Saturday, December 23, 2017

বিবেক উম্মোচন পর্ব:০১ বিষয়: তরীকা





বিবেক উম্মোচন পর্ব:০১
বিষয়: তরীকা
📙প্রশ্ন:০৪ ভাই (কাদরিয়া চিশতী,,,,) এই রকম তরীকার গ্রহণ করা বা না করার সম্পর্কে বলবেন।
📝সাইফুল্লাহ্ বিন নূরুল ইসলাম

📚উত্তর: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্ সুবহানাহু তা'লার।
📖আল্লাহ্ সুবহানাহু তা'লা বলেন:
"তোমাদেরকে এ নির্দেশ দিয়েছেন, যেন তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর। নিশ্চিত এটি আমার সরল পথ। অতএব, এ পথে চল এবং অন্যান্য পথে চলো না। তা হলে সেসব পথ তোমাদেরকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিবে। তোমাদেরকে এ নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে তোমরা সংযত হও।" সূরা আন-আনম:১৫৩

🚨অত্যন্ত দু:খের সাথে বলতে হয়, আমাদের সমাজ আজ এমনই হয়ে গেছে যেন, কেউ তরীকা গ্রহণ বা তরীকার উপর বায়াত না নিলে তার জীবনের সমস্ত আমলই যেন বৃথা। কোন তরীকা ছাড়া যেন ইসলাম অসম্পূর্ণই রয়ে যায়। আর দেশের শিক্ষিত-অশিক্ষিত প্রায় সবাই তীব্রভাবে নিজেদের জড়িয়ে নিয়েছে তরীকার সাথে। সেই সুযোগে তরীকা পন্থীর উঁচুপদের লোকেরা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ টাকা, ইজ্জত ও কুমারীত্ত্ব। এমনকি তারা নিজেদের একটা শক্ত অবস্থান ও করে নিয়েছে...!
💈এখন চাইলেই এদের সহজে উচ্ছেদ করা সম্ভব নয়, যতদিন পর্যন্ত মুসলিমরা নিজের বিবেককে উন্নত করবে 'কোরআন' পড়ে।
নিম্নে সংক্ষেপে সমাজে বহুল প্রচলিত কয়েকটি তরীকার দলিলভিত্তিক আলোচনা করা হলো:
(১ )কাদেরিয়া তরীকা:
এটি আব্দুল কাদির জিলানীর (১০৭৮-১১৬৬খৃ:)এর নামে প্রচলিত তরীকা।
তিনি ইসলাম ধর্মের একজন প্রগাঢ় ও অত্যন্ত জ্ঞানী একজন ব্যক্তি ও আলেম ছিলেন। তিনি ছিলেন হাম্বলী মাযহাবের অনুসারী। তার আক্বিদার সাথে সালাফদের আক্বিদার পূর্ণাঙ্গতা ছিল। তার সমন্ধে বিস্তারিত জানতে দেখুন "গনিয়াতে তালেবীন" বই।

তবে তিনি কোন তরীকার প্রবর্তণ করেননি। তার মৃত্যুর পর তার বংশের গাউজ জীলানী নামে একজন ব্যক্তি ১৪৮২ খ্রিষ্টাব্দে উক্ত তরীকার প্রচলন করেন। ( ১* )
[মো: মোরশেদ আলম বেদনার পথে শান্তির স্মৃতি(যশোর:আলী লাইব্রেরী, ২০১১) পৃষ্টা :৫৩]{ভ্রান্ত আক্বিদা বনাম সহীহ আক্বিদা পৃষ্টা:১৬০}
আর তথাকথিত ভক্তরা উক্ত তরীকার দোহাই দিয়ে আব্দুল কাদের জীলানী (রহ:) এর নামে অসংখ্য মিথ্যা ও বানোয়াট কাহিনী তৈরী করেছে। অথচ এসমস্ত নোংরামির সাথে ওনার ইসলামের প্রকৃত আক্বিদা ও আমলের কোন মিলই নেই।
জিলানীর নামে কতগুলো মিথ্যা বক্তব্য:
(১) তিঁনি পেট থেকে ১৮ পারা কোরআন মুখস্ত করে আসছেন। (নাওযুবিল্লাহ্)

🔺আল্লাহ্ সুবহানাহু তা'লা বলেন:
"আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের মায়ের গর্ভ থেকে বের করেছেন। তোমরা কিছুই জানতে না। তিনি তোমাদেরকে কর্ণ, চক্ষু ও অন্তর দিয়েছেন, যাতে তোমরা অনুগ্রহ স্বীকার কর।"
(সূরা নাহাল:৭৮)

(২)তিনি তার মায়ের গর্ভ থেকে বেরিয়েই এক ভিখারীকে হত্যা করে আবার পেটে ডুকে গেছেন। ( নাওযুবিল্লাহ্)
(৩) তিনিই গাউছুল আযম। ( নাওযুবিল্লাহ্)
(৪) তিনি কবরে প্রশ্নকারী ফেরেস্তাদেরকে আটকে রেখে দিয়েছিলেন ও শাস্তি দিয়েছিলেন। ( নাওযুবিল্লাহ্)
🔽কবরের এই ঘটনা মানুষ কিভাবে জানলো..!?

(৫) কাদেরীয়া তরীকার কাউকেই কবরের ভিতর প্রশ্ন করা হবে না। ( নাওযুবিল্লাহ্)
🔽অথচ রসূল (স:) তার মেয়ে ফাতিমা (রা:) কে বললেন, আমল কর, মুহাম্মদ (স:)এর মেয়ে বলে তোমাকে খারিজ করা হবে না। 
(বুখারী ও মুসলিম)এছাড়া রসূল( স:) হলেছেন প্রত্যেককেই কবরের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে। অথচ জিলানীর ভক্তরা নাকি....!

(৬) তিনি আর মহান ক্ষমতাশীল আল্লাহ্ একবার হাঁটছিলেন, তখন আল্লাহ্ সুবহানাহু তা'লা পিছলে পড়ে যাচ্ছিলেন , তখন জিলানী আল্লাহ্কে ধরে বাঁচিয়েছে। ( নাওযুবিল্লাহ্)
আর এজন্যই তাকে , পিরানী পীর , দস্তগীর বলা হয়। ( নাওযুবিল্লাহ্)
🔼 এই ব্যাপারে আর কিছুই বলার নেই।

(৭) জীলানী একবার জাহান্নাম দেখতে চাইলেন, তখন আল্লাহ্ বাধা দিয়ে বললেন, জাহান্নাম তো তোমার জন্য না। তারপর ও জীলানী আল্লাহর ৭০ হাজার ফেরেস্তাকে শক্তিতে হারিয়ে জাহান্নামে গেলেন ও উম্মতী মুহাম্মদিকে বের করিয়ে নিয়ে আসলেন। ( নাওযুবিল্লাহ্) দেখুন, গিয়াস উদ্দীন আত-তাহেরীর বক্তব্য।
(৮)অযু ছাড়া জিলানীর নাম নিলে পশম পড়ে যায় । (নাওযুবিল্লাহ্)অথচ আল্লাহর যিকির করা যায় অযু ছাড়া। এখন ভাবেন কে মর্যাদাবান।
(৯)আব্দুল কাদের জীলানী তার বক্তদের সুপারিশ করে জান্নাতে নিয়ে যাবে। ( নাওযুবিল্লাহ্)
📖অথচ আল্লাহ্ সুবহানাহু তা'লা বলেন:
"তোমরা ভয় কর সেদিনকে, যে দিন এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তি বিন্দুমাত্র উপকৃত হবে না, কারও কাছ থেকে বিনিময় গৃহীত হবে না, কার ও সুপারিশ ফলপ্রদ হবে না এবং তারা সাহায্য প্রাপ্ত ও হবে না।" সূরা বাকারা :১২৩

🎈যারা আব্দুল কাদের জীলানী (রহ:) কে বলে ভালবাসি আর এগুলো প্রচার করে, তারা কস্মিনকালেও জিলানীকে ভালবাসে না।
কিয়ামতের মাঠে অবশ্যই সবাইকে জবাবদীহি করতে হব্, সেদিন হয়তো তাদের বিরুদ্ধে জিলানী (রহ:)কে দেখবেন। আল্লাহু -আলম।

🔥আল্লাহ্ তাদের হেদায়েত দিক , না হয় ধ্বংশ করে দিক।

No comments:

Post a Comment