Thursday, November 12, 2015

তওবা করতে হবে কিন্তু কিভাবে?




১- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “আল্লাহ্‌র শপথ, নিশ্চয় আমি দৈনিক সত্তর -এর অধিকবার আল্লাহ্‌র কাছে ক্ষমা চাই এবং তাওবা করি।” ( বুখারী, ফাতহুল বারীসহ, ১১/১০১, নং ৬৩০৭।)
২- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, “হে মানুষ, তোমরা আল্লাহ্‌র কাছে তাওবা কর, নিশ্চয় আমি আল্লাহ্‌র কাছে দৈনিক একশত বার তাওবা করি।”( মুসলিম, ৪/২০৭৬, নং ২৭০২।)
তওবার দোয়া-
তওবার সুন্নাতি দোয়া বা কি বলে তওবা করবেন, ১-
أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ وَأَتُوبُ إِلَيهِ
(আস্তাগফিরুল্লা-হা ‘ওয়া আতূবু ইলাইহি)।
‘আমি মহামহিম আল্লাহ্‌র নিকট ক্ষমা চাই, আর আমি তাঁরই নিকট তওবা করছি।’( বুখারী, ফাতহুল বারীসহ, ১১/১০১, নং ৬৩০৭।)
২- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি বলবে,
«أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الْعَظيمَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ القَيّوُمُ وَأَتُوبُ إِلَيهِ».
(আস্তাগফিরুল্লা-হাল ‘আযীমল্লাযী লা ইলা-হা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কায়্যূমু ওয়া আতূবু ইলাইহি)।
‘আমি মহামহিম আল্লাহ্‌র নিকট ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তিনি চিরস্থায়ী, সর্বসত্তার ধারক। আর আমি তাঁরই নিকট তওবা করছি।’ আল্লাহ তাকে মাফ করে দিবেন যদিও সে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়নকারী হয়।” ( সহীহুত তিরমিযী ৩/১৮২)
এগুলো হচ্ছে মৌখিক তওবা অর্থাৎ প্রতিদিন কমপক্ষে ৭০ বা ১০০ বার এই ধরণের দোয়ার মাধ্যমে তওবা করতে হবে যেটা স্বয়ং রাসুল (সাঃ) করেছেন আর তওবার মোক্ষম পদ্ধতি বা অন্তরের তওবা রয়েছে আর সেটা খুব জরুরী ১ টা আমল, কারো মধ্যে ঐ তওবা না থাকলে তার গুনাহ মাফের আশা করাই দুরাশা, সেই তওবার সর্ত ও করনীয় প্রত্যেকের জেনে নেওয়া ফরয-
<<< তওবার সর্ত >>>
প্রত্যেক পাপ থেকে তওবা করা (চিরতরে প্রত্যাবর্তন করা) ওয়াজিব (অবশ্য-কর্তব্য)। যদি গোনাহর সম্পর্ক আল্লাহর (অবাধ্যতার) সঙ্গে থাকে এবং কোন মানুষের অধিকারের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক না থাকে, তাহলে এ ধরনের তওবা কবুলের জন্য তিনটি শর্ত রয়েছে। ১- পাপ সম্পূর্ণরূপে বর্জন করতে হবে। ২- পাপে লিপ্ত হওয়ার জন্য অনুতপ্ত ও লজ্জিত হতে হবে। ৩- ঐ পাপ আগামীতে দ্বিতীয়বার না করার দৃঢ় সঙ্কল্প করতে হবে। সুতরাং যদি এর মধ্যে একটি শর্তও লুপ্ত হয়, তাহলে সেই তওবা বিশুদ্ধ হবে না। পক্ষান্তরে যদি সেই পাপ মানুষের অধিকার সম্পর্কিত হয়, তাহলে তা গ্রহণীয় হওয়ার জন্য আরও একটি শর্ত আছে আর তা হল, হকদারদের হক ফিরিয়ে দিতে হবে। যদি অবৈধ পন্থায় কারো মাল বা অন্য কিছু নিয়ে থাকে, তাহলে তা ফিরিয়ে দিতে হবে।তাকে পাওয়া সম্ভব না হলে তাঁর নামে দান করে দিতে হবে। আর যদি কারো উপর মিথ্যা অপবাদ দেয় অথবা অনুরূপ কোনো দোষ করে থাকে, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছে শাস্তি নিতে নিজেকে পেশ করতে হবে অথবা তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। যদি কারো গীবত করে থাকে, তাহলে তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।
(রিয়াদুস সলেহিন থেকে)

No comments:

Post a Comment