Saturday, November 10, 2018

প্রশ্নঃ কেউ যাদু আক্রান্ত হলে কি করনীয়?




No automatic alt text available.



প্রশ্নঃ কেউ যাদু আক্রান্ত হলে কি করনীয়?
-----------------------
যাদু আক্রান্ত হওয়ার পর করনীয়ঃ
# এক
যাদু আক্রান্ত হওয়ার পর করণীয় বিষয় দু’প্রকার। প্রথমত সম্ভব হলে জায়িজ পদ্ধতিতে ঐ যাদু নষ্ট করে দেওয়া এবং যাদুর তাবিজ, গিঁট ইত্যাদি খুজে বের করে ধ্বংস করা। যাদু আক্রান্ত ব্যক্তির মুক্তির এটাই সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
# দ্বিতীয়ত শরয়ী ঝাড়ফুঁক।
[ক] মহামান্য শায়খ ইবনু বায (র:) বলেন, যাদু থেকে মুক্তির জন্য নিম্ন লিখিত পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়: সাতটি কাঁচা কুল (বরই) পাতা নিয়ে বেটে একটি পাত্রে রাখবে এবং তাতে পানি মিশ্রিত করবে। পানি এমন পরিমাণ হওয়া চাই যা দ্বারা গোসল করা সম্ভব হয়। এরপর উক্ত পানিতে কুরআনের এ আয়াতগুলো পড়ে ফুঁক দিবে: আয়াতাল কুরসী, সূরা ইখলাছ, সূরা ফালাক, সূরা নাস, সূরা আরাফের (১১৭ থেকে ১২২) নং আয়াত, সূরা ইউনুসের (৭৯ থেকে ৮২) নং আয়াত এবং সূরা ত্বায়াহার (৬৫ থেকে ৭০) নং আয়াত। তারপর উক্ত পানি থেকে কিছু পানি রুগীকে পান করাবে এবং অবশিষ্ট দ্বারা তাকে গোসল করাবে। ইনশাআল্লাহ্ এদ্বারা যাদু কেটে যাবে।
যদি প্রয়োজন দেখা দেয় তবে উক্ত পদ্ধতী দু’বার বা ততোধিক ব্যবহার করতে পারে। (বহুবার এপদ্ধতী পরীক্ষা করা হয়েছে এবং আল্লাহ্ তা দ্বারা উপকার দান করেছেন।)
যাদু সহ সকল প্রকার বালা-মুছিবতের সবচেয়ে উপকারী চিকিৎসা হল, খাঁটিভাবে আল্লাহ্র কাছে তওবা ও বেশী বেশী ইস্তেগফার করা। কেননা পাপাচারই হল সকল মুছিবতের প্রধান কারণ। আর তওবাই হল তার প্রধান ঔষধ।
[খ] সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসী, সূরা বাকারার শেষ দু’আয়াত, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস প্রত্যেকটি তিনবার পড়ে আক্রান্ত ব্যাক্তিকে ফুঁক দিবে এবং ডান হাত দ্বারা মাসেহ করবে। (ফতহুল বারী ৯/৬২, মুসলিম ৮/১৭২৩ ফতহুল বারী ১০/২০৮ দ্রষ্টব্য)

No comments:

Post a Comment