আল্লাহর ইচ্ছাধীন বিষয়ে কসম করার পরিণতি কি,
==========================
১। জুনদুব বিন আব্দুলাহ রা. থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,
قال رجل والله لايغقر الله لفلان وقال الله عزوجل من ذا الدى يتألى على أن لا أغفر لفلان؟ إنى قد غفرت له وأحبطت عملك. (رواه مسلم)
‘‘এক ব্যক্তি বললো, ‘‘আল্লাহর কসম, অমুক ব্যক্তিকে আল্লাহ ক্ষমা করবেন না। তখন আল্লাহর তাআলা বললেন, ‘আমি অমুককে ক্ষমা করবোনা’ একথা বলে দেয়ার আস্পর্ধা কার আছে? আমি তাকেই ক্ষমা করে দিলাম। আর তোমার [কসম কারীর] আমল বাতিল করে দিলাম।’’ (মুসলিম)
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত হাদীসে আছে, ‘‘যে ব্যক্তি কসম করে উল্লেখিত কথা বলেছিলো, সে ছিলো একজন আবেদ। আবু হুরায়রা বলেন ঐ ব্যক্তি একটি মাত্র কথার মাধ্যমে তাঁর দুনিয়া এবং আখেরাত উভয়টাই বরবাদ করে ফেলেছে।
আলোচিত অধ্যায় থেকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা যায়ঃ
১। আল্লাহর ইচ্ছাধীন বিষয়ে মাতববরী করার ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করা। [অর্থাৎ মাতববরী না করা]
২। আমাদের কারো জাহান্নাম তার জুতায় ফিতার চেয়েও অধিক নিকটবর্তী।
৩। জান্নাতও অনুরূপ নিকটবর্তী।
৪। এ অধ্যায়ে এ কথার প্রমাণ রয়েছে যে, একজন লোক মাত্র একটি কথার মাধ্যমে তার দুনিয়া ও আখেরাত বরবাদ করে ফেলেছে।
৫। কোন কোন সময় মানুষকে এমন সামান্য কারণেও মাফ করে দেয়া হয়, যা তার কাছে সবচেয়ে অপছন্দের বিষয়।
____________________________
বই: কিতাবুত তাওহীদ
লেখক: মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওহহাব(রাহিঃ)
No comments:
Post a Comment