Friday, September 22, 2017

প্রশ্ন:- শয়তান থেকে বেচেঁ থাকার উপায় কি? উত্তর - শয়তান থেকে বাঁচার উপায়



Image may contain: text



প্রশ্ন:- শয়তান থেকে বেচেঁ থাকার উপায় কি?
উত্তর - শয়তান থেকে বাঁচার উপায়
========================
(১) সর্বাবস্থায় আল্লাহর কাছে বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় কামনা করা। যে সকল ক্ষেত্রে শয়তান থেকে আশ্রয় কামনা করতে হয় তা হল: ছালাতের শুরুতে, কুরআন তেলাওয়াত করার সময়, রেগে গেলে, সকাল-সন্ধায়, নিজগৃহে প্রবেশ করার সময়, দ্বীনের মৌলিক কোন বিষয়ে সন্দেহ হলে, স্ত্রী সহবাস করার আগে, ঘুমানোর সময়, কোন খারাপ স্বপ্ন দেখলে।
(২) কুরআন তেলাওয়াত করা। বিশেষ করে সূরা বাক্বারা পাঠ করা। যে গৃহে সূরা বাকারা পাঠ করা হয় সেখানে শয়তান প্রবেশ করতে পারে না। (মুসলিম)
(৩) ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসী (সূরা বাক্বারার ২৫৫ নং আয়াত) পাঠ করা। তাহলে সারা রাত তার কাছে শয়তান আসতে পারবে না। (বুখারী ও মুসলিম)
(৪) বেশী ক্রোধাম্বিত হলে আউযুবিল্লাহ... পাঠ করা এবং ওযু করা। কেননা তা একটি শয়তানী প্রবণতা। শয়তান আগুন থকে সৃষ্টি হয়েছে। আর পানি আগুনকে নিভিয়ে দেয়।
(৫) অধিকহারে ইস্তেগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করা। ‘লাহওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ্’ বেশী বেশী পাঠ করা।
(৬) শয়তানকে খুশী করে এমন আসবাব থেকে নিজ গৃহকে মুক্ত করা। যেমন বাদ্য-যন্ত্র, ঘন্টা, কুকুর, ছবি, প্রতিকৃতি, ভাষ্কর্য এবং যাবতীয় খেল-তামাশা ও গর্হিত বিষয়-বস্তু থেকে বাড়ীকে মুক্ত ও সংরক্ষণ করা।
(৭) পরিবার এবং সন্তানদেরকে শরীয়ত সম্মত দু‘আ-যিক্র দ্বারা ঝাড়-ফুঁকের মাধ্যমে হেফাযত করা এবং এ ঝাড়-ফুঁক নিয়মমাফিক সবসময় করা। যেমন: আয়াতুল কুরসী, সূরা ইখলাছ, ফালাক্ব ও নাস প্রভৃতি পাঠ করা। (তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ)
(৮) দৃষ্টি অবনত রাখা। পরনারীর প্রতি দৃষ্টিপাত করা থেকে বিরত থাকা। কেননা নারী যখন সামনে আসে তখন শয়তানের আকৃতিতে আসে আর যখন ফিরে যায় তখন শয়তানের আকৃতিতে ফিরে যায়।
(৯) বেগানা নারীর সাথে নির্জন না হওয়া। কেননা উক্তাবস্থায় শয়তান তাদের তৃতীয়জন হিসেবে সেখানে অবস্থান করে।
(১০) ইচ্ছাকৃত ভাবে শয়তানী কাজের বিরোধিতা করা। যেমন, ডান হাতে খানা-পিনা করা। কেননা শয়তান বাম হাতে খানা-পিনা করে। (বুখারী ও মুসলিম)
(১১) অপব্যায় অপচয় না করা। কেননা অপব্যায়কারী শয়তানের ভাই। (সূরা বানী ইসরাঈলঃ ২৭)
(১২) প্রতিটি বিষয়ে ধীরস্থীরতা অবলম্বন করা। কেননা তাড়াহুড়া শয়তানের কাজ এবং ধীরস্থীরতা আল্লাহর পক্ষ থেকে। (তিরমিযী)
(১৩) সাধ্যানুযায়ী হাই উঠানোকে প্রতিরোধ করা। কেননা হাই শয়তানের পক্ষ থেকে আসে। হাই উঠানোর সময় [হা] করলে শয়তান হাসে। (বুখারী)
(১৪) প্রত্যেক কাজের সময় বিসমিল্লাহ্ বলা। কেননা বিসমিল্লাহ্ বললে শয়তান ক্ষুদ্র হয়ে যায় এমনকি মাছির মত ছোট্ট হয়ে যায়।
(১৫) দিনে একশতবার পাঠ করা ‘লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লাশারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুওয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর।’ তাহলে শয়তান প্রতিহত হবে।
(১৬) প্রথম ওয়াক্তে ফজরের নামায আদায় করা। কেননা যে ফজর সালাত আদায় করবে সে আল্লাহ্র যিম্মাদারীর মধ্যে হয়ে যাবে।
(১৭) সালাত অবস্থায় এদিক ওদিক না তাকানো। কেননা সালাতাবস্থায় এদিক-ওদিক দৃষ্টিপাত করা শয়তানের পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। (বুখারী)
(১৮) বিনা প্রয়োজনে নারীর নিজ গৃহ থেকে বাইরে না যাওয়া। কেননা যখন সে বের হয় তখন শয়তান তাকে অভ্যর্থনা জানায় এবং উঁকি দিয়ে দেখে।
(১৯) স্ত্রী সহবাসের সময় দু’আ পাঠ করা। তাহলে সন্তান জন্ম হলে তাকে শয়তান কোন ক্ষতি করতে পারবে না।

No comments:

Post a Comment