আসসালামু আলাইকুম
অত্যাচারী ঃ
মানুষের প্রতি অমানবিক আচরণ করা, মানুষের অর্থ সম্পদ অন্যায়ভাবে দখল করা, প্রত্যেক বস্তুর স্ব স্ব হক্ব আদায় না করা অত্যাচার। অত্যাচারী মানুষকে মানুষ ভয় করে। এর পরিণাম জাহান্নাম। সাধারণত সবল মানুষ দুর্বল মানুষের প্রতি অত্যাচার করে থাকে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা‘আলা অত্যাচারীদের পছন্দ করেন না’ (শূরা ৩৯)।
আল্লাহ্ তা‘আলা আরো বলেন,
إِنَّمَا السَّبِيلُ عَلَى الَّذِينَ يَظْلِمُونَ النَّاسَ وَيَبْغُونَ فِي الْأَرْضِ بِغَيْرِ الْحَقِّ أُوْلَئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ
(سورة الشورى : ৪২)
অভিযোগ কেবল তাদের বিরুদ্ধে, যারা মানুষের উপর অত্যাচার চালায় এবং পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহ করে বেড়ায়। তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি’ (শূরা ৩৯)।
আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন,
وَلاَ تَرْكَنُوا إِلَى الَّذِينَ ظَلَمُوا فَتَمَسَّكُمْ النَّارُ
(سورة هود : ১১৩)
‘ঐ সমস্ত অত্যাচারীদের দিকে তোমরা ঝুঁকে পড়না। নইলে তাদের সাথে সাথে তোমাদেরকেও জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে’ (হূদ ১১৩)। আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন,
وَسَيَعْلَمُ الَّذِينَ ظَلَمُوا أَيَّ مُنقَلَبٍ يَنقَلِبُونَ (سورة الشعراء : ২২৭)
‘অত্যাচারীরা শীঘ্রই জানতে পারবে তাদের গন্তব্যস্থল কিরূপ’ (শুআরা ২২৭)।
আল্লাহ অন্য জায়গায় বলেন,
وَكَذَلِكَ أَخْذُ رَبِّكَ إِذَا أَخَذَ الْقُرَى وَهِيَ ظَالِمَةٌ إِنَّ أَخْذَهُ أَلِيمٌ شَدِيدٌ (سورة هود : ১০২)
‘আপনার প্রতিপালক যখন কোন অত্যাচারী জনপদকে ধরেন তখন এমনিভাবেই ধরেন। নিশ্চয়ই তাঁর পাকড়াও খুবই মারাÍক’ (হুদ ১০২)।
অত্র আয়াতের উপরের আলোচনায় নূহ, হুদ, ছালিহ, লূৎ, শুআইব (আঃ)-এর সম্প্রদায়কে এবং ফেরাউনকে ধ্বংস করার কথা বলা হয়েছে।
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ النبي صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الظُّلْمُ ظُلُمَاتٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
ইবনু ওমর (রাযিঃ) বলেন, নবী (ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘অত্যাচার ক্বিয়ামতের দিন হবে অন্ধকার (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫১২৩)।
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِمُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ حِينَ بَعَثَهُ إِلَى الْيَمَنِ فَقَالَ . . . . . وَاتَّقِ دَعْوَةَ الْمَظْلُومِ فَإِنَّهُ لَيْسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ اللهِ حِجَابٌ
ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, রাসূল (ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন মূআয (রাযিঃ)-কে ইয়ামান পাঠালেন তখন কিছু দায়িত্ব দেয়ার পর এ মর্মে উপদেশ দিলেন যে, তুমি অত্যাচারিত ব্যক্তির বদদোআ থেকে বেঁচে থাক। কারণ অত্যাচারিত ব্যক্তি এবং ব্যক্তির দোয়া ও আল্লাহর মাঝে কোন পর্দা নেই অর্থাৎ তার দো’আ দ্রুত কবুল হয় (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৭৭২;বাংলা ৪র্থ খণ্ড, হা/১৬৮০ ‘যাকাত’ অধ্যায়)।
عَنْ سَعِيدِ بْنِ زَيْدِ عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ أَخَذَ شِبْرًا مِنْ الأَرْضِ ظُلْمًا فَإِنَّهُ يُطَوَّقُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ سَبْعِ أَرَضِينَ
সাঈদ ইবনু যায়েদ (রাযিঃ) বলেন, রাসূল (ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি অত্যাচার করে অর্ধহাত যমীন দখল করতে নিশ্চয়ই ক্বিয়ামতের দিন অনুরূপ সাতটি যমীন তার কাঁধে ঝুলিয়ে দেয়া হবে’ (বুখারী মুসলিম, মিশকাত হা/২৯৩৮; বাংলা ৬ষ্ট খণ্ড, হা/২৮১০ ‘ক্রয়-বিক্রয়’ অধ্যায়)।
অত্যাচারী ঃ
মানুষের প্রতি অমানবিক আচরণ করা, মানুষের অর্থ সম্পদ অন্যায়ভাবে দখল করা, প্রত্যেক বস্তুর স্ব স্ব হক্ব আদায় না করা অত্যাচার। অত্যাচারী মানুষকে মানুষ ভয় করে। এর পরিণাম জাহান্নাম। সাধারণত সবল মানুষ দুর্বল মানুষের প্রতি অত্যাচার করে থাকে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা‘আলা অত্যাচারীদের পছন্দ করেন না’ (শূরা ৩৯)।
আল্লাহ্ তা‘আলা আরো বলেন,
إِنَّمَا السَّبِيلُ عَلَى الَّذِينَ يَظْلِمُونَ النَّاسَ وَيَبْغُونَ فِي الْأَرْضِ بِغَيْرِ الْحَقِّ أُوْلَئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ
(سورة الشورى : ৪২)
অভিযোগ কেবল তাদের বিরুদ্ধে, যারা মানুষের উপর অত্যাচার চালায় এবং পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহ করে বেড়ায়। তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি’ (শূরা ৩৯)।
আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন,
وَلاَ تَرْكَنُوا إِلَى الَّذِينَ ظَلَمُوا فَتَمَسَّكُمْ النَّارُ
(سورة هود : ১১৩)
‘ঐ সমস্ত অত্যাচারীদের দিকে তোমরা ঝুঁকে পড়না। নইলে তাদের সাথে সাথে তোমাদেরকেও জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে’ (হূদ ১১৩)। আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন,
وَسَيَعْلَمُ الَّذِينَ ظَلَمُوا أَيَّ مُنقَلَبٍ يَنقَلِبُونَ (سورة الشعراء : ২২৭)
‘অত্যাচারীরা শীঘ্রই জানতে পারবে তাদের গন্তব্যস্থল কিরূপ’ (শুআরা ২২৭)।
আল্লাহ অন্য জায়গায় বলেন,
وَكَذَلِكَ أَخْذُ رَبِّكَ إِذَا أَخَذَ الْقُرَى وَهِيَ ظَالِمَةٌ إِنَّ أَخْذَهُ أَلِيمٌ شَدِيدٌ (سورة هود : ১০২)
‘আপনার প্রতিপালক যখন কোন অত্যাচারী জনপদকে ধরেন তখন এমনিভাবেই ধরেন। নিশ্চয়ই তাঁর পাকড়াও খুবই মারাÍক’ (হুদ ১০২)।
অত্র আয়াতের উপরের আলোচনায় নূহ, হুদ, ছালিহ, লূৎ, শুআইব (আঃ)-এর সম্প্রদায়কে এবং ফেরাউনকে ধ্বংস করার কথা বলা হয়েছে।
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ النبي صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الظُّلْمُ ظُلُمَاتٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
ইবনু ওমর (রাযিঃ) বলেন, নবী (ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘অত্যাচার ক্বিয়ামতের দিন হবে অন্ধকার (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫১২৩)।
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِمُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ حِينَ بَعَثَهُ إِلَى الْيَمَنِ فَقَالَ . . . . . وَاتَّقِ دَعْوَةَ الْمَظْلُومِ فَإِنَّهُ لَيْسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ اللهِ حِجَابٌ
ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, রাসূল (ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন মূআয (রাযিঃ)-কে ইয়ামান পাঠালেন তখন কিছু দায়িত্ব দেয়ার পর এ মর্মে উপদেশ দিলেন যে, তুমি অত্যাচারিত ব্যক্তির বদদোআ থেকে বেঁচে থাক। কারণ অত্যাচারিত ব্যক্তি এবং ব্যক্তির দোয়া ও আল্লাহর মাঝে কোন পর্দা নেই অর্থাৎ তার দো’আ দ্রুত কবুল হয় (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৭৭২;বাংলা ৪র্থ খণ্ড, হা/১৬৮০ ‘যাকাত’ অধ্যায়)।
عَنْ سَعِيدِ بْنِ زَيْدِ عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ أَخَذَ شِبْرًا مِنْ الأَرْضِ ظُلْمًا فَإِنَّهُ يُطَوَّقُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ سَبْعِ أَرَضِينَ
সাঈদ ইবনু যায়েদ (রাযিঃ) বলেন, রাসূল (ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি অত্যাচার করে অর্ধহাত যমীন দখল করতে নিশ্চয়ই ক্বিয়ামতের দিন অনুরূপ সাতটি যমীন তার কাঁধে ঝুলিয়ে দেয়া হবে’ (বুখারী মুসলিম, মিশকাত হা/২৯৩৮; বাংলা ৬ষ্ট খণ্ড, হা/২৮১০ ‘ক্রয়-বিক্রয়’ অধ্যায়)।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَطْلُ الْغَنِيِّ ظُلْمٌ
আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) বলেন, রাসূল (ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘ঋণ পরিশোধ করতে পারবে এমন সামর্থ্যবান ব্যক্তি ঋণ পরিশোধে টাল বাহানা করা অত্যাচার’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৯০৭; বাংলা- ৬ষ্ট খণ্ড, বা ২৭৮০ ‘ক্রয়-বিক্রয়’ অধ্যায়)।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ قَالَ اللهُ تَعَالَى ثَلاَثَةٌ أَنَا خَصْمُهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ رَجُلٌ أَعْطَى بِي ثُمَّ غَدَرَ وَرَجُلٌ بَاعَ حُرًّا فَأَكَلَ ثَمَنَهُ وَرَجُلٌ اسْتَأْجَرَ أَجِيرًا فَاسْتَوْفَى مِنْهُ العَمَلَ وَلَمْ يُعْطِهِ أَُجْرَتَهُ
আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) বলেন, রাসূল (ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন, ‘আমি ক্বিয়ামতের দিন তিন শ্রেণীর লোকের সাথে ঝগড়া করব- (১) এমন ব্যক্তি যে আমার সাথে অংগীকার করল অতঃপর তা ভংগ করল (২) যে ব্যক্তি মুক্ত মানুষকে বিক্রি করল এবং তার মূল্য খেয়ে ফেলল এবং (৩) যে ব্যক্তি কাজের জন্য লোক নিল, লোকটি তার পূর্ণ কাজ করল, অথচ তার পারিশ্রমিক দিল না’ (বুখারী ১/৩০২ পৃঃ)।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَتُؤَدُّنَّ الْحُقُوقَ إِلَى أَهْلِهَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ حَتَّى يُقَادَ لِلشَّاةِ الْجَلْحَاءِ مِنْ الشَّاةِ الْقَرْنَاءِ
আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) বলেন, রাসূল (ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,‘ক্বিয়ামাতের দিন সবার হক আদায় করা হবে, এমনকি শিংবিহীন ছাগলকে শিং প্রদান করে প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ দেয়া হবে’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৫১২৮; বাংলা ৯ম খণ্ড, হা/৪৯০১ ‘শিষ্টাচার’ অধ্যায়)।
অত্র হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, সকল অত্যাচারিত ব্যক্তিকে অত্যাচারী ব্যক্তি হতে প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ দেয়া হবে।
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اتَّقُوا الظُّلْمَ فَإِنَّ الظُّلْمَ ظُلُمَاتٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَاتَّقُوا الشُّحَّ فَإِنَّ الشُّحَّ أَهْلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ حَمَلَهُمْ عَلَى أَنْ سَفَكُوا دِمَاءَهُمْ وَاسْتَحَلُّوا مَحَارِمَهُمْ
জাবির (রাযিঃ) বলেন, রাসূল (ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘তোমরা অত্যাচার করা হ’তে সাবধান থাক। নিশ্চয়ই অত্যাচার ক্বিয়ামতের দিন হবে অন্ধকার। তোমরা কৃপণতা থেকে বেঁচে থাক কৃপণতা তোমাদের পূর্বে জনগণকে ধ্বংস করেছে। কৃপণতা তাদেরকে অন্যায়ভাবে মানুষকে হত্যা করার প্রতি এবং হারামকে হালাল করার প্রতি উৎসাহিত করেছিল’ (মুসলিম, মিশকাত হা/১৮৬৫; বাংলা-৪র্থ খণ্ড, হা/১৭৭১ ‘যাকাত’ অধ্যায়)।
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ النبي صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا مَرَّ بِالْحِجْرِ قَالَ لاَ تَدْخُلُوا مَسَاكِنَ الَّذِينَ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ إِلاَّ أَنْ تَكُونُوا بَاكِينَ أَنْ يُصِيبَكُمْ مَا أَصَابَهُمْ ثُمَّ قَنَّعَ رَأْسَهُ وَأَسْرَعَ السَّيْرَ حَتَّى أَجَازَ الْوَادِيَ
আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাযিঃ) বলেন, নবী (ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন ছামূদ সম্প্রদায় ধ্বংস হওয়ার এলাকা পার হচ্ছিলেন, তখন বললেন, তোমরা ঐসব লোকের বাসস্থানে প্রবেশ কর না যারা নিজেদের প্রতি অত্যাচার করেছে। তবে আল্লাহ্র নিকট ক্রন্দন অবস্থায় প্রবেশ করতে পার। কারণ তোমাদের উপর ঐ বিপদ আসতে পারে যা তাদের উপর এসেছিল। তারপর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তরবারী মাথায় করে ঐ এলাকা দ্রুত পার হয়ে গেলেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫১২৫; বাংলা-৯ম খণ্ড, হা/৪৮৯৮)।
অত্র হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, অত্যাচারী ব্যক্তি ধ্বংস হলেও তাদের মন্দ প্রতিক্রিয়া পৃথিবীতে থেকে যায়।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَتَدْرُونَ مَا الْمُفْلِسُ قَالُوا الْمُفْلِسُ فِينَا مَنْ لاَ دِرْهَمَ لَهُ وَلاَ مَتَاعَ فَقَالَ إِنَّ الْمُفْلِسَ مِنْ أُمَّتِي يَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِصَلاَةٍ وَصِيَامٍ وَزَكَاةٍ وَيَأْتِي قَدْ شَتَمَ هَذَا وَقَذَفَ هَذَا وَأَكَلَ مَالَ هَذَا وَسَفَكَ دَمَ هَذَا وَضَرَبَ هَذَا فَيُعْطَى هَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ وَهَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ فَإِنْ فَنِيَتْ حَسَنَاتُهُ قَبْلَ أَنْ يُقْضَى مَا عَلَيْهِ أُخِذَ مِنْ خَطَايَاهُمْ فَطُرِحَتْ عَلَيْهِ ثُمَّ طُرِحَ فِي النَّارِ
আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) বলেন, রাসূল (ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ‘তোমরা বলতে পার সবচেয়ে দরিদ্র কে? ছাহাবীগণ বললেন, আমাদের মাঝে সবচেয়ে দরিদ্র সেই যার কোন অর্থ নেই। রাসূল (ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আমার উম্মতে সবচেয়ে গরীব এমন ব্যক্তি যে ছালাত, ছিয়াম ও যাকাতের নেকী নিয়ে ক্বিয়ামতের মাঠে উপস্থিত হবে। অপরদিকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা অন্যায়ভাবে সম্পদ ভক্ষণ করা অপবাদ দেয়া ও গালি দেয়ার অভিযোগ নিয়ে উপস্থিত হবে। তখন তার নেকী হতে তাদেরকে পরিশোধ করা হবে। তার নেকী শেষ হয়ে গেলে তাদের পাপ নিয়ে তার উপর চাপানো হবে এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৫১২৮)।
অত্র হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে,অত্যাচার হক নষ্ট করা পাপের অন্তভুক্ত যার কিয়ামতের দিন পরিশোধ করতে হবে।
আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) বলেন, রাসূল (ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘ঋণ পরিশোধ করতে পারবে এমন সামর্থ্যবান ব্যক্তি ঋণ পরিশোধে টাল বাহানা করা অত্যাচার’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৯০৭; বাংলা- ৬ষ্ট খণ্ড, বা ২৭৮০ ‘ক্রয়-বিক্রয়’ অধ্যায়)।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ قَالَ اللهُ تَعَالَى ثَلاَثَةٌ أَنَا خَصْمُهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ رَجُلٌ أَعْطَى بِي ثُمَّ غَدَرَ وَرَجُلٌ بَاعَ حُرًّا فَأَكَلَ ثَمَنَهُ وَرَجُلٌ اسْتَأْجَرَ أَجِيرًا فَاسْتَوْفَى مِنْهُ العَمَلَ وَلَمْ يُعْطِهِ أَُجْرَتَهُ
আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) বলেন, রাসূল (ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন, ‘আমি ক্বিয়ামতের দিন তিন শ্রেণীর লোকের সাথে ঝগড়া করব- (১) এমন ব্যক্তি যে আমার সাথে অংগীকার করল অতঃপর তা ভংগ করল (২) যে ব্যক্তি মুক্ত মানুষকে বিক্রি করল এবং তার মূল্য খেয়ে ফেলল এবং (৩) যে ব্যক্তি কাজের জন্য লোক নিল, লোকটি তার পূর্ণ কাজ করল, অথচ তার পারিশ্রমিক দিল না’ (বুখারী ১/৩০২ পৃঃ)।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَتُؤَدُّنَّ الْحُقُوقَ إِلَى أَهْلِهَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ حَتَّى يُقَادَ لِلشَّاةِ الْجَلْحَاءِ مِنْ الشَّاةِ الْقَرْنَاءِ
আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) বলেন, রাসূল (ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,‘ক্বিয়ামাতের দিন সবার হক আদায় করা হবে, এমনকি শিংবিহীন ছাগলকে শিং প্রদান করে প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ দেয়া হবে’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৫১২৮; বাংলা ৯ম খণ্ড, হা/৪৯০১ ‘শিষ্টাচার’ অধ্যায়)।
অত্র হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, সকল অত্যাচারিত ব্যক্তিকে অত্যাচারী ব্যক্তি হতে প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ দেয়া হবে।
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اتَّقُوا الظُّلْمَ فَإِنَّ الظُّلْمَ ظُلُمَاتٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَاتَّقُوا الشُّحَّ فَإِنَّ الشُّحَّ أَهْلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ حَمَلَهُمْ عَلَى أَنْ سَفَكُوا دِمَاءَهُمْ وَاسْتَحَلُّوا مَحَارِمَهُمْ
জাবির (রাযিঃ) বলেন, রাসূল (ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘তোমরা অত্যাচার করা হ’তে সাবধান থাক। নিশ্চয়ই অত্যাচার ক্বিয়ামতের দিন হবে অন্ধকার। তোমরা কৃপণতা থেকে বেঁচে থাক কৃপণতা তোমাদের পূর্বে জনগণকে ধ্বংস করেছে। কৃপণতা তাদেরকে অন্যায়ভাবে মানুষকে হত্যা করার প্রতি এবং হারামকে হালাল করার প্রতি উৎসাহিত করেছিল’ (মুসলিম, মিশকাত হা/১৮৬৫; বাংলা-৪র্থ খণ্ড, হা/১৭৭১ ‘যাকাত’ অধ্যায়)।
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ النبي صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا مَرَّ بِالْحِجْرِ قَالَ لاَ تَدْخُلُوا مَسَاكِنَ الَّذِينَ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ إِلاَّ أَنْ تَكُونُوا بَاكِينَ أَنْ يُصِيبَكُمْ مَا أَصَابَهُمْ ثُمَّ قَنَّعَ رَأْسَهُ وَأَسْرَعَ السَّيْرَ حَتَّى أَجَازَ الْوَادِيَ
আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাযিঃ) বলেন, নবী (ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন ছামূদ সম্প্রদায় ধ্বংস হওয়ার এলাকা পার হচ্ছিলেন, তখন বললেন, তোমরা ঐসব লোকের বাসস্থানে প্রবেশ কর না যারা নিজেদের প্রতি অত্যাচার করেছে। তবে আল্লাহ্র নিকট ক্রন্দন অবস্থায় প্রবেশ করতে পার। কারণ তোমাদের উপর ঐ বিপদ আসতে পারে যা তাদের উপর এসেছিল। তারপর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তরবারী মাথায় করে ঐ এলাকা দ্রুত পার হয়ে গেলেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫১২৫; বাংলা-৯ম খণ্ড, হা/৪৮৯৮)।
অত্র হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, অত্যাচারী ব্যক্তি ধ্বংস হলেও তাদের মন্দ প্রতিক্রিয়া পৃথিবীতে থেকে যায়।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَتَدْرُونَ مَا الْمُفْلِسُ قَالُوا الْمُفْلِسُ فِينَا مَنْ لاَ دِرْهَمَ لَهُ وَلاَ مَتَاعَ فَقَالَ إِنَّ الْمُفْلِسَ مِنْ أُمَّتِي يَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِصَلاَةٍ وَصِيَامٍ وَزَكَاةٍ وَيَأْتِي قَدْ شَتَمَ هَذَا وَقَذَفَ هَذَا وَأَكَلَ مَالَ هَذَا وَسَفَكَ دَمَ هَذَا وَضَرَبَ هَذَا فَيُعْطَى هَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ وَهَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ فَإِنْ فَنِيَتْ حَسَنَاتُهُ قَبْلَ أَنْ يُقْضَى مَا عَلَيْهِ أُخِذَ مِنْ خَطَايَاهُمْ فَطُرِحَتْ عَلَيْهِ ثُمَّ طُرِحَ فِي النَّارِ
আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) বলেন, রাসূল (ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ‘তোমরা বলতে পার সবচেয়ে দরিদ্র কে? ছাহাবীগণ বললেন, আমাদের মাঝে সবচেয়ে দরিদ্র সেই যার কোন অর্থ নেই। রাসূল (ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আমার উম্মতে সবচেয়ে গরীব এমন ব্যক্তি যে ছালাত, ছিয়াম ও যাকাতের নেকী নিয়ে ক্বিয়ামতের মাঠে উপস্থিত হবে। অপরদিকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা অন্যায়ভাবে সম্পদ ভক্ষণ করা অপবাদ দেয়া ও গালি দেয়ার অভিযোগ নিয়ে উপস্থিত হবে। তখন তার নেকী হতে তাদেরকে পরিশোধ করা হবে। তার নেকী শেষ হয়ে গেলে তাদের পাপ নিয়ে তার উপর চাপানো হবে এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৫১২৮)।
অত্র হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে,অত্যাচার হক নষ্ট করা পাপের অন্তভুক্ত যার কিয়ামতের দিন পরিশোধ করতে হবে।
No comments:
Post a Comment