Monday, December 25, 2017

সালাতে জামায়াতে দাঁড়ানোর পদ্ধতি:



No automatic alt text available.


সালাতে জামায়াতে দাঁড়ানোর পদ্ধতি:
----------------------------------------------------------
🔵 রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, “তোমরা তোমাদের কাতার সোজা করে নাও। কেননা আমি আমার পিছন দিক থেকেও তোমাদের দেখতে পাই। (আনাস রাঃ বলেন) আমাদের প্রত্যেকেরই তাঁর পাশের ব্যক্তির কাধের সাথে কাধ এবং পায়ের সাথে পা মিলাতাম” 
📚[বুখারীঃ ৬৯২, সুনানে আবু দাউদঃ৬৬৬] হাদিসের সনদঃ [সহীহ]
🔵 রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, “তোমরা (সলাতের) কাতারসমুহ মিলে মিশে দাঁড়াবে। এক কাতারকে অপর কাতারের নিকট রাখবে। পরস্পর কাধে কাধ মিলিয়ে দাঁড়াবে। ঐ সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ! আমি চাক্ষুষ দেখতে পাচ্ছি, কাতারের খালি (ফাঁকা) জায়গাতে শয়তান যেন একটি বকরীর বাচ্চার ন্যায় প্রবেশ করছে।” 📚[সুনানে আবু দাউদঃ ৬৬৭] হাদিসের সনদঃ [ সহীহ ]
🔴 আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলেন,
"মুমিনতো তারাই, যাদের সামনে আল্লাহ ও তার রাসূলের বিধান বলা হলে তারা বলে, আমরা শুনলাম এবং মান্য করলাম। তারাই সফলকাম।" 📚(সুরা নুর ৫১)
🔵 নুমান ইবনে বাশীর (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমরা অবশ্যই কাতার সোজা করে নিবে, তা না হলে আল্লাহ তাআলা তোমাদের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি করে দিবেন।
📚(সহিহ বুখারী, হা/৬৬২)
🔵 হযরত আনাস (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের দিকে মুখ ফিরিয়ে বলেন, তোমরা তোমাদের কাতার সোজা কর এবং পরষ্পর মিলিত হয়ে দাড়াও। নিশ্চয় আমি তোমাদেরকে পিছনের দিকেও দেখতে পাই। তখন আমরা আমাদের পার্শ্বের ব্যক্তির সাথে কাঁধের সাথে কাঁধ এবং পায়ের সাথে পা মিলয়ে দাঁড়াতাম। 📚(সহিহ বুখারী, ১ম খন্ড,আযান অধ্যায়, হাদিস নং- ৬৯২)
🔵 আবু মাসউদ আনসারী (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামাযে (দাড়ালে) আমাদের বাহুমূলসমূহে হাত স্পর্শ করে পরষ্পর মিলিয়ে দিতেন এবং বলতেন তোমরা সোজা হয়ে দাড়াও, বিভিন্নরূপে দাড়িও না, তা হলে তোমাদের অন্তরসমূহও প্রভেদ হয়ে যাবে। 📚(মুসলিম,মিশকাত হা/১০১৯)
🔵 হযরত আনাস (রা:)হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, তোমরা কাতারের মধ্যে পরষ্পর মিশে দাড়াও। সারিগুলোকে কাছাকাছি রাখ এবং তোমাদের ঘাড়গুলিকে সমভাবে সোজা রাখ। সেই সত্ত্বার কসম যার হাতে আমার প্রাণ, নিশ্চয় আমি কালো ভেড়ার বাচ্চার মত শয়তানকে দেখি সে সারির ফাকে প্রবেশ করে। 📚(আবু দাউদ)
🔵 আল-বারাআ ইবনে আযিব (রাযি) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কাতারের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে গিয়ে আমাদের বুক ও কাঁধ সোজা করে দিতেন, আর বলতেন: তোমরা কাতারে বাঁকা হয়ে দাড়িও না। অন্যথায় তোমাদের অন্তরে বৈপরিত্য সৃষ্টি হবে। তিনি আরো বলতেন,নিশ্চয় প্রথম কাতার সমূহের প্রতি আল্লাহর রাহমাত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতাগণ দুআ করেন। 📚(আবু দাউদ হা/৬৬৫)
এ রকম অনেক হাদীস রয়েছে যা থেকে বুঝা যায় যে, সালাতে কাঁধের সাথে কাঁধ এবং পায়ের সাথে দুই পার্শ্বের ব্যক্তির পা মিলিয়ে কাতার সোজা করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
এসব হাদীস আমাদের শিক্ষা দেয়ঃ
🔺 সলাতে ধনী গরীবের বা অন্য কোন মতের পার্থক্যে কোন বালাই নেই।
চিন্তা করে দেখুন আপনার পাশের লোকটা হতে পারে আপনার অফিসের বস কিন্তু সালাতের সময় সবাই সমান। সবাই আল্লাহর গোলাম। সবাই আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে। কারো মধ্যে কোন অহংকার
নেই। সালাত আমাদের এই শিক্ষাই দেয়।
🔺 সলাতে কাতার সোজা করতে হবে কেননা কাতার
সলাতের সৌন্দর্যের অন্তর্ভূক্ত।
🔺 সলাতে কাধেঁ কাধঁ, পায়ের সাথে পা মিলাতে হবে তাহলেই আল্লাহ আমাদের উপর রহমত বর্ষণ করবেন অন্যথায় আল্লাহ্ আমাদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করে দিবেন। ফলে আমাদের একে অপরের সাথে দ্বন্দ্ব
সৃষ্টি হবে এবং সামাজিক জীবন হবে বিষাদময়।
🔺 যারা সঠিকভাবে দাড়ায় না তাদেরকে আল্লাহ অনুগ্রহ হতে বিচ্ছিন্ন করেন।
🔺 সলাতে ফাঁক হয়ে দাড়ালে শয়তান ফাক জায়গায় বসে। ফলে শয়তান সালাত বিনষ্ট করার সুযোগ পায়।
🔺 কেউ কাতার সোজা করতে চাইলে তাকে সহযোগীতা করা অবশ্যই কর্তব্য।
আল্লাহ তা'আলা আমাদের কুরআন ও সহীহ হাদীসের উপর আমল করার তওফিক দিন। আমিন!

No comments:

Post a Comment