জিলহাজ্জ মাসের প্রথম দশটি দিন মুমিনের জন্য অত্যন্ত ফযীলতের।
------------------
সহী বুখারীতে এসেছে রাসূল সাঃ বলেন:“যুলহাজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনে নেক আমল করা আল্লাহর নিকট যত প্রিয় আর কোন দিনের আমল তাঁর নিকট তত প্রিয় নয়। সাহাবীরা প্রশ্ন করলেন, হে আল্ল্হার রাসূল (সাঃ) আল্লাহর পথে জিহাদও কি এ দশদিনের নেক আমলের চেয়ে প্রিয় নয়? তিনি বললেন, না , আল্লাহর পথে জিহাদও প্রিয় নয়। তবে ঐ ব্যক্তি ছাড়া,যে ব্যক্তি নিজের প্রাণ ও সম্পদ নিয়ে জিহাদে গেল এবং কোন কিছুই আর ফিরে এলো না।” (বুখারী,আস-সহীহ,১/৩২৯)
অন্য হাদীসে তিনি বলেন,“দুনিয়ার সবচেয়ে বেশি ফযিলতের দিন হল যুলহাজ্জ মাসের প্রথম দশদিন।”(হাদীসটি সহীহ,হাইসামী,মাজমাউয যাওয়ায়েদ,৩/২৫৩)
তাই আল্লাহর নযে়ামত ও বশিষে অনুগ্রহ মনে করে এই দশকে সাধ্যমতো নেক আমলের পাবন্দী করা একান্ত প্রয়োজন।। সকল প্রকার ইবাদতই নেক আমল। ফরয ইবাদত তো সঠিক সময়ে সঠিকভাবে করতেই হবে।
পাশাপাশি অন্যান্য নফল ইবাদতের প্রতিও গুরুত্ব দিতে হবে। যেমন, যিকর, দুআ, ইসতিগফার, নফল নামজ, নফল রোযা, কুরআন তেলাওয়াত, দান ইত্যাদি। হাদীস শরীফে বিশেষ করে তিন প্রকার ইবাদত এ দিনগুলিতে পালনের জন্য উৎসাহ দেওয়া হয়েছে: কিয়ামুল্লাইল বা রাতের নামায, সিয়াম ও যিকর।
বিশেষত যুলহাজ্জ মাসের ৯ তারিখে যেদিন হাজীগন আরাফার মাঠে অবস্থান করেন, সে দিন যারা হজ্জে যান না তাদেরকে সিয়াম পালন করতে বিশেষভাবে উৎসাহ দিয়েছেন। রাসূল (সাঃ) বলেন: “আমি আশা করি আরাফার দিবসের সিয়াম বিগত বছর ও আগামী বছরের কাফ্ফারা হবে।” (মুসলিম আস-সহীহ ২/৮১৯)।
অপর একটি হাদীসে তিনি বলেন:“যুলহাজ্জ মাসের প্রথম দশদিনের চেয়ে আল্লাহর নিকট অধিক মর্যাদাময় কোনদিন নেই এবং নেক আমল করার জন্য এগুলির চেযে বেশি প্রিয় দিন আর নেই। অতএব তোমরা এদিনগুলিতে বেশি বেশি তাসবীহ (সুবহানাল্লাহ), তাহমীদ (আলহামদুলিল্লাহ), তাহলীল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) ও তাকবীর (আল্লাহু আকবার) আদায় করবে।” অন্য বর্ণনায়: বেশি বেশি তাহলীল, তাকবীল ও আল্লাহর যিকর করবে।” (হাদীসটি সহীহ। হাইসামী, মাজমাউয যাওয়াইদ ২/৩৯)
আল্লাহ তাআলা আশারায়ে যিলহজ্জের মতো অন্যান্য বিশেষ দিনগুলোতে ইবাদত-বন্দগেী করার তাওফীক দিন। আমীন
-জিলহাজ্জ মাসের নেক আমল/ ডঃ খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
No comments:
Post a Comment