Friday, July 21, 2017

সূরা কা’হফ পাঠের ফযীলাতঃ



Image may contain: text


সূরা কা’হফ পাঠের ফযীলাতঃ
~~~
১. হযরত আবুদারদা থেকে বর্ণিত আছে যে, যে ব্যক্তি সূরা কাহফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করে, সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে” (মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী ও মুসনাদে আহমদ)

২. হযরত সাহল ইবনে মুয়াজ থেকে বর্ণিত, “যে ব্যক্তি সূরা কাহফের প্রথম ও শেষ আয়াতগুলি পাঠ করে, তার জন্য তার পা থেকে মাথা পর্যন্ত একটি নূর হয়ে যায় এবং যে ব্যক্তি সম্পূর্ণ পাঠ করে, তার জন্য যমীন থেকে আসমান পর্যন্ত নূর হয়ে যায়।” (মুসনাদে আহমদ) অন্য বরণায় আছে, “যে ব্যক্তি শুক্রবার সূরা কাহফ তেলাওয়ত করে, তার পা থেকে আকাশের উচ্চতা পর্যন্ত নূর হয়ে যাবে, যা কিয়ামতের দিন আলো দেবে এবং বিগত জুমা থেকে এই জমা পর্যন্ত তার সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।” (ইমাম ইবনে কাসির এই রেওয়াতটিকে মওকুফ বলেছেন)
৩. হযরত আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ যে জুমার দিন সূরা কাহফ পাঠ করবে, সে আট দিন পর্যন্ত সর্বপ্রকার ফেতনা থেকে মক্ত থাকবে। যদি দাজ্জাল বের হয়, তবে সে তার ফেতনা থেকেও মুক্ত থাকবে।” (হাফেজ জিয়া মুকাদ্দাসী ‘মুখতারাহ’)
৪. হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ “সূরা কাহফ সম্পূর্ণটুকু এক সময়ে নাযিল হয়েছে এবং সত্তর হাজার ফেরেশতা এর সঙ্গে আগমন করেছেন, এতে এর মাহাত্ম্য প্রকাশ পায়।” (রুহুল মা’আনী)
আসুন আমরা সূরা কাহাফের শিক্ষা গ্রহণ করি এবং সাপ্তাহে একদিন শুক্রবার সূরা কা’হফ পাঠের অভ্যাস গড়ি, এবং এর সাওয়াব অর্জনে সচেষ্ট হয়।

No comments:

Post a Comment