প্রশ্নঃ কোন আমল করলে কবরের আজাব মাফ হবে?
---- ---- -----
উত্তরঃ সূরা মুলক (৬৭ নং সূরা) তেলাওয়াতের ফজিলত সমূহ বর্ণনা করা হলঃ-
.
1. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সূরা মুলক তার পাঠকারীর জন্য কিয়ামতের দিন ততক্ষণ পর্যন্ত শাফায়াত করতে থাকবে যতক্ষণ না তাকে ক্ষমা করে হবে। -তিরমিযী
*
2. আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কুরআনের তিরিশ আয়াত বিশিষ্ট এমন একটি সূরা আছে , যা তার পাঠকারীর জন্য সুপারিশ করবে এবং শেষাবধি তাকেক্ষমা করে দেয়া হবে,সেটা হচ্ছে ‘তাবা-রাকাল্লায
ী বিয়্যাদিহিল মূলক’ (সূরা মূলক)।- তিরমিযী (২৮৯১),সুনানে আবু দাউদ(১৪০০), ইবনে মাজাহ (৩৭৮৬)
*
3. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সূরা মুলক পাঠ না করে কখনও ঘুমাতেন না। - তিরমিযী (২৮৯২), মুসনাদে আহমাদ (১৪৬৫৯)
*
4. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি প্রত্যেক মুমিনের অন্তরে সূরা মুলক থাকা পছন্দ করি। - ফতহুল বয়ান।
*
5.প্রতিদিন সুরা মুলক তেলাওয়াত করলে আশা করা যায় আল্লাহর রহমতে কবরের আজাব ও কেয়ামতের দিন শাস্তি থেকে নিরাপদ থাকা যাবে।
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি প্রতিদিন রাতের বেলা তাবারাকাল্লাযী বিয়াদিহিল মুলক (সুরা মুলক) তেলাওয়াত করবে আল্লাহ তাকে কবরের আজাব থেকে রক্ষা করবেন। রাসুলুল্লাহ সাঃ এর যামানায় এই সুরাটিকে আমরা “আল-মা’আনিয়াহ” বা সুরক্ষাকারী বলতাম। যে রাতের বেলা এই সুরাটি পড়বে সে খুব ভালো একটা কাজ করলো”।
সুনানে আন-নাসায়ী ৬/১৭৯, শায়খ আলবানীর মতে হাদীসটি হাসান সহীহ, সহীহ আত-তারগীব ওয়াল তারহীব ১৪৭৫।
No comments:
Post a Comment