুলে যায়, কিংবা সালাত না পড়ে ঘুমিয়ে থাকে, তার কাফফারা হলঃ যখন সালাতের কথা স্মরণ হবে তখনই সে তা আদায় করে নেবে।” [সহীহুল বুখারী]
সুতরাং, ফযরের সময় টের না পেলে যখনই উঠবেন তখনই কাযা সালাত পড়ে নেবেন। কাযা সালাতের জন্যে আলাদা কোন নিয়ত নেই। শুধু সালাতের পূর্বে মনে মনে চিন্তা করে নিলেই হবে বা স্থির করে নিলেই হবেঃ আমি ফযরের ২ রাকাত সুন্নাত সালাতের কাযা আদায় করছি অথবা, আমি ফযরের ২ রাকাত ফরয সালাতের কাযা আদায় করছি। উল্লেখ্য, ফযরের সুন্নত সালাতের অনেক বড় ফযীলত রয়েছে, সুতরাং ফযরের সুন্নত সালাতের কাযা আদায় করা ভালো, যদিও সুন্নত সালাতের কাযা আদায় করা ফরয নয়। তবে সওয়ার অনেক বেশি, সুতরাং পড়াই উত্তম। আর সে ক্ষেত্রে, স্বাভাবিক নিয়মের মতোই প্রথমে ফযরের সুন্নত, এর পরে ফরয সালাত পড়বেন।
এছাড়া আপনারা প্রতিদিন খবরের কাগজে, টিভি থেকে বা স্থায়ী ক্যালেন্ডার যা কিনতে পাওয়া যায়। সেখান থেকে প্রতিদিনের সালাতের ওয়াক্তের সময়সূচী জানতে পারবেন।
সালাতের সময় ঢাকা থেকে দেশের অন্যান্য জেলা শহরগুলোর মাঝে ১-৫/৭ মিনিট পর্যন্ত কম বা বেশি হয়। সাধারণত ক্যালেন্ডারে রাজধানী ঢাকার সালাতের ওয়াক্ত দেওয়া থাকে। সুতরাং আপনি আপনার শহরে নিকটস্থ মসজিদ, মাদ্রাসা থেকে জেনে নেবেন, আপনার এলাকাতে সালাতের সময় হিসাব জন্য ক্যালেন্ডারের সময়ের সাথে কত মিনিট যোগ বা বিয়োগ করতে হবে। এটা ক্যলেন্ডারে সময়সূচীর নিচেও দেওয়া থাকে।
________________________
প্রশ্নঃ ফযরের কাযা সালাত কখন, কিভাবে পড়তে হবে?
এখানে আরো একটি কথা আমি উল্লেখ করতে চাই, অনেক সময় এলার্ম দিয়েও ঘুম থেকে উঠতে না পারলে ফযরের ‘কাযা’ সালাত কখন পড়বেন, সেটা নিয়ে অনেকে ভুল ধারণার উপরে আছেন। অনেকে মনে করেন, ঘুম থেকে উঠে যখন ইচ্ছা তখন পড়বেন, অনেক মনে করেন পরবর্তী সালাত (অর্থাৎ যোহরের সময় পড়তে হবে)...
এই ধারণাগুলো ভুল। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ফযরের সালাতের জন্যে উঠতে না পারলে, বান্দা যখনই ঘুম থেকে উঠবে ঠিক তখনই ফযরের সালাত ‘কাযা’ আদায় করে নিবে। নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“যে ব্যক্তি সালাতের কথা ভুলে যায়, কিংবা সালাত না পড়ে ঘুমিয়ে থাকে, তার কাফফারা হলঃ যখন সালাতের কথা স্মরণ হবে তখনই সে তা আদায় করে নেবে।” [সহীহুল বুখারী]
সুতরাং, ফযরের সময় টের না পেলে যখনই উঠবেন তখনই কাযা সালাত পড়ে নেবেন। কাযা সালাতের জন্যে আলাদা কোন নিয়ত নেই। শুধু সালাতের পূর্বে মনে মনে চিন্তা করে নিলেই হবে বা স্থির করে নিলেই হবেঃ আমি ফযরের ২ রাকাত সুন্নাত সালাতের কাযা আদায় করছি অথবা, আমি ফযরের ২ রাকাত ফরয সালাতের কাযা আদায় করছি। উল্লেখ্য, ফযরের সুন্নত সালাতের অনেক বড় ফযীলত রয়েছে, সুতরাং ফযরের সুন্নত সালাতের কাযা আদায় করা ভালো, যদিও সুন্নত সালাতের কাযা আদায় করা ফরয নয়। তবে সওয়ার অনেক বেশি, সুতরাং পড়াই উত্তম। আর সে ক্ষেত্রে, স্বাভাবিক নিয়মের মতোই প্রথমে ফযরের সুন্নত, এর পরে ফরয সালাত পড়বেন।
No comments:
Post a Comment