🌟পূর্ণভাবে ওযু করে কালিমা শাহাদাত ১বার পড়া🌟
ছোট্ট একটা কাজ অথচ কি বিশাল ফজিলত! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!!
"রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন “যে ব্যক্তি পূর্ণভাবে ওযু করবে এবং কালিমা শাহাদাত পাঠ করবে, তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজাই খুলে দেয়া হবে। সে যেটা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করতে পারবে”।
(মুসলিম ১/২০৯, মিশকাতঃ ২৮৯।)
আল্লাহু আকবার!জান্নাতের সকল দরজা দিয়ে প্রবেশ করার কি সুবর্ণ সুযোগ! শুধুমাত্র প্রয়োজন একটু সচেতনতা......নেকীর পুর্ন আশা রেখে এখলাসের সাথে, অর্থ বুঝে পড়ে, অন্তর থেকে সাক্ষ দেয়া।
শয়তান যেনো আমাদের ভুলিয়ে না দেয়!!
আল্লাহ তা'আলার দেয়া এই বিশাল নিয়ামত থেকে আমরা যেন কেউই বাদ না পরি।
আল্লাহ তাওফিক দিন।আমিন
________________________
ওযু শেষ করে কালিমা শাহাদাত একবার পড়তে হবে,
أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَـهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ.
উচ্চারণঃ আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্’দাহু লা শারিকা-লাহু ওয়াআশহাদু আন্না মুহা’ম্মাদান আ’বদুহু ওয়া রাসুলুহ।
অর্থঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন মাবূদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সঃ) তাঁর বান্দা ও রাসূল।
বি দ্র:- কালেমা শাহাদাত পড়ার সময় আকাশের দিকে তাকানোর প্রয়োজন নেই, এ সম্পর্কিত হাদীস মুনকার বা যঈফ। [শায়খ আলবানী, ইরোয়াউল গালীল ১/১৩৫]
________________________
এছাড়া আরো দুটি দুয়া পড়া যায়,
যেমন –
اَللَّهُمَّ اجْعَلْنِيْ مِنَ التَّوَّابِيْنَ وَاجْعَلْنِيْ مِنَ الْمُتَطَهِّرِيْنَ.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাজ আ’লনী মিনাত তাওয়্যাবীনা ওয়াজ আ’লনী মিনাল মুতা-ত্বাহহিরীন।
অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি আমাকে তওবাকারী ও পবিত্রতা অর্জনকারীদের অন্তর্ভুক্ত করো।
তিরমিযী ১/৭৯।
______________________
৩য় এই দুয়াটি পড়া সুন্নত
«سُبْحانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتوبُ إِلَيْكَ»
উচ্চারণঃ সুবহা’নাকা আল্লা-হুম্মা ওয়া বিহা’মদিকা আশহাদু আল লা-ইলাহা ইল্লা আন্তা আস্তাগফিরুকা ওয়াআতূবু ইলাইকা।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনার প্রশংসাসহ পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি। আমি সাক্ষ্য দেই যে, আপনি ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, আমি আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং আপনার নিকট তওবা করছি।
নাসাঈ, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ, পৃ. ১৭৩। আরও দেখুন, ইরওয়াউল গালীল, ১/১৩৫, ৩/৯৪।
উল্লেখ্য, এই দুয়াটাকে "বৈঠক খতমের দুয়া" বলা হয়। কারণ, এই দুয়াটা যেকোন সালাত, ক্বুরান তেলাওয়াত, যিকির, দ্বীনি মজলিস শেষে উঠার সময় পড়া সুন্নত। এই দুয়াটা পড়লে সেই বৈঠকে কোন ভুল করলে বা ভুল কিছু বলে ফেললে তার কাফফারা হয়ে যাবে। সুতরাং, বৈঠক শেষে এই দুয়াটা পড়ার অভ্যাস গড় তোলা উচিৎ।
আল্লাহ আমাদের সকলকে আমল করার তোওফিক দান করুন, আমিন।
No comments:
Post a Comment